আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ শায়েখ।
১. আমি ইতিকাফরত অবস্থায় আম্মু যদি বারবার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় -অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে এসে কথা বলে নিষেধ করা সত্ত্বেও, এবং আমিও যদি প্রতিটি কথারই উত্তর দেই সেক্ষেত্রে ইতিকাফ কি ফাসিদ হয়ে যাবে?
২. ইতিকাফের স্থানে অন্য দুজন এসে বসে যদি দুনিয়াবি গল্প করেন, গিবত করেন, আমার ইতিকাফ কি ফাসিদ হয়ে যাবে? আমি সরাসরি উঠে যেতে বলতে পারিনি যেহেতু তারা বয়স্ক, তবে গিবত যখন করছিলেন তখন আমি অন্য কিছু বলে তার কথার প্রসঙ্গ পরিবির্তন করার চেষ্টা করেছিলাম।
৩. বারবার নিষেধ করার পরেও কথা বলার জন্য আমি যদি কঠোর ভাষায় কথা বলে ফেলি এবং কঠোরভাবে দুনিয়াবি কথা বলতে নিষেধ করি, কঠোরতার জন্য আমার ইতিকাফ কি নষ্ট হয়ে যাবে বা গুনাহগার হয়ে গেলাম?
৪. আম্মু যেনো ইতিকাফে বসেন, মনে মনে চাইছিলাম। কিন্তু আম্মু ও যদি বসেন, সেক্ষেত্রে খাবার রান্না করা, ইতিকাফ রুমে খাবার এনে দেয়ার কেউ থাকবে না। হুট করে মনের অজান্তেই চলে এসেছে যে আমার হায়েজ হয়ে গেলে আম্মুকে খাবার এনে দিতে পারব, সে ইতিকাফে বসতে পারবে। এরকম একটা ইচ্ছা যদি মনে চলে আসে কয়েকবার এবং সত্যিই হায়েজ হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে আমি কি গুনাহগার হয়ে গেলাম? আল্লাহ কি আমার ইতিকাফ কবুল করলেন না বিষয়টি এমন? খুবই কষ্ট পাচ্ছি বিষয়টি নিয়ে। যতবারই মনে এই ইচ্ছাটি এসেছে সম্ভবত ততবারই আল্লাহকে মাফ চেয়ে বলেছি যেন ১০ দিনই আমাকে বসার ত্বওফিক দেন এবং কবুল করে নেন।
৫. শেষ দশকে সাহাবীরা সন্ধ্যায় গোসল করে উত্তম পোশাক পড়ে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতেন। এটা কি সঠিক? সাহাবাদের এই সুন্নাহ এর উপর কি আমল করা যাবে?
৬. ইতিকাফরত অবস্থায় কেউ যদি অনলাইনে ইসলামিক বই/কুরআন অর্ডার করেন, তার ইতিকাফ কি ফাসিদ হয়ে যাবে?
জাজাকুমুল্লাহ খইরন ফিদ্দুনইয়া ওয়াল আখিরাহ শায়েখ। একটু সময় করে উত্তর জানালে উপকৃত হতাম শায়েখ।