আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
50 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু,

আমাদের এইদিকে অনেক বয়স্ক একটা লোক একসময় ছোটো শিশুদের ধর্ষণ করছিলো, তো ওই লোক এখন প্রচুর অসুস্থ এবং তার পারিবারিক আর্থিক অবস্থাও খুবই খারাপ, এই মুহূর্তে তারা যাকাতের টাকা চায় , তো আমার তাদেরকে কোনো ধরনের সাহায্য করতেও ইচ্ছা করে না + ওই লোকের কথা শুনলেই মনে থেকে তার ধ্বংসের জন্য দুয়া চলে আসে , আমার কি এইরকম করা উচিত হচ্ছে নাকি তাকে সাহায্য করা উচিত হবে? একটু জানাবেন প্লীজ, আর কারো জন্য এইভাবে বদ দুয়া করা ইসলামে কতটুকু সাপোর্ট করে যদি বলতেন মুনাসিব হতো।

1 Answer

0 votes
by (70,170 points)

 

بسم الله الرحمن الرحيم

 

জবাবঃ-

হযরত ওয়াইল ইবনে হুজর (রা.) বর্ণনা করেন

عَنْ عَبْدِ الْجَبَّارِ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ اسْتُكْرِهَتِ امْرَأَةٌ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَدَرَأَ عَنْهَا الْحَدَّ وَأَقَامَهُ عَلَى الَّذِي أَصَابَهَا . وَلَمْ يَذْكُرْ أَنَّهُ جَعَلَ لَهَا مَهْرًا .

, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর যুগে এক মহিলাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হলে রাসুলুল্লাহ (সা.) ধর্ষককে হদের (কোরআন-হাদিসে বহু অপরাধের ওপর শাস্তির কথা আছে। এগুলোর মধ্যে যেসব শাস্তির পরিমাণ ও পদ্ধতি কোরআন-হাদিসে সুনির্ধারিত তাকে হদ বলে) শাস্তি দেন।’ -ইবনে মাজাহ: ২৫৯৮

 

حَدَّثَنِي نَافِعٌ أَنَّ صَفِيَّةَ بِنْتَ أَبِي عُبَيْدٍ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ عَبْدًا مِنْ رَقِيقِ الإِمَارَةِ وَقَعَ عَلَى وَلِيدَةٍ مِنْ الْخُمُسِ فَاسْتَكْرَهَهَا حَتَّى اقْتَضَّهَا فَجَلَدَهُ عُمَرُ الْحَدَّ وَنَفَاهُ وَلَمْ يَجْلِدْ الْوَلِيدَةَ مِنْ أَجْلِ أَنَّهُ اسْتَكْرَهَهَا قَالَ الزُّهْرِيُّ فِي الأَمَةِ الْبِكْرِ يَفْتَرِعُهَا الْحُرُّ يُقِيمُ ذَلِكَ الْحَكَمُ مِنْ الأَمَةِ الْعَذْرَاءِ بِقَدْرِ قِيمَتِهَا وَيُجْلَدُ وَلَيْسَ فِي الأَمَةِ الثَّيِّبِ فِي قَضَاءِ الأَئِمَّةِ غُرْمٌ وَلَكِنْ عَلَيْهِ الْحَدُّ

হযরত উমর (রা.) এর শাসনামলে সরকারি মালিকানাধীন এক গোলাম এক দাসির সঙ্গে জবরদস্তি করে ব্যভিচার (ধর্ষণ) করে। এতে ওই দাসির কুমারিত্ব নষ্ট হয়ে যায়। হযরত উমর (রা.) ওই গোলামকে কষাঘাত করেন এবং নির্বাসন দেন। কিন্তু দাসিটিকে কোনো শাস্তি প্রদান করেননি।’ (সহিহ বোখারি: ৬৯৪৯)

 

বিবাহিত পুরুষ জোরপূর্বক কোনো নারীকে যিনা ব্যভিচার করলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে।তবে নারীকে শাস্তি দেয়া হবে না, যেহেতু সেরা নিরুপায়।আর অবিবাহিত কোনো পুরুষ যিনা ব্যভিচার করলে তাকে জনসম্মুখে লাইভের মাধ্যমে ১০০ টা বেত্রাঘাত করা হবে।

 

যেহেতু যিনার শাস্তি খুবই ভয়ানক,তাই এ শাস্তি প্রয়োগের জন্য চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রয়োজন।অথবা যিনাকারীদের স্বীকারোক্তি প্রয়োজন। তবে যদি সমাজ সমাজ ব্যবস্থার এমন অধঃপতন হয়,যে মহিলারা পর্দা পুশিদা মত থাকার পরও তাদেরকে ঘর থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে বা মাহরাম সাথে থাকাবস্থায় রাস্তা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়,তাহলে এমন পরিস্থিতিতে মুসলমান হাকীম চার সাক্ষী ব্যতীত অন্যান্য নিশ্চিত প্রমাণাদির উপর নির্ভর করে,মৃত্যু দন্ডের শাস্তিও বাস্তবায়ন করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...