আমার পরিচিত একজনের প্রশ্ন: তিনি বলেন -
১. আসসালামু আলাইকুম শায়খ। আমার স্বামী রেগুলার আমাদের বাসার খাদিমার বেতন কাটেন। কিন্তু খাদিমাদের বেতন কাটলে তারা কাজ ছেড়ে চলে যায়, এতে আমি দুই বাচ্চা এবং শ্বাশুড়ি কে নিয়ে বিপদে পড়ি। তখন উনি আমার উপর অনেক উচ্চবাচ্য করেন, অশ্রাব্য গালিগালাজ করেন কেন আমি একলা বাসার সব কাজ গুছায় রাখতে পারিনা। যেহেতু আমার শারীরিক সক্ষমতা কম, তাই আমি স্বামীর পকেট থেকে চুরি করে খাদিমার বেতন দিয়ে খাদিমা রাখি, যাতে বাসায় শান্তি বজায় থাকে।
উল্লেখ্য আমার স্বামীর এরকম ৩-৪ জন খাদিমা রাখার সামর্থ্য আছে, কিন্তু উনি অনেক হিসাবি শুধুমাত্র আমার ক্ষেত্রে। নিয়মিত বন্ধু দের সাথে অযথা আড্ডা বা নিজের শখ পূরণে অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটায় তিনি প্রতি মাসে প্রচুর টাকা খরচ করেন।
আমার শ্বাশুড়ির তিন ছেলে উনার উপর প্রতিযোগিতা করে খরচ করে মাশাল্লাহ। এ-ই কারণে উনার হাতে সবসময় টাকা থাকে, এবং নিজের পেনশন ও পুরোটাই থাকে। কিন্তু উনি প্রচন্ড হিসেবি। উনি খাদিমাকে দিয়ে প্রচুর কাজ করান, যার ফলস্বরূপ আমাকে আমার স্বামীর পকেট থেকে এক্সট্রা টাকা কাটতে হয়।
যেমন উদাহরণ স্বরূপ খাদিমাকে আমার দুই কাজের জন্য ২০০০/- দিয়ে রাখা হইসে। এখান থেকে আমার স্বামী ২/৩/৫ শত কেটে রাখে। আবার শ্বাশুড়ি এক্সট্রা আরও ৩-৪ টা কাজ বেশি করানোতে খাদিমার প্রকৃত বিল আসে দুই হাজারের জায়গায় ৪-৫ হাজার। তখন ও-ই টাকা আমাকে দিতে হয়।
সবসময় যে স্বামীর পকেট কাটি, তা না। যখন আমার হাতে স্বামী কোনো টাকা দেয়, বাচ্চাদের জন্য বা নিজের ঔষধের জন্য, অথবা নিজে যদি বাচ্চা পড়িয়ে দুই চার পয়সা পাই, সব চলে যায় খাদিমার খাতে। এটা নিয়েও স্বামী সন্দেহ করে যে টাকা কোথায় খরচ করি। খাদিমার খাতে খরচ করি এটা জানতে পারলে হয়তো আমানতের খেয়ানতকারী আখ্যা দিয়ে আর সংসারই করবেনা। উনি প্রচন্ড রাগী এবং বদমেজাজি। আমার শ্বাশুড়ি ও।
এখন প্রশ্ন দুইটা, এক, আমার এ-ই চৌর্যবৃত্তি ঠিক হচ্ছে কিনা। দুই, আমার শ্বাশুড়ির ব্যাগ থেকে এবার কিছু টাকা নিয়েছি। ৩০০০/- এ-ই টাকা দিয়ে এ-ই মাসের খাদিমার বেতন দিতে চাই। এ-ই চুরি কি ঠিক হলো? যদি ঠিক না হয়, আমি ফেরত দিয়ে দিবো। কারণ শ্বাশুড়ির টাকার প্রতি আমার বিন্দুমাত্র লোভ নেই। এতকাল সামনে পড়েছিলো, ধরিনি। এবার খুব কষ্ট লাগলো, এইজন্য নিয়েছি। কিন্তু ঠিক বেঠিক জানিনা, তাই রেখে দিয়েছি, খরচ করিনি।
২. শুনেছি নফল ও সুন্নাত নামাজে একাধিক নিয়ত করা যায়। সেই হিসাবে আমি কি তারাবির নামাজের নিয়তের ক্ষেত্রে একাধিক নামাজের নিয়ত করতে পারবো? যেমন প্রথম দুই রাকাত সালাতুল হাজত ও তারাবির নামাজ। পরের দুই রাকাত সালাতুত তাওবা ও তারাবির নামাজ। এমন আর কি।