জবাবঃ-
7397 নং ফাতাওয়ায় বলেছিলাম যে,
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কাজী নজরুলের এ সমস্ত কবিতা আবৃতি করা জাযেয হবে না।তবে শ্রেণি পাঠদানে অন্তর্ভূক্ত থাকলে,সেই কথাকে অশুদ্ধ ও ইসলাম বহির্ভূত প্রমাণিত করে পাঠদান করা যাবে।
আল্লাহ তা'আলা সূরা শু'আরায় বলেন,
هَلْ أُنَبِّئُكُمْ عَلَى مَن تَنَزَّلُ الشَّيَاطِينُ
আমি আপনাকে বলব কি কার নিকট শয়তানরা অবতরণ করে?
تَنَزَّلُ عَلَى كُلِّ أَفَّاكٍ أَثِيمٍ
তারা অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক মিথ্যাবাদী, গোনাহগারের উপর।
يُلْقُونَ السَّمْعَ وَأَكْثَرُهُمْ كَاذِبُونَ
তারা শ্রুত কথা এনে দেয় এবং তাদের অধিকাংশই মিথ্যাবাদী।
وَالشُّعَرَاء يَتَّبِعُهُمُ الْغَاوُونَ
বিভ্রান্ত লোকেরাই কবিদের অনুসরণ করে।
أَلَمْ تَرَ أَنَّهُمْ فِي كُلِّ وَادٍ يَهِيمُونَ
তুমি কি দেখ না যে, তারা প্রতি ময়দানেই উদভ্রান্ত হয়ে ফিরে?
وَأَنَّهُمْ يَقُولُونَ مَا لَا يَفْعَلُونَ
এবং এমন কথা বলে, যা তারা করে না।
إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَذَكَرُوا اللَّهَ كَثِيرًا وَانتَصَرُوا مِن بَعْدِ مَا ظُلِمُوا وَسَيَعْلَمُ الَّذِينَ ظَلَمُوا أَيَّ مُنقَلَبٍ يَنقَلِبُونَ
তবে তাদের কথা ভিন্ন, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং আল্লাহ কে খুব স্মরণ করে এবং নিপীড়িত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে। নিপীড়নকারীরা শীঘ্রই জানতে পারবে তাদের গন্তব্যস্থল কিরূপ।(সূরা শু'আরা-২২২---২২৮)
কাজী নজরুল ইসলামের ধর্ম ও ধর্মচিন্তা সম্পর্কে দু-ধরণের মতামত পাওয়া যায়,যা উনার লিখনি থেকে প্রকাশ পায়।প্রাথমিক জীবনে উনি সমাজবাদী, সাম্মবাদী, ধর্মনিরপেক্ষ কবিতা লিখতেন। পরবর্তীতে বৃটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দানের পর ইসলামী ধাচের কবিতা লিখেছেন।
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
উপরোক্ত কবিতা চর্চা করা জায়েয হবে না।কেননা তাতে অনেক শিরকী ও নাস্তিক্যবাদী চিন্তাচেতনা রয়েছে।সুতরাং এত্থেকে আমাদেরকে বেঁচে থাকতে হবে।
(১)
ঈমান নষ্ট হবে না।
(২)
প্রশ্নের উত্তর প্রদাণের জন্য আপনি পড়তে পারবেন।
(৩)
কাফির হবেন না।
(৪)
না জেনে করলে, শিরিক হবে না।তবে জেনেবুঝে করলে শিরিক হবে।সে কাফির হয়ে যাবে।
(৫)
না, তারা কাফির হবে না। বিস্তারিত বলছি........