আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)

একবার আমার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হয়েছিল। কিছুটা হাতাহাতি হয়। রাগারাগি করে সে বাবার বাড়ি চলে গিয়েছিলো। তখন তাকে এবং তার আম্মুকে বলেছিলাম, এরপর আমি গায়ে হাত তুললে (মারধর করলে) আমাকে যেকোনো শাস্তি দিতে পারবে। যেকোনো শাস্তি বলতে আমার যতটুক মনে পরে, আমি মনে মনে এটা বুঝিয়েসিলাম যে, সেও আমাকে মারতে পারবে, বা আমার কাছে থেকে কোনো টাকার এমাউন্ট জরিমানা চাইতে পারবে, বা আমাকে জেলে পাঠাতে পারবে, এমন কিছু। কিন্তু মনে মনে কখনোই সম্পর্ক ছিন্ন করার বেপারে কিছু ভাবিনি।

  1. এখন আমার স্ত্রী যদি যেকোনো শাস্তি বলতে যেকোনো শাস্তির কথাই বুঝে, এবং আমি যদি তাকে কোনো দিন ইচ্ছাকৃত ভাবে মারি, তাহলে সে আমাকে শাস্তির কথা বলে সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে কি?

    1. সেটা যদি পারে, তাহলে কি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলেই সম্পর্ক হালাল থাকবে না, এমন হবে কি? নাকি নির্দিষ্ট কোনো প্রক্রিয়াতে সেটা করতে হবে তার?

    2. সেটা যদি পারে, আমি কি আমার কথা ফিরিয়ে নিতে পারবো?

  2. আমার জ্ঞানে আমি সেদিনের পরে তাকে কখনো মারিনি বা মারধোর করিনি। কিন্তু একদিন রাগারাগি করে বেডরুম থেকে বের হয়ে অন্য রুমে যেতে চাইলে আমি তাকে টেনে বেডরুমে নিয়ে আসি। আমার রাগ হয়েছিল কিন্তু আমি তাকে মারার উদ্দেশ্যে এটা করিনি। এখন সে যদি বলে সে ব্যাথা পাইছে, তাইলে কি এটাকে ওই রকম মারার মধ্যে ধরতে হবে যেটা আমি করবো না বলে তাকে কথা দিয়েছিলাম?

  3. আবার অনেক সময় আমার কথা ঠিক মতো শুনে না বলে আমি তাকে ২ হাতের মধ্যে ধরে আমার দিকে ঘুরিয়ে রেখে কথা বলি যেন সে ঠিক মতো আমার কথা শুনে। এই কাজের মধ্যে সে ব্যথা পাইলে এটাও কি ওই রকম মারার মধ্যে পড়বে?

  4. আমার আরো কিছু খারাপ অভ্যাস বাদ দেয়ার ব্যাপারে আমি তাকে কথা দেই। কিন্তু মাঝে মাঝে সেটা করে ফেলি। আমার যতটুকু মনে পড়ে, আমি শুধু মারার কারণেই আমার বিরুদ্ধে শাস্তির কথা বলেছিলাম। অন্যান্য খারাপ অভ্যাস গুলার বেপারে এটা বলিনি। আমার কোনো খারাপ অভ্যাস বসত কোনো কাজ যদি করে ফেলি, সে যদি বলে “তুমি কিন্তু শাস্তির কথা বলছিলা”, তাহলে কি একই ভাবে সম্পর্কের বেপারে সে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার রাখবে?

  5. আমার যতটুকু মনে পড়ে আমি মারার কারণেই শাস্তির কথা বলসিলাম। আমি যদি ভুল হই অর্থাৎ অন্য কারণেও যদি শাস্তির কথা বলে থাকি (যেটা আমার মনে পড়ছে না) তাহলে ঐসব বেপারেও কি একই শর্ত আরোপ হবে?

  6. এছাড়া নারীরা স্বভাব সুলভ ভাবেই মাঝে মাঝে বলে, “তোমার সাথে থাকবো না“, আমার প্রশ্নের সাপেক্ষ্যে তাতে কি কোনো সমস্যা হবে?

  7. আমার স্ত্রী যখন বাবার বাড়ি চলে গিয়েছিল তখন তার বাবা মা বা সে যদি সম্পর্ক ছিন্ন করার বেপারে কিছু ভেবে থাকে তাহলে কি কোনো সমস্যা হবে? কারণ আমি পরবর্তীতে মারার জন্য শাস্তির কথা বলেছি এবং আমার স্ত্রী তো আমার কাছে ফিরে এসেছে।

1 Answer

0 votes
by (632,970 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
তালাক প্রদান করা সম্পূর্ণ স্বামীর অধীকার।হ্যা শরীয়ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রীকে নিজের উপর তালাক প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে।যেমন,স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক প্রদানের অনুমতি প্রদান করলে,স্ত্রী নিজেকে তালাক দিতে পারবে।তাছাড়া স্বামী খোরপোষ না দিলে,স্ত্রী কাযী সাহেবের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।কিংবা স্বামী নিখোঁজ হলে বা ধ্বজভঙ্গ হলে কোর্ট বিবাহ ভঙ্গের রায় দিতে পারবে।

স্বামীর খোঁজখবর না থাকলে স্ত্রী চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।চার বছর অপেক্ষার পরও যদি স্বামীর কোনো খোঁজখবর না মিলে,কোর্ট স্বামীর পক্ষ্য থেকে বিবাহ ভঙ্গ করে দিবে।স্ত্রী তালাক দিতে পারবে না।তালাক দেয়ার অধীকার স্ত্রীর নেই।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4506


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
'এরপর আমি গায়ে হাত তুললে (মারধর করলে) আমাকে যেকোনো শাস্তি দিতে পারবে।'

এ কথা দ্বারা স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে না। সুতরাং আপনার উক্ত কথার মধ্যে স্ত্রীর জন্য তালাকের অধিকার নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

ago by (1 point)
৬ এবং ৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর একটু বিস্তারিত বলবেন?

এছাড়া নারীরা স্বভাব সুলভ ভাবেই মাঝে মাঝে বলে, “তোমার সাথে থাকবো না“, আমার প্রশ্নের সাপেক্ষ্যে তাতে কি কোনো সমস্যা হবে?

আমার স্ত্রী যখন বাবার বাড়ি চলে গিয়েছিল তখন তার বাবা মা বা সে যদি সম্পর্ক ছিন্ন করার বেপারে কিছু ভেবে থাকে তাহলে কি কোনো সমস্যা হবে? কারণ আমি পরবর্তীতে মারার জন্য শাস্তির কথা বলেছি এবং আমার স্ত্রী তো আমার কাছে ফিরে এসেছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...