আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
53 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১.রোযা অবস্থায় সাদাস্রাব পরিষ্কার করার জন্য টিস্যু লজ্জাস্থানের খানিকটা ভেতরে প্রবেশ করালে কি রোযা ভেঙ্গে যাবে? কতটুকু ভিতরে প্রবেশ করালে রোযা ভেঙ্গে যায়? পিছন দিক থেকে পরিষ্কার করে সামনের দিকে আসার কারণে যদি টিস্যু একটু ভিজে যায়?
কয়বার এমন হয়েছে আর কতটুকু ভিতরে টিস্যু প্রবেশ করিয়ে পরিষ্কার করেছি তা ভুলে গেছি। খুবই দ্বিধায় ভুগছি। এক্ষেত্রে রোযার কোনো ক্ষতি হলে কাযা আদায় করবো কীভাবে?

২. সাদাস্রাব কি লজ্জাস্থানের বাইরে আসলে অযূ ভেঙ্গে যাবে শুধু? নাকি ভিতরে থাকলেও অযূ ভেঙ্গে যাবে? নামাযে দাঁড়ালেই সন্দেহে ভুগতে থাকি। অনেকবার অযু করতে হয়। মাযুর নই। টিস্যু দিয়ে ভিতরে পরিষ্কার করলেই সাদাস্রাব দেখা যায়। ভিতরের দিকে প্রবেশ না করালে সবসময় বুঝা যায় না। একদম ভিতর দিক প্রবেশ না করিয়ে যদি শুধু বাইরের দিকে দেখি স্রাব নেই তাহলে কি অযূ ঠিক থাকবে?

৩. লজ্জাস্থানের আশেপাশে যে আদ্রতা বা ভিজাভাব থাকে সবসময় সেটা যদি সেলোয়ারে লেগে যায় তাহলে কি কাপড় পাল্টানো জরুরী? নাকি পানি দিয়ে জায়গাটা ধুয়ে দিলেই হবে?

জাযাকাল্লাহু খইরন

1 Answer

0 votes
by (641,250 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বাহির থেকে কোনো বস্তু দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার পর রোযা ভঙ্গ হবে কি না? এ সম্পর্কে মূলনীতিঃ
এ ব্যাপারে ফকিহগণ একমত যে,ততক্ষণ পর্যন্ত রোযা ভঙ্গ হবে না,যতক্ষণ না পাঁচটি বস্তু একত্রিত হচ্ছে।অর্থাৎ কোন বস্তু দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলেই রোযা ভঙ্গ হয়না ,যে পর্যন্ত নিন্মোল্লিখিত পাঁচটি জিনিষ পাওয়া যাচ্ছে।
হানাফী ফিক্বহের উসূল-
১। বস্তুকণার বৈশিষ্ট্যঃ দৃশ্যমান হওয়া, ছোট-বড়, পুষ্টিকর-অপুষ্টিকর যাই হোক।
২। গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিঃ গন্তব্যে স্থায়ীভাবে অবস্থান করা।(বাদায়ে সানায়ে-২/২২৭)
৩। বস্তুকণার প্রবেশপথঃ মুখ, নাক, মলদ্বার। (চোখ, কান, মূত্রনালী, যোনীপথ, ত্বক, লোমকূপ ইত্যাদি গ্রহণোযগ্য প্রবেশপথ নয়।
৪। বস্তুকণার গন্তব্যঃ গলা, পাকস্থলী, অন্ত্র। (ইতোপুর্বে মস্তিষ্ককেও অন্তর্ভুক্ত করা হতো, কিন্তু পরবর্তীতে চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতির ফলে জানা গিয়েছে যে, খাবার সরাসরি মস্তিষ্কে পৌঁছে না, তাই এটিকে গন্তব্য থেক বাদ দেয়া হয়েছে।)
৫। প্রতিবন্ধকঃ ভুলে অথবা আধিক্যের কারণে বস্তুকণা প্রবেশ করলে রোযা ফাসিদ হবে না। যেমন- কেউ ভুলে কোন ঔষধ খেয়ে ফেললো কিংবা ধোয়া ও ধূলাবালির আধিক্যের কারণে তা নাক-মুখ দিয়ে প্রবেশ করলো,তাহলে এমতাবস্থায় রোযা ভঙ্গ হবে না।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

(১) রোযা অবস্থায় সাদাস্রাব পরিষ্কার করার জন্য টিস্যু লজ্জাস্থানের খানিকটা ভেতরে প্রবেশ করালে রোযা ভেঙ্গে যাবে না। তবে তরল টিস্যু তথা টিস্যুতে পীর্ব কিছু থাকলে, তখন  ভিতরে প্রবেশ করালে রোযা ভেঙ্গে যাবে। 

(২) সাদাস্রাব লজ্জাস্থানের বাইরে আসলে অযূ ভেঙ্গে যাবে। ভিতরে থাকলেও অযূ ভঙ্গ হবে না। 

(৩) লজ্জাস্থানের আশেপাশে যে আদ্রতা বা ভিজাভাব থাকে সবসময় সেটা যদি সেলোয়ারে লেগে যায়, তাহলে কাপড় পাল্টানো জরুরী নয়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
উপরে তো লিখা আছে বস্তুকণার প্রবেশপথের জন্য তো যোণীপথ গ্রহণযোগ্য নয়। তাহলেও কি ভিজা টিস্যু খানিকটা প্রবেশ করালে রোযা ভঙ্গ হবে? আর কতটুকু ভিতরে প্রবেশ করালে ভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা আছে?

এর আগে তো এই মাসাআলার ব্যাপারেও জানা ছিলো না। কয়টা রোযা ফাসিদ হয়েছে বা কী এসব ব্যাপারে কোনো সুস্পষ্ট ধারণাই নেই। তাহলে কাযা আদায় করবো কীভাবে? বা করণীয় কী?
by (641,250 points)
যোনী পথে প্রবেশ করালে রোযা ভঙ্গ হবে না। কয়টি রোযা অতীতে ভঙ্গ হয়েছে? সেটা অনুমান করে নির্ধারণ করতে হবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...