বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(শক্তিশালী ঋণ) এটা দ্বারা সেই টাকা বা মাল উদ্দেশ্য যা কাউকে ধার দেয়া হয়েছিলো,বা ব্যবসায়িক পণ্যর বিনিময়ে কারো উপর ওয়াজিব ছিলো।কিংবা এমন কোনো গৃহপালিত পশুর বিনিময়ে কারো উপর ওয়াজিব ছিলো যে প্রাণীর উপর যাকাত ওয়াজিব ছিলো।এমন দাইনে চল্লিশ দিরহাম পরিমাণ উসূল হওয়ার পর যাকাত ওয়াজিব হবে।(যখন থেকে পাওনা ছিলো তখন থেকে এক বৎসর পূর্ণ হওয়ার পর যাকাত ওয়াজিব হবে তথা হস্তগত হওয়ার পূর্বের বৎসর সমূহের যাকাত তখন আদায় করতে হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1483
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এই ঋণের টাকা অথবা এই ঋণ এবং আপনার নিকট অবস্থিত থাকা মিলে যদি নেসাব পরিমাণ হয়, তাহলে আপনাকে অবশ্যই যাকাত দিতে হবে। এখনই যাকাত দিয়ে যেতে পারেন অথবা পরবর্তীতে যখন উসূল হবে, তখন পূর্ববর্তী সকল বৎসরের যাকাত আপনাকে দিতে হবে।
(২) অনুমান করে নামায ফিদয়া দিয়ে দিবেন। মৃত্যুর পূর্বে বেহুশ অবস্থার নামাযের ফিