আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
202 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (41 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ,
আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র । ইসলামী শরীআহ মোতাবেক পরিচালিত ব্যাংকে ইন্টার্নশীপ করতে আগ্রহী ছিলাম ।আমি তাদের আর্থিক বিবরনী দেখলাম , তবে সেখানে সুদের কোনো এন্ট্রি পাই নি , যদিও তারা চাইলে লুকাতে পারে । তাদেরশরিআহ গাইডলাইন পড়েছিলাম , সেখানে তাদের অপারেশন মেডথে সুদের সম্পৃক্ততার আলামত পাই নি । অন্যদিকে , এসবব্যাংক সম্পর্কে যা শুনা যায় তা তুলে ধরছি :
(১) বাধ্যবাধকতার কারনে কিছু জায়গায় বাধ্য হয়ে সুদে লিপ্ত হচ্ছে ইসলামী ব্যাংকগুলো । তবে ঐ টাকা তারা  দান করে দেয় ।কিছু সন্দেহজনক খাত আছে সেখান থেকে যে উপার্জন হয় তারা তা আলাদা করে রাখে ।
(২) ইসলামী ব্যাংকগুলোও  সুদ দেয় নাম দিয়েছে লভ্যাংশ ।
(৩) আমার এক সহপাঠীর ,যে সেখানে ইন্টার্নশীপরত ,তার ভাষ্যমতে ( যখন আমি তাকে সুদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করি সে বলে ), “ এখানে তো অনেকে টাকা জমা রাখতে আসে যারা শরীআহ সম্পর্কে জানে না , সুদ হারাম জানে না , অশিক্ষিত বা অজ্ঞ  শ্রেনীআর কি , তো তাদের একটা এভারেজ ফিক্সড রেট বলতে হয় মানে, না হলে তারা বলে যে কি ব্যবসা করেন আপনারা এই সেই।”
আমি তাকে বললাম , “যে এই রেটটা কিন্তু মূলধনের উপর বর্তাবে না , লাভের উপর বর্তাবে এবং লস হলে কিন্তু লসেরভাগীদারও হতে হবে । আর সুদের সাথে এখানেই পার্থক্য । “

সে তখন আমার সাথে সম্মতি প্রকাশ করে বললো যে , হ্যা , তাদের কর্ম পদ্ধতিটা নাকি ঐরকমই ।
যাই হোক , ধোয়াশা থেকে যায় । আসলে নিজে সরাসরি সরেজমিনে থেকে তাদের কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে না জানলে সম্পূর্ন সত্যটাজানা যাবে না । তাই ভাবলাম , ইন্টার্নি করতে যাবো , তাদের পলিসি সম্পর্কে জানবো , যতদিন পর্যন্ত সুদের উপস্থিতিরআলামত পাওয়া যাচ্ছে না , ততদিন কাজ করবো , সুদের আলামত যেদিন পাবো , সেদিনই সেখানে শেষ দিন ।
তো সম্মানিত শায়েখ আপনি কী বলেন ? সিদ্ধান্তটি কি সঠিক হয়েছে ? ইন্টার্নশীপ অন্য জায়গায়ও করাযেতে পারে সেটা জানি । এ কিন্তু এ বিষয়ে সত্য উদঘাটন ব্যহত হবে ।

আপনার পরামর্শ চাই ।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

সুদ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
اَلَّذِیْنَ یَاْكُلُوْنَ الرِّبٰوا لَا یَقُوْمُوْنَ اِلَّا كَمَا یَقُوْمُ الَّذِیْ یَتَخَبَّطُهُ الشَّیْطٰنُ مِنَ الْمَسِّ ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ قَالُوْۤا اِنَّمَا الْبَیْعُ مِثْلُ الرِّبٰوا ۘ وَ اَحَلَّ اللهُ الْبَیْعَ وَ حَرَّمَ الرِّبٰوا  فَمَنْ جَآءَهٗ مَوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّهٖ فَانْتَهٰی فَلَهٗ مَا سَلَفَ  وَ اَمْرُهٗۤ اِلَی اللهِ  وَ مَنْ عَادَ فَاُولٰٓىِٕكَ اَصْحٰبُ النَّارِ هُمْ فِیْهَا خٰلِدُوْنَ.
যারা সুদ খায় তারা (কিয়ামতের দিন) সেই ব্যক্তির মতো দাঁড়াবে, যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে। এটা এজন্য যে, তারা বলে, ক্রয়-বিক্রয় তো সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। যার নিকট তার প্রতিপালকের উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, তবে অতীতে যা হয়েছে তা তারই। আর তার ব্যাপার আল্লাহর এখতিয়ারে। আর যারা পুনরায় করবে তারাই জাহান্নামের অধিবাসী হবে। সেখানে তারা হবে চিরস্থায়ী। -সূরা বাকারা (২) : ২৭৫

 
یَمْحَقُ اللهُ الرِّبٰوا وَ یُرْبِی الصَّدَقٰتِ  وَ اللهُ لَا یُحِبُّ كُلَّ كَفَّارٍ اَثِیْمٍ.
আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দানকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ কোনো অকৃতজ্ঞ পাপীকে ভালোবাসেন না। -সূরা বাকারা (২) : ২৭৬

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللهَ وَ ذَرُوْا مَا بَقِیَ مِنَ الرِّبٰۤوا اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِیْنَ فَاِنْ لَّمْ تَفْعَلُوْا فَاْذَنُوْا بِحَرْبٍ مِّنَ اللهِ وَ رَسُوْلِهٖ  وَ اِنْ تُبْتُمْ فَلَكُمْ رُءُوْسُ اَمْوَالِكُمْ  لَا تَظْلِمُوْنَ وَ لَا تُظْلَمُوْنَ.
হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যা বকেয়া আছে তা ছেড়ে দাও, যদি তোমরা মুমিন হও।যদি তোমরা না ছাড় তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা শুনে নাও। আর যদি তোমরা তাওবা কর তবে তোমাদের মূলধন তোমাদেরই। এতে তোমরা (কারও প্রতি) জুলুম করবে না এবং তোমাদের প্রতিও জুলুম করা হবে না। -সূরা বাকারা  (২) : ২৭৮-২৭৯

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تَاْكُلُوا الرِّبٰۤوا اَضْعَافًا مُّضٰعَفَةً  وَّ اتَّقُوا اللهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ.
হে মুমিনগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ খেয়ো না এবং আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। -সূরা আলে ইমরান (৩) : ১৩০


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সুদ সম্পর্কে অত্যান্ত কঠোর বাণী আল্লাহ তা'আলা এবং রাসূলুল্লাহ সাঃ শুনিয়েছেন।তাই এ সুদ সম্পর্কে জানতে ও লোকদেরকে জানাতে এবং সুদ থেকে নিজে বাঁচতে ও অন্যকে বাঁচাতে আপনি আপনার বর্ণিত জায়গায় ইন্টার্নি করতে যেতে পারেন।নিয়ত অনুযায়ীই প্রত্যেক আ'মল গ্রহণযোগ্য হয়ে থাকে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...