আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in ওয়াসওয়াসা by (4 points)
edited by
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু।                                                           (১)প্রথম প্রশ্ন - হুজুর মুখে উচ্চারণ করে শর্ত তালাক দিয়েছি কি সেটা নিশ্চিৎ না বা শিওর না আর নিশ্চিৎ না হলে হলে তো তালাক হয় না আপনাদের কাজ থেকে জেনেছি ।কিন্তু খালি সন্দেহ হয় তাই সন্দেহ কাটাবার জন্য সেই কাজটা করার চেষ্টা করেছি কিন্তু করতে পারিনি তো এতে কি তালাক হয়ে যাবে। কিছু উদাহারন নিচে দিলাম।                                                                              *উদাহারন যেমন * আমি হয়তো আমার হয়তো মণের মধ্যে উদিত হয়েছে যে আমি যদি সাইকেল চাইলে ১০ মিনিটের মধ্যে বাসায় না পংছাতে পারি তাহলে আমার বউ তালাক তারপর আমি ভয় পেয়ে সাইকেল চাইলে ১০ মিনিটে বাসায় পংছাতে যাবার চেষ্টা করি কিন্তু ১০ মিনিটে বাসায় পংছাতে পারিনি তাহলে কি তালাক পতিত হবে।                                                  *উদাহারন যেমন * একদিন আমি মোবাইলে ভিডিও দেখছিলাম সেখানে দুটি ছেলে বাইকে করে যাচ্ছিল যেতে যেতে একটি মেয়েকে ধাক্কা মারে তো সেখানে ছোট ছেলেটি বড় ছেলেটাকে বলে যে চল মেয়েটাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই পর্যন্ত দেখে আমি সরে যায় তখন আমার মধ্যে এমন চিন্তা এলো যে ওদের মধ্যে কোন ছেলেটা মেয়েটাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিল আমি যদি না বলতে পারি তাহলে আমার বউ তালাক। আমি তখন মনে মনে বলেছি নাকি উচ্চারণ করে বলেছি আমি নিশ্চিৎ হতে পারছি না আর নিশ্চিৎ না হলে তো তালাক হয় তো আমি বলেছি যে বড়ো ছেলেটা বলেছে যে মেয়েটাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় চল। তো আমি নিশ্চিৎ হবার জন্য ভিডিও টা আর একবার চাইলে দেখি যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথাটা। ছোট ছেলেটা বলেছে। তো আমি নিশ্চিৎ হতে পারছি যে আমি এমন শর্ত রেখেছি কি কিন্তু সেটা নিয়ে ঘাটা ঘাটি করার জন্য কি তালাক পতিত হবে।                              *উদাহারন যেমন * হুজুর একদিন মোবাইলে ভিডিও দেখছিলাম সেখানে একটি লোক তার বাসার ঠিকানা বলে যে আমার বাসা মুর্শিদাবাদ। তো এর একদিন পর হঠাৎ সেই কথাটা মনে পড়ে যে ওই লোকটা ওনার বাসা কোথায় বলেছিল তো তখন আমি মনে মনে বললাম নাকি মুখে উচ্চারণ করে বললাম যে ওই লোকটি ওনার বাসা বর্ধমান বলেছে। তো আমি নিশ্চিৎ হবার জন্য ভিডিও টা আর একবার চাইলে দেখি যে ওনার বাসা বর্ধমান তো হুজুর এক্ষেত্রে ও আমি মুখে উচ্চারণ করে শর্ত তালাক দিয়েছি কি আমি নিশ্চিৎ না। কিন্তু ওই বিষয় নিয়ে ঘাটা ঘাটি করার জন্য কি তালাক পতিত হবে।                                                                                              (২)*দ্বিতীয় প্রশ্ন  * হুজুর আপনাদের কাছে মাসআলা নিয়ে সংসার করছি খালি ভয় করে যে আমি আমার মালিকানা হাইরে ফেলিনি তো। আমরা জেনা করছি নাতো হুজুর আমি ভয়তে বাচ্ছা নিতে চাইছি না এদিকে আমার স্ত্রী বাচ্ছা নিতে চাইছে আমি কি করবো হুজুর আমার সাথে যা ঘটে আমি তো নিশ্চিৎ হতে পারি না যে আমি মুখে উচ্চারণ করে শর্ত তালাক দিয়েছি নাকি আমার মনে এগুলো উদিত হয় আর আমার তো তালাক দেবার ও ইচ্ছা নেই তো কি করবো হুজুর                                         (৩)*তৃতীয় প্রশ্ন * হুযুর এক সামী তার স্ত্রীকে পার্লার থেকে hair smoothing মানে মাথার চুলকে সিল্ক বানাতে চাই তো এটা কি জায়েজ হবে নাকি হারাম। কিন্তু সেই নারী পর্দা শিল বাড়ী থেকে বের হলে পর্দা করে বের হয়। প্রথমে সেই নারী রাজি হচ্ছিলোনা পড়ে স্বামীকে খুশি করতে রাজি হয়েছে তো এটা কি জায়েজ হবে। সামী কোনো ভিডিওর মাধ্যম দেখেছে তাই তার স্ত্রীর hair smoothing করাতে চাই যাতে তার স্ত্রী তার কাছে আরো সুন্দর লাগে তো এটা কি জায়েজ হবে। (৪) *চতুর্থ প্রশ্ন * হুজুর আমি মোবাইলে কিছু করছিলাম তখন হঠাৎ আমি মুখে উচ্চারণ করে বললাম নাকি মনে মনে বললাম যে আমি যদি মাগরিবের মধ্যে আমার প্রশ্ন লিখে হুজুরকে না পাঠাতে পারি তাহলে আমার বউ তালাক। হুজুর আমার সাথে এটা তখন আমি এটা কে অথটা গুরুপ্ত দিইনি কারন আমার তখন দুটো প্রশ্ন মনে ছিল তো দুটো প্রশ্ন আমি লিখে পাইঠে দিয়েছিলাম কিন্তু পাঠাবার পরে আমার অন্য পশ্নের কথা মনে পড়ে আর তখন মাগরিব পার হয়ে গিয়েছিল। তো হুজুর নিশ্চিৎ হতে পারছি না আমার স্ত্রীর সঙ্গে আমি খুব খুশি আছি তাকে তালাক দেবার কোনো নিয়ত আমার নেই। বিনা কারনে আমি তালাক কেনো দেবো। এখন আমি কি করবো। আমি এত টুকু নিশ্চিৎ হয়ে বলতে পারি যে আমি সুনিশ্চিত হয়ে শর্ত তালাক দিইনি। এবং পরিষ্কার শব্ধ করে বলিনি তো এতে কি তালাক হবে।

1 Answer

0 votes
by (607,050 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 62 views
...