ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لأَبِي " يَا حُصَيْنُ كَمْ تَعْبُدُ الْيَوْمَ إِلَهًا " . قَالَ أَبِي سَبْعَةً سِتًّا فِي الأَرْضِ وَوَاحِدًا فِي السَّمَاءِ . قَالَ " فَأَيُّهُمْ تَعُدُّ لِرَغْبَتِكَ وَرَهْبَتِكَ " . قَالَ الَّذِي فِي السَّمَاءِ . قَالَ " يَا حُصَيْنُ أَمَا إِنَّكَ لَوْ أَسْلَمْتَ عَلَّمْتُكَ كَلِمَتَيْنِ تَنْفَعَانِكَ " . قَالَ فَلَمَّا أَسْلَمَ حُصَيْنٌ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلِّمْنِي الْكَلِمَتَيْنِ اللَّتَيْنِ وَعَدْتَنِي . فَقَالَ " قُلِ اللَّهُمَّ أَلْهِمْنِي رُشْدِي وَأَعِذْنِي مِنْ شَرِّ نَفْسِي ".
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার পিতাকে বললেনঃ হে হুসাইন! তুমি প্রতিদিন কত উপাস্যের পূজা-আৰ্চনা কর? আমার পিতা বললেন, সাতজন, ছয়জন এ মাটির দুনিয়াতে এবং একজন আকাশে। এবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি এদের মধ্যে কার থেকে আশা ও ভীতি অনুভব কর? তিনি বললেন, যে আকাশে আছে তার হতে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে হুসাইন, আহা! যদি তুমি ইসলাম গ্রহণ করতে তাহলে আমি তোমাকে দুটি বাক্য শিখিয়ে দিতাম যা তোমার কল্যাণে আসত।রাবী বলেনঃ হুসাইন (রাঃ) ইসলাম গ্রহণ করার পর বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাকে যে দুটি বাক্য শিখিয়ে দেয়ার ওয়াদা করেছিলেন, এখন তা আমাকে শিখিয়ে দিন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি বল, “হে আল্লাহ! আমাকে হিদায়াত নসীব কর(যাতেকরে ভবিষ্যতে গোমরাহ না হই) এবং আমার নাফসের অনিষ্ট হতে আমাকে বাঁচাও”।( সুনানে তিরমিযি-৩৪৮৩)
হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত
«٢٢٥٦- (١٢) وعن ابن عمر، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ((إن الدعاء ينفع مما نزل ومما لم ينزل، فعليكم عباد الله بالدعاء)) . رواه الترمذي.» - «مرعاة المفاتيح شرح مشكاة المصابيح»
(7/ 356)
রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, নিশ্চয় দু’আ বর্তমান বিপদ এবং আগামির বিপদ থেকে মানুষকে ফায়দা পৌছায়।সুতরাং হে লোকসকল তোমরা আল্লাহর কাছে দু’আ করো।(মিরকাত-২২৫৬)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহর কাছে ভবিষ্যতের ব্যাপারে ইশারা চেয়ে দুয়া করা জায়েয রয়েছে।