জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
لباب المناسک :
"(واذا حلق ) أي المحرم (راسه) اي راس نفسه (او راس غيره) أي ولو كان محرما (عند جواز التحلل) أي الخروج من الاحرام باداء افعال النسك ( لم يلزمه شيئ)".
(باب مناسک منی، فصل فی الحلق و التقصیر، ص:324، ط:مكتبه امداديه)
সারমর্মঃ-
মুহরিম ব্যক্তি যদি নিজের মাথা হলক করে অথবা সেই মুহরিম থাকা অবস্থায় অন্য কোন মুহরিমের মাথা হলক করে দেয়, সেক্ষেত্রে তার উপর কোন কিছু আবশ্যক হবে না
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মুহরিম ব্যক্তি নিজের চুল নিজে কেটে হালাল হলে কোনো কিছু আবশ্যক হবেনা।
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ إِسْحَاقَ - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتِ السُّنَّةُ عَلَى الْمُعْتَكِفِ أَنْ لاَ يَعُودَ مَرِيضًا وَلاَ يَشْهَدَ جَنَازَةً وَلاَ يَمَسَّ امْرَأَةً وَلاَ يُبَاشِرَهَا وَلاَ يَخْرُجَ لِحَاجَةٍ إِلاَّ لِمَا لاَ بُدَّ مِنْهُ وَلاَ اعْتِكَافَ إِلاَّ بِصَوْمٍ وَلاَ اعْتِكَافَ إِلاَّ فِي مَسْجِدٍ جَامِعٍ
ওয়াহব ইবন বাকীয়্যা ......... আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ই‘তিকাফের জন্য সুন্নাত এই যে, সে যেন কোন রোগীর পরিচর্যার জন্য গমন না করে, জানাযার নামাযে শরীক না হয়, স্ত্রীকে স্পর্শ না করে এবং তার সাথে সহবাস না করে। আর সে যেন বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত মসজিদ হতে বের না হয়। রোযা ব্যতীত ই‘তিকাফ নেই এবং জামে মসজিদ ব্যতীত ই‘তিকাফ শুদ্ধ নয়।
(আবু দাউদ ২৪৬৫)
মসজিদে নববীতে ইতিকাফকারী ব্যক্তিদের জন্য প্রয়োজন ছাড়া মসজিদের চার দেয়ালের বাইরে যাওয়া জায়েজ নয়, তবে হারামের বাইরে প্রস্রাব করার জন্য যাওয়া জায়েজ, এবং যদি তাড়াহুড়ো হয় তবে টয়লেটে অপেক্ষা করাও জায়েজ, এবং যদি খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য কেউ না থাকে এবং মসজিদের সীমানার মধ্যে সেহরি ও ইফতারের ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে হারামের বাইরে গিয়ে খাবার সংগ্রহ করাও জায়েজ, এবং যদি হারামে খাবার আনার অনুমতি না থাকে, তাহলে হারামের বাইরে বসে খাওয়াও জায়েজ। তবে, উপরে উল্লিখিত প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো ছাড়া, মসজিদের সীমানার বাইরে অল্প সময় থাকা জায়েয নয়, যেমন: বাইরে থেমে গল্প করা বা আড্ডা দেওয়া।
আজকাল, গ্র্যান্ড মসজিদ এবং মসজিদে নববীতে সেহরি ও ইফতারের জন্য সাধারণত কিছু খাবার পাওয়া যায়, তাই যদি ভেতরে ব্যবস্থা করা হয় এবং এটি প্রয়োজন মেটাতে পারে, তাহলে খাবারের জন্য বাইরে যাওয়া অনুমোদিত নয়। আর যদি মসজিদের ভেতরে থাকা সাধারণ খাবার কারোর চাহিদা পূরণ না করে অথবা কারো স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত না হয় এবং খাবার আনার মতো কেউ না থাকে, তাহলে ইহরামে থাকা ব্যক্তির জন্য নিজে বাইরে গিয়ে খাবার আনা জায়েজ। আর যদি খাবার ভেতরে আনার অনুমতি না থাকে, তাহলে বাইরে খাওয়ারও অনুমতি থাকবে।
