আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+3 votes
307 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম।

জেনারেল লাইনের শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন বিষয় পড়তে ও লিখতে হয় তা হারাম বা সত্য নয়। যেমন অধিক জনসংখ্যা, বাল্য বিবাহ খুব খারাপ, গনতন্ত্রের মাধ্যমে সর্বোত্তম রাষ্ট্র গঠন সম্ভব, পহেলা বৈশাখ আমাদের ঐতিহ্য গর্ব, আমি বড় ডাক্তার হবো বলে রচনা লেখা, বিভিন্ন জালিমের মিথ্যা প্রশংসা করে রচনা লেখা ইত্যাদি। এগুলো লিখলে বা শিক্ষক মুখে পড়া ধরলে এগুলো অসত্য তথ্য বললে বা লিখলে কি গুনাহ হবে? এটা কি মিথ্যা বলা হবে? এক্ষেত্রে করনীয় কি?

1 Answer

+2 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নির্দিষ্ট কিছু বিষয় ছাড়া সর্বদা এবং সর্বত্রই মিথ্যা বলা হারাম।
যেমনঃ-হযরত আসমা বিনতে ইয়াযিদ রাঃ থেকে বর্ণিত,
 ﻋَﻦْ ﺃَﺳْﻤَﺎﺀَ ﺑِﻨْﺖِ ﻳَﺰِﻳﺪَ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻗَﺎﻟَﺖْ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﻟَﺎ ﻳَﺤِﻞُّ ﺍﻟْﻜَﺬِﺏُ ﺇِﻟَّﺎ ﻓِﻲ ﺛَﻠَﺎﺙٍ : ﻳُﺤَﺪِّﺙُ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞُ ﺍﻣْﺮَﺃَﺗَﻪُ ﻟِﻴُﺮْﺿِﻴَﻬَﺎ ، ﻭَﺍﻟْﻜَﺬِﺏُ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺤَﺮْﺏِ ، ﻭَﺍﻟْﻜَﺬِﺏُ ﻟِﻴُﺼْﻠِﺢَ ﺑَﻴْﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ) 
তরজমাঃ
নবীজী সাঃ বলেনঃ
তিনস্থান ব্যতীত অন্য কোথাও মিথ্যা বলা জায়েয নয়,
১/স্ত্রীর সাথে ভালবাসার অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে।
২/যুদ্ধের ময়দানে কাফিরের সাথে যুদ্ধ বিষয়ে।
৩/দু-ভাইয়ের মধ্যে সন্ধি স্থাপন করতে।
তিরমিযি-১৯৩৯,আবু-দাউদ-৪৯২১।

উম্মে কুলছুম রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছেন,
ﻋﻦ ﺃُﻡَّ ﻛُﻠْﺜُﻮﻡٍ ﺑِﻨْﺖِ ﻋُﻘْﺒَﺔَ ﺑْﻦِ ﺃَﺑِﻲ ﻣُﻌَﻴْﻂٍ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ، ﺃَﻧَّﻬَﺎ ﺳَﻤِﻌَﺖْ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻭَﻫُﻮَ ﻳَﻘُﻮﻝُ : ( ﻟَﻴْﺲَ ﺍﻟْﻜَﺬَّﺍﺏُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳُﺼْﻠِﺢُ ﺑَﻴْﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﻭَﻳَﻘُﻮﻝُ ﺧَﻴْﺮًﺍ ﻭَﻳَﻨْﻤِﻲ ﺧَﻴْﺮًﺍ ) . ﻗَﺎﻝَ ﺍﺑْﻦُ ﺷِﻬَﺎﺏٍ : ﻭَﻟَﻢْ ﺃَﺳْﻤَﻊْ ﻳُﺮَﺧَّﺺُ ﻓِﻲ ﺷَﻲْﺀٍ ﻣِﻤَّﺎ ﻳَﻘُﻮﻝُ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻛَﺬِﺏٌ ﺇِﻟَّﺎ ﻓِﻲ ﺛَﻠَﺎﺙٍ : ﺍﻟْﺤَﺮْﺏُ ، ﻭَﺍﻟْﺈِﺻْﻠَﺎﺡُ ﺑَﻴْﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ، ﻭَﺣَﺪِﻳﺚُ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞِ ﺍﻣْﺮَﺃَﺗَﻪُ ﻭَﺣَﺪِﻳﺚُ ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓِ ﺯَﻭْﺟَﻬَﺎ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-যে ব্যক্তি দু'জনের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধের মীমাংসার স্বার্থে মিথ্যা বলে সে মিথ্যুক নয়।সে একজনের নিকট এসে উত্তম উত্তম জিনিষ বলে,এবং অন্যর নিকট গিয়ে উত্তম জিনিষ পৌছায়। ইবনে শিহাব যুহরী রাহ বলেন,মানুষের মিথ্যা কথা বলার ব্যাপারে তিন জিনিষে রুখসত রয়েছে,(১)যুদ্ধের সময়ে(২) দু'জনের মধ্যে মীমাংসা করতে,(৩) স্বামী-স্ত্রী পরস্পর ভালবাসা-মহব্বতকে বাড়ানোর ক্ষেত্রে।(সহীহ মুসলিম-২০৫৬)

অধিক জনসংখ্যা, বাল্য বিবাহ খুব খারাপ, গনতন্ত্রের মাধ্যমে সর্বোত্তম রাষ্ট্র গঠন সম্ভব, পহেলা বৈশাখ আমাদের ঐতিহ্যগর্ব, আমি বড় ডাক্তার হবো বলে রচনা লেখা, বিভিন্ন জালিমের মিথ্যা প্রশংসা করে রচনা লেখা ইত্যাদি। নিজের ঈমান আকিদা বিশুদ্ধ রেখে এগুলো লিখলে বা পড়লে কোনো গোনাহ হবে না। কেননা হয়তো এ ছাড়া পরীক্ষায় পাশ করার আর ভিন্ন কোনো রাস্তা নেই । তবে যদি এ বিষয় সমুহকে পাশ কাঠিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ থাকে, তাহলে এরকম বিষয়ে কলম ধরা বা পড়া কখনো জায়েয হবে না। 

তবে যে সমস্ত ভাই/বোন!
ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থ রক্ষার্থে জেনারেল শিক্ষায় লেখাপড়া করতে চান।তাদের জন্য ঐ রকম পরাস্থিতিতেও জেনারেল শিক্ষায় পড়ার রুখসত রয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...