ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আমি নিজেকে ক্বদরের রাতের সকালে পানি ও কাদায় সিজদা্ করতে দেখেছি। কাজেই তোমরা শেষ দশকে এবং প্রত্যেক বেজোড় রাতে তা অন্বেষণ করো। আবূ সাঈদ (রাঃ) বলেন, ঐ রাতে আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষিত হলো, তখনকার মাসজিদ খেজুর পাতার চালনীর হওয়াতে ছাদ থেকে পানি পড়ছিলো। আবূ সাঈদ (রাঃ) বলেন, একুশ তারিখ সকালে আমার চোখ দিয়ে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কপালে ও নাকে কাদামাটি লেগে থাকতে দেখেছি। [বুখারী (অধ্যায় : লাইলাতুল ক্বদরের ফাযীলাত, হাঃ ২০১৮), মুসলিম (অধ্যায় : সিয়াম, অনুঃ লাইলাতুল ক্বদরের ফাযীলাত), নাসায়ী (অধ্যায় : সাহু, অনুঃ সালামের পর কপাল মাসাহ না করা, হাঃ ১৩৫৫) আবূ সালামাহ হতে]
সুনানে আবু দাউদ-১৩৮২)
উপরের হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে, লাইলাতুলকদর ২১ তারিখে ছিলো। কিন্তু নিচের হাদীসে কোনো তারিখ নির্দিষ্ট করা হয়নি, বরং শেষ দশকের বেজোড় রাত্রিতে লাইলাতুলকদর তালাশের কথা বলা হচ্ছে।
রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ
“তোমরা রামাযানের শেষ দশকে লায়লাতুল কদর অনুসন্ধান কর।”
এদ্বারা বুঝা যায় উহা নির্দিষ্ট একটি রাতে নয়। এজন্য মু’মিন শেষ দশকের প্রতিটি রাতেই অনুসন্ধান করবে ও যে কোন রাতে তা পেয়ে যাওয়ার জন্য আশা করবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
লাইলাতুল কদর সবসময় কোনো এক নির্দিষ্ট রাত্রে হবে না। বরং একেক রমজানে একেক তারিখে লাইলাতুল কদর হবে। এবার যদি লাইলাতুল কদর ২৩ তারিখ হয়, পরের বার একই তারিখে হতে পারে আবার অন্য তারিখেও হতে পারে।