উল্লেখ্য যে, গ্র্যান্ড মসজিদে ইতিকাফকারীরা তাওয়াফ করতে পারেন, একইভাবে, মসজিদে নববীতে ইতিকাফকারীরা মসজিদের সীমানার মধ্যে থেকে নবী (সা.)-এর মাজারে সালাম পেশ করতে পারবেন। তবে মুওয়াজাহা শরীফে সালাম প্রদানের পর, মসজিদের সীমানার মধ্যেই ফিরে আসা উচিত এবং বাইরে থেকে বের হওয়া উচিত নয়।
মসজিদুল হারাম এবং মসজিদুল নববীর শরিয়া সীমানার চিহ্ন সেখানে রয়েছে। দুটি পবিত্র মসজিদের ভবনের শেষে, উঠোনের আগে, মসজিদের সীমানা। মসজিদে নববীতে, সাদা মার্বেল যতদূর ভবনের সাথে সংযুক্ত, ততদূর এটি মসজিদের অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়। উপরে উল্লেখিত শর্ত ব্যতীত উভয় মসজিদের আঙিনায় যাবেন না। একইভাবে, হারাম আল-মাক্কিতে সাফা ও মারওয়ার মধ্যবর্তী সাঈ স্থানটি শরিয়া মসজিদের অন্তর্ভুক্ত নয়। একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন।
এতেকাফের স্থান হলো শরয়ী মসজিদ, সুতরাং মসজিদে নববীতে এবং মসজিদে হারামে যেটা সরাসরি মসজিদের সীমানা, সেটাই এতেকাফের সীমানা।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ইতিকাফ অবস্থায় হুদুদে হারামের মধ্যে থাকা হোটেলে যাওয়া যাবেনা,খাবারের ব্যবস্থা কোনোভাবেই না হলে সেক্ষেত্রে অন্যের মাধ্যমে খাবার নিয়ে আসতে হবে।
সেটিও সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে হুদুদে হারামের মধ্যে থাকা হোটেলে গিয়ে শুধু খাবার আনা যাবে,সেখানে বসে খাওয়া বা অবস্থান করা যাবেনা।
বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মসজিদে হারামের চার দেয়ালের বাইরে যাওয়া জায়েজ নয়।
গেলে ইতেকাফ ভেঙে যাবে।
(০৩)
যদি এমন কোনো ব্যক্তি যার উপর হজ্ব ফরয নয় সে আশহুরে হজে কাবা দেখে বা তথায় অবস্থান করে,তাহলে এমন ব্যক্তির ব্যাপারে ব্যাখ্যা হল-
যদি হজ্বের সময় পর্যন্ত মক্কায় অবস্থান করা তার জন্য সার্বিক বিবেচনায় সম্ভব থাকে, অর্থাৎ সেখানে অবস্থানের খরচ এবং এবং বাড়িতে রেখে যাওয়া পরিবারবর্গের ওয়াজিব ভরণপোষণের দায়িত্ব আঞ্জামের ব্যবস্থা থাকে,তাহলে তার উপর হজ্ব ফরয হবে।কিন্তু যদি হজ্ব পর্যন্ত থাকার খারচ ও পরিবারবর্গের ভরণপোষণের দায়িত্ব আদায় করার পরও সরকারী বিধি-নিষেধের কারণে সেখানে অবস্থান তার জন্য সম্ভব হয় না।তাহলে এমতাবস্থায় তার উপর হজ্ব ফরয হবে না।তবে কিছু কিছু ফুকাহায়ে কেরাম তার উপর হজ্ব ফরয করে থাকেন।(আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৫২৯)
কিন্তু যে ব্যক্তি অতীতে ফরয হজ্ব করে ফেলেছেন,তার জন্য শাওয়ালে অবস্থানের পরও হজ্ব ফরয হবে না।
আর যে ব্যক্তি টাকা সম্পত্তি রয়েছে,তার উপর তো এমনিতেই হজ্ব ফরয।শাওয়ালে সেখানে অবস্থান করুক বা নাই করুক তার উপর সামর্থ্য থাকার ধরুণ এমনিতেই হজ্ব ফরয।
আরো জানতে ভিজিট করুন- 1698
https://ifatwa.info/1703/