আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
1,038 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম

বাংলাদেশ যেহেতু ইসলামী আইনে চলে না।সেই ক্ষেত্রে পুলিশ বা প্রশাসন ক্যাডারের চাকরি করা কতটুকু শরিয়ত সম্মত।যেহুতু অনেক সময় অনেক ইসলাম বিরুধি আইন অনুযায়ী কাজ করতে হয়।কেউ যদি নিজের আকিদা বিশ্বাস ঠিক রেখে যথাসম্ভব শরীয়াহ মেনে চলে সেই ক্ষেত্রে তিনি চাকরি করতে পারেন কি না।জানালে উপকৃত হতাম।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


বাংলাদেশে পুলিশ বা প্রশাসন ক্যাডারে অধিকাংশই যদি ইসলামপন্থি হয়ে যায়,তাহলে দেশের অবস্থায় আমূল পরিবর্তন চলে আসবে।

সুতরাং দ্বীনদ্বার ব্যক্তিবর্গর জন্য এসব বাহিনীতে  যোগ দেওয়া অত্যন্ত অপরিহার্য। বিশেষকরে যাদের ইসলাম নিয়ে চিন্তাভাবনা রয়েছে।যারা ইসলামের স্বার্থকে সর্বদা মাথায় রাখেন,তাদের জন্য এসব বাহিনী তে যোগ দেওয়া সময়ের দাবী।

শরীয়তের বিধান হলো সরকারী  চাকুরী করা জায়েয।তবে কুরআন হাদীস বিরোধী কোনো কিছু বাস্তবায়ন করার কাজ হলে,বা এমন কোনো চাকুরী যেখানে গেলে কুরআন-হাদীসকে সঠিকভাবে অনুসরণ করা যায় না।তাহলে এমন চাকুরী কখনো বৈধ হবে না।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৭/৫০৪) 

পূর্বের কিছু ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে সরকারী নিরাপত্তা বাহিনী তথা সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাব এ চাকরি করা জায়েজ আছে। তবে চাকরি করতে গিয়ে যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল, দীন ও শরীয়ত বিরোধী কোন আদেশ জারি করা হয় তাহলে তা মানা জায়েজ নয়। তবে যদি এমন চাকরি হয়, যার কাজই হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এবং দীন ও শরীয়ত বিরোধী কাজ করা তাহলে এমন চাকরি করা বৈধ হবে না।
হাদীস শরীফে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেছেন-

لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق

'সৃষ্টিকর্তা তথা আল্লাহ তা'আলার অবাধ্যাচরণে কোন মাখলুকের আনুগত্য নেই।'

কোন কোন বর্ণনায় এসেছে-
انما الطاعة في المعروف
'ভালো কাজের ক্ষেত্রেই কেবল আনুগত্য হবে।' (সহিহ বুখারী : ৭২৫৭, সহিহ মুসলিম : ১৮৪০, সুনানে তিরমিজি)


★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত সেক্যুলার রাষ্ট্রে  পুলিশ বা প্রশাসন ক্যাডারের চাকুরী করতে শরীয়তের দৃষ্টিকোন থেকে কোনো সমস্যা নেই। 
,  
তবে সর্বদা হারাম ও নাজায়েয জিনিষ হতে বেঁচে থাকতে হবে।
নাজায়েজ কাজের আদেশ মানা যাবেনা, মানলে  গুনাহ হবে।
,
নামায সহ যাবতীয় ইবাদত আন্তরিকভাবে পালন করতে হবে।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...