বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি
ওয়া বারাকাতুহু
জবাব,
https://ifatwa.info/57417/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
শিরক দুই প্রকার:
এক. শিরকে জলী, দুই. শিরকে খফী। শিরকে জলী সবচেয়ে মারাত্মক। শিরকে জলীর অনেক প্রকার রয়েছে।
যেমন ইবাদত,
যা একমাত্র আল্লাহ তাআলার হক,
তাতে আল্লাহ ছাড়া কাউকে শরীক করা,
উপায়-উপকরণের ঊর্ধ্বের বিষয়ে গাইরুল্লাহর
কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা, উপায়-উপকরণকে উপায়-উপকরণের সৃষ্টিকর্তার মান দেওয়া,
গাইরুল্লাহকে উপকার ও ক্ষতির ক্ষমতাধারী
মনে করা ইত্যাদি।
শিরকের ব্যাপারে
আল্লাহ তাআলা নবীকে সতর্ক করে বলেছেন-
وَ
لَقَدْ اُوْحِیَ اِلَیْكَ وَ اِلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِكَ لَىِٕنْ اَشْرَكْتَ لَیَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَ
لَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ.
নিশ্চয় আপনার
প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি এই ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে,
যদি আপনি শিরক করেন তাহলে অবশ্যই আপনার
সকল আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং নিশ্চিত আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন। -সূরা
যুমার (৩৯) : ৬৫
অন্যত্র আল্লাহ
আরো বলেছেন-
اِنَّهٗ
مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَیْهِ الْجَنَّةَ وَ مَاْوٰىهُ
النَّارُ.
আর যে আল্লাহর
সাথে শরীক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম।
-সূরা মায়েদা (৫) : ৭২
আরো জানুনঃ-
https://ifatwa.info/4447/
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এগুলো ঈমান
ধ্বংসকারী বাক্য। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের খেলাফ আকীদা। তবে আপনি যদি শরীয়াহ বিরোধী কোনো আকীদা
পোষন না করেন, সেক্ষেত্রে প্রশ্নের বিবরণ মতে বেখেয়াল উক্ত গান গাইলে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
তবে ইস্তেগফার করতে হবে এবং আগামীতে এজাতীয় বিষয়ে আরো অধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ, ইসলামে গান বাজনা সম্পূর্ণভাবে হারাম,
কবীরাহ গুনাহ। এটি তওবা না করলে মাফ
হবেনা। শিরক ও কুফুরের বাক্য সম্বলিত গান ইমানের ক্ষেত্রে আরো ভয়ংকর।