আসসাালামুআলাইকুম উস্তাদ
প্রচন্ড দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগতেছি আমি একটা বিষয় নিয়ে , কি করা উচিত পরিস্থিতি অনুযায়ী দয়া করে একটু জানাবেন ।
১ম রমাদান থেকে অনেক বেশি অসুস্থ ১২ দিন এর মত টানা মাথা ব্যথা এবং অনেক বেশি জর ছিল , সকল টেস্ট এ একদম সাভাবিক । এরপর সবার পীড়াপিড়ি তে আমি একজন রাকি এর কাছে যাই,উনি কখনো কোন ছেলে কে ঝাড় ফুঁক দেন নাই কিন্তু আমার অবস্থা খারাপ দেখে আমার এক আত্মীয় এর অনুরোধ এ আমাকে দেখার জন্য রাজি হোন। আমার জ্বিন এর সমস্যা ছিল এটা জানতাম আমরা । আমরা এমনটাই ধারণা করেছিলাম যে এই রিলেটেড কোন সমস্যা হবে ।
কিন্তু উনার কাছে যাবার পর উনি আমাকে দেখে বলেন আমাকে কালো জাদু করা হইছে খাওয়ানো এবং তাবিজ এর মাধ্যমে । আর জ্বিন এর সমস্যা যদিও আছে কিন্তু উনি এটাকে অত গুরুত্ব দেয় নাই এটা হেফাজতের আমল দিয়েই ঠিক হবে পানি পড়া দিয়েই হবে উনি যদিও সবকিছু বলেন নাই যদি ভয় পেয়ে যাই। এরপর উনি পানি পড়া দিয়েছে এবং তেল পড়া দিয়েছে ।
বাসায় আসার পর আমি বাসায় বলি যে আমার বিশ্বাস হয় না এরপর ২ দিন পর আরেকজন পরিচিত দাদু কে বাসায় ডাকার পর উনিও সেইম কথা বলেন যে খাওয়ানোর মাধ্যমে কালো জাদু করা হইছে ,তাবিজ এর মাধ্যমে এবং অলরেডি আমার ব্রেইন এবং রক্ত এ সমস্যা হয়েছে(আমার আসলেই ইয়াদ কমে যাচ্ছে পড়তে পরি না এবং হিফজ করা আয়াত গুলোও ভুলে ভুলে যাই ,ভাবি একরকম করি আরেকরকম ) । তাবিজ এর মাধ্যমে গুলা তেমন কোন ক্ষতি করতে পারে না আমার আমল এর জন্য এবং আল্লাহর ইচ্ছায় কিন্তু খাওয়ানোর মাধ্যমে যে জাদু করা হইছে এটার জন্য মাঝে মাঝেই আমি অসুস্থ থাকি , খেতে পারি না ২,৪ দিন ভাল খেতে পারলেই আবার অসুস্থ হই আর খেতে পারি না । ওষুধ এর কারণে ২,১ দিন ভাল হয়ে যায় তারপর আবার যেমন তাই । (এই কথা গুলো উনাকে আমি কিচ্ছু বলি নাই উনি নিজে থেকে বলছে এবং সব গুলো কথা সত্যি হুবহু এখানে আমার বিশ্বাস না করার কিছুই নেই ) যতদুর জানি উনি জ্বিন এর মাধ্যমে হয়ত দেখেন । উনি মসজিদের মুয়াজ্জিন ১৫ বছর যাবত ।
এটা হল প্রেক্ষাপট এখন আমার দ্বিধাদ্বন্দ্ব হচ্ছে উনারা দুইজন ই নিজে থেকে বলেছেন যে উনারা আল্লাহর কালাম থেকে পানি পড়া দিয়েছেন এবং দেখেন কোন কুফরী কালাম নয় । কিন্তু আমার একটু সন্ধেহ হয় দ্বিতীয় জন যিনি দেখেছেন উনি দেখার সময় ২ বার আমার ডান হাত দেখেছেন কুরআন ও এই রিলেটেড সরাসরি আয়াত দেখেছিলাম যাঁরা গণকের কাছে হাত দেখায় এরকম কিছু একটা , উস্তাদজ্জ আমি কি ঈমানহারা হয়ে গেলাম কি না ? উনাকে জিজ্ঞেস করার পর উনি নিজেই বলেছেন কোন প্রকার কুফরী কালাম নয় শুধুমাত্র কুরআনের আয়াত থেকে উনি করেছেন । এবং উনি মুয়াজ্জিন মানুষ ।
১.. এভাবে ২বার উনি আমার ডান হাত দেখতে চাওয়ায় এবং আমি দেখানোয় আমি কি ঈমানহারা হয়ে গেলাম কি না ,এরকম হলে কি আমাকে কালিমা পরে মুসলমান হতে হবে কি না তাওবা করে ?
২. যেহেতু উনারা দুইজন ই বলেছেন কোন কুফরী কালাম ইউজ করেন নাই । আর আমার ঈমান আমল উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে আমার রেগুলার আমল গুলোও অনেকদিন হুট করেই উধাও হয়ে গেছে , আমার অবনতি আমার চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি , কোনমতে শুধু ফরজকে আকড়ে ধরে আছি এবং আমার খালা নানু অনেক আগেই বলেছিল যে আমাকে হয়ত কেউ কিছু করেছে ,পরবর্তীতে আমি নিজেও অনেক লক্ষণ সরাসরি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমি হয়ত জাদু তে আক্রান্ত এখন উনাদের ২জন এর পানি এবং তেল পড়া শিফা এর জন্য খাওয়া যাবে কি না আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে ?
৩. ধরে নিলাম কেউ যদি বলে উনি কুফরী কালাম ইউজ করেন না এজন্য আমি তার শরনাপণ্য হলাম কিন্তু উনি কুফরী কিছু করে কিন্তু উনি আমাকে বোলতেছেন যে কুফরী করেন না তাহলে কি আমার গুনাহ হবে ? ঈমান চলে যাবে ?
4. স্বপ্ন ব্যখ্যা :
আজকে স্বপ্ন দেখি একটা জায়গায় হূট করেই একটা অজগর সাপ দেখতে পাই , অনেক ভয় পাই পাশে থেকে একজন বলে এটার বিষ নাই , আর এটা ছোট যদি গিলে খেতে চায় তাহলে খুব সহজেই তাকে মেরে ফেলা যাবে হয়ত কামরের দাগ থাকবে কিন্তু কোন ক্ষতি হবে না । এরপর আরও দুই একবার একই সাপ কে দেখি ।
5. স্বপ্ন ব্যখ্যা :
আরেকটা স্বপ্ন দেখি গতকাল সেটা এমন
খুবই পিচ্ছিল একটা মোটা কাঠের গুড়ি বৃষ্টি পড়তেছে ঐ কাঠের গুড়ি টা পার হতে হবে , এত রিস্ক যে পা পিছলে গেলেই শেষ , আমার হাতে কুরআন এবং আমার 4 বছর এর ভাতিজি কে নিয়ে পার হতে হবে , আমার ভাতিজি কে আমি যেভাবে বলেছি সে সেভাবে শুনেছে এবং আমিও কুরআন হতে নিয়ে ঠিকঠাক ভাবে পার হইতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ । এই স্বপ্ন দেখার পর আমার ভাতিজি এর প্রতি আমার মূহব্বত বেড়ে গেছে ।
সে আমার চাচাত ভাই এর মেয়ে কিন্তু আমার আব্বু চাচা দের ফ্যামিলি বন্ড অনেক ভাল এজন্য সে আমার নিজের ভাই এর মেয়ে এভাবেই ট্রিট করি ।
6.স্বপ্ন ব্যখ্যা :
আমার আহলিয়া স্বপ্নে দেখে উনাকে টেলিগ্রামে একজন মেসেজ দিয়ে আমার মাসনা হবার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে ।