আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (33 points)
আসসালামু আলাইকুম। যাকাত বিষয়ে নিম্নোক্ত দুটি প্রশ্নের উত্তর দিবেন ইনশা আল্লাহ।

১। আমি ২০২১ সালের এপ্রিলের ১ তারিখে প্রথম নিসাব পরিমাণ সম্পদ অর্জন করি। তখন শাবান মাস ছিলো (খুব সম্ভবত ১৮/১৯ তারিখ)। এক বছর হিসেবে পরবর্তী বছরের শাবান মাসে যাকাত দেয়ার কথা। কিন্তু, আমি চাইছিলাম রমজান মাস থেকে যাকাত দিতে। তাহলে যাকাত আদায়ের কথা ভূলে যাবার সম্ভাবনা কম থাকে। তাই, ২০২২ সালের রমজান মাস থেকে যাকাত দিয়ে আসছি। প্রতি বছর রমজান মাসে (শেষের দিকে) যাকাত দেই। তবে প্রথম বছর (২০২২ সালে) রমজানের আগে একবার দিয়ে থাকতে পারি যেটা এখন স্মরণে নেই। এখন আমার প্রশ্ন, আমি যেহেতু শাবান মাসে প্রথম নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হই কিন্তু যাকাত পরবর্তী বছর রমজান মাস থেকে আদায় করছি, তাহলে শাবান থেকে রমজানের যে কয়দিন বাকি থাকে ওই কয়দিনের জন্য যাকাত দিতে হবে? এক্ষেত্রে হিসাব কিভাবে করবো (মোট যাকাতের পরিমাণকে চন্দ্রমাসের দিনসংখ্যা দিয়ে ভাগ দিয়ে যে কতদিন বাকি তা দিয়ে গুণ করবো)?

২। ধরা যাক, আমার মাসিক বেতন ৫০,০০০ টাকা। এখন প্রতি মাসে একাউন্টে ৫০,০০০ টাকা ঢুকে। ধরি, মাসিক খরচ ৩৫,০০০ টাকা। এখন, প্রথম মাসে যে ৫০,০০০ ঢুকে সেটা প্রথম মাসে খরচ হয়। আবার ২য় মাসে ৫০,০০০ ঢুকে। সেখান থেকে প্রথম মাসের বাকি ১৫,০০০ এবং এ মাসের ২০,০০০ সহ মোট ৩৫,০০০ খরচ হয়। এভাবে, প্রতি মাসেই বিগত মাসগুলোর মাসে টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে।

এখন, দেখা যাচ্ছে যে, প্রথম মাসের টাকা সব খরচ হয়ে গেছে, এভাবে পরবর্তী মাসেও। তাহলে তো প্রথম মাস এবং পরবর্তী কোন মাসের টাকারই বছর পূর্ণ হয় না। যদিও বছর শেষে নিসাব পরিমাণ টাকা থাকে। এক্ষেত্রে, যেহেতু বছর পূর্ণ হচ্ছে না, তাহলে কি যাকাত ফরজ হবে? (বিষয়টা অনেকটা ব্যবসার ক্ষেত্রে যে পণ্য আগে আসছে তা আগে বিক্রি শেষ করে তারপর পরে আসা পণ্য বিক্রি শুরু করার মতো)

1 Answer

0 votes
by (632,880 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
নেসাব পরিমাণ মালের মালিক হওযার পর চন্দ্রবর্ষ পূর্ণ হলেই কেবল যাকাত ফরয হয়ে থাকে।সুতরাং যেদিন থেকে কেউ নেসাব পরিমাণ মালের মালিক হবে, চন্দ্রবর্ষ হিসেবে ঠিক তার একবৎসর পর ঐ ব্যক্তির উপর যাকাত ফরয হবে। এক্ষেত্রে রমজানে যাকাত আদায় করা জরুরী বা শর্ত নয়। হ্যা, কেউ অধিক সওয়াব এবং মনে রাখার স্বার্থে রমজানকে যাকাতের জন্য বাচাই করে নিতে পারবে। তখন চন্দ্রবর্ষ হিসেবে বিগত একবৎসরের যাকাত এবং রমজান পর্যন্ত আরো কয়েক মাস/ দিনের যাকাত দিতে হবে। এবং পরবর্তীতে শুধুমাত্র রমজান থেকে রমজান পর্যন্ত যাকাত দিলেই হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1932

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শাবান থেকে রমজান পর্যন্ত যে কয়দিন বাকি থাকে, ঐ ক'দিনের যাকাত দিতে হবে। এক্ষেত্রে মোট যাকাতের পরিমাণকে চন্দ্রমাসের দিনসংখ্যা দিয়ে ভাগ দিয়ে যে কতদিন বাকি ছিলো, তা দিয়ে গুণ করে আদায় করে নিবেন। একবার আদায় করে নিলে পরবর্তীতে রমজান থেকে রমজান পর্যন্ত যাকাত দিলেই হবে।


(২)
যাকাত ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত হল, বৎসরের শুরু থেকে নিয়ে বৎসরের শেষ পর্যন্ত নেসাব পরিমাণ মালোর মালিক থাকা। এবং বৎসরের মধ্যখানে উক্ত মাল সম্পূর্ণভাবে নিঃশেষ না হয়ে যাবে। সুতরাং বৎসরের মধ্যখানে যেই মাল অর্জিত হবে, সেই মালোর জন্য এক বৎসর অতিবাহিত হওয়া শর্ত নয়। বরং বৎসরের শুরুতে কেউ নেসাব পরিমাণ মালের মালিক থাকলে, বৎসরের শেষ পর্যন্ত পূর্বের মালের সাথে যেই পরিমাণ মাল তার কাছে যুক্ত হবে, সব মালের যাকাত দিতে হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/638

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বৎসর শেষে যত টাকা আপনার নিকট প্রয়োজন অতিরিক্ত হিসেবে থাকবে, ঐ টাকা গুলোর যাকাত দিতে হবে। এক্ষেত্রে সকল টাকা বৎসর পূর্ণ হওয়া জরুরী নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 304 views
...