بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাবঃ-
হযরত ওয়াইল ইবনে হুজর (রা.) বর্ণনা করেন
عَنْ عَبْدِ الْجَبَّارِ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ
اسْتُكْرِهَتِ امْرَأَةٌ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
فَدَرَأَ عَنْهَا الْحَدَّ وَأَقَامَهُ عَلَى الَّذِي أَصَابَهَا . وَلَمْ
يَذْكُرْ أَنَّهُ جَعَلَ لَهَا مَهْرًا .
, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর যুগে
এক মহিলাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হলে রাসুলুল্লাহ (সা.) ধর্ষককে হদের (কোরআন-হাদিসে
বহু অপরাধের ওপর শাস্তির কথা আছে। এগুলোর মধ্যে যেসব শাস্তির পরিমাণ ও পদ্ধতি
কোরআন-হাদিসে সুনির্ধারিত তাকে হদ বলে) শাস্তি দেন।’ -ইবনে মাজাহ: ২৫৯৮
حَدَّثَنِي نَافِعٌ أَنَّ صَفِيَّةَ بِنْتَ أَبِي عُبَيْدٍ
أَخْبَرَتْهُ أَنَّ عَبْدًا مِنْ رَقِيقِ الإِمَارَةِ وَقَعَ عَلَى وَلِيدَةٍ مِنْ
الْخُمُسِ فَاسْتَكْرَهَهَا حَتَّى اقْتَضَّهَا فَجَلَدَهُ عُمَرُ الْحَدَّ
وَنَفَاهُ وَلَمْ يَجْلِدْ الْوَلِيدَةَ مِنْ أَجْلِ أَنَّهُ اسْتَكْرَهَهَا قَالَ
الزُّهْرِيُّ فِي الأَمَةِ الْبِكْرِ يَفْتَرِعُهَا الْحُرُّ يُقِيمُ ذَلِكَ
الْحَكَمُ مِنْ الأَمَةِ الْعَذْرَاءِ بِقَدْرِ قِيمَتِهَا وَيُجْلَدُ وَلَيْسَ
فِي الأَمَةِ الثَّيِّبِ فِي قَضَاءِ الأَئِمَّةِ غُرْمٌ وَلَكِنْ عَلَيْهِ
الْحَدُّ
হযরত উমর (রা.) এর শাসনামলে সরকারি মালিকানাধীন এক গোলাম এক দাসির সঙ্গে
জবরদস্তি করে ব্যভিচার (ধর্ষণ) করে। এতে ওই দাসির কুমারিত্ব নষ্ট হয়ে যায়। হযরত
উমর (রা.) ওই গোলামকে কষাঘাত করেন এবং নির্বাসন দেন। কিন্তু দাসিটিকে কোনো শাস্তি
প্রদান করেননি।’ (সহিহ বোখারি: ৬৯৪৯)
বিবাহিত পুরুষ জোরপূর্বক কোনো নারীকে যিনা ব্যভিচার করলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া
হবে।তবে নারীকে শাস্তি দেয়া হবে না,
যেহেতু সেরা নিরুপায়।আর
অবিবাহিত কোনো পুরুষ যিনা ব্যভিচার করলে তাকে জনসম্মুখে লাইভের মাধ্যমে ১০০ টা
বেত্রাঘাত করা হবে।
যেহেতু যিনার শাস্তি খুবই ভয়ানক,তাই এ শাস্তি প্রয়োগের
জন্য চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রয়োজন।অথবা যিনাকারীদের স্বীকারোক্তি প্রয়োজন। তবে
যদি সমাজ সমাজ ব্যবস্থার এমন অধঃপতন হয়,যে মহিলারা পর্দা পুশিদা
মত থাকার পরও তাদেরকে ঘর থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে বা মাহরাম সাথে থাকাবস্থায় রাস্তা
থেকে ছিনিয়ে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়,তাহলে এমন পরিস্থিতিতে
মুসলমান হাকীম চার সাক্ষী ব্যতীত অন্যান্য নিশ্চিত প্রমাণাদির উপর নির্ভর করে,মৃত্যু
দন্ডের শাস্তিও বাস্তবায়ন করতে পারবেন।