ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
দয়াকরে আপনি প্রশ্নটির খুলাছা উল্লেখ করবেন।
আমরা আপনার প্রশ্ন থেকে যা বুঝেছি, সেই আলোকে বলছি.
প্রথমেই একটা মুলনীতি মূলক হাদীসের দিকে আমাদের দৃষ্টি দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।
নু'মান ইবনে বশির বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি-
عن عامر، قال: سمعت النعمان بن بشير، يقول: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: "الحلال بين، والحرام بين، وبينهما مشبهات لا يعلمها كثير من الناس، فمن اتقى المشبهات استبرأ لدينه وعرضه، ومن وقع في الشبهات: كراع يرعى حول الحمى، يوشك أن يواقعه، ألا وإن لكل ملك حمى، ألا إن حمى الله في أرضه محارمه، ألا وإن في الجسد مضغة: إذا صلحت صلح الجسد كله، وإذا فسدت فسد الجسد كله، ألا وهي القلب "
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,(কোনো জিনিষ)হালাল (হওয়া)পরিস্কার।(এবং কোনো জিনিষ) হারাম(হওয়া) ও পরিস্কার। হ্যা এ দুয়ের মধ্যে কিছু বিধান রয়েছে সাদৃশ্যপূর্ণ। যার সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষই জানেনা।যে ব্যক্তি সন্দেহপূর্ণ জিনিষ থেকে বেঁছে থাকল, সে যেন তার দ্বীন এবং ইজ্জতকে হেফাজত করে নিল। আর যে ব্যক্তি সন্দেহপূর্ণ জিনিষে পতিত হল, সে যেন হারামে পতিত হল। যেমন রাখাল ক্ষেতের দেয়াল ঘেষে পশু চড়ালো।এখানে সম্ভাবনা রয়েছে যে, পশু ক্ষেতে নেমে যাবে।
জেনে রাখ! প্রত্যেক বাদশারই একটি সীমান্তরেখা রয়েছে।এবং আল্লাহ যমীনে তার সীমারেখা হল,তার হারাম বিধি-বিধান।জেনে রাখ! শরীরে একটি মাংসপিণ্ড রয়েছে। যখন সেই মাংসপিণ্ড ভাল থাকে তখন সারা শরীর-ই ভাল থাকে।আর যখন সেই মাংসপিণ্ড নষ্ট হয়ে যায়,তখন সমস্ত শরীরই নষ্ট হয়ে যায়। সেই বস্তু হল,ক্বলব বা অন্তর।(সহীহ বুখারী-৫২)
(১) বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্ন দ্বারা তারা ছাত্রদের কে প্রশ্ন করে থাকে, এবং সতর্কতামূলক তারা ঐ প্রশ্নগুলোকে তারা বাহিরে আসতে না দেয়, তাহলে ছাত্র বা অন্য কারো জন্য ঐ প্রশ্নগুলোকে বাহিরে প্রকাশ করা কখনো জায়েয হবে না। কিন্তু যদি প্রশ্নগুলো বাহিরে প্রকাশের ব্যাপারে তাদের মৌন সমর্থন থাকে, তাহলে সেই সব প্রশ্নগুলোকে বাহিরে প্রকাশ করার অনুমোদন থাকবে। যেহেতু সরকারি বইগুলোতে এগুলো আসছে, তাই বলা যায়, এগুলোর ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মৌন সমর্থন রয়েছে। সুতরাং এ প্রশ্নগুলোকে বাহিরে প্রকাশ করা যাবে।
(২) উত্তর দেয়া হয়েছে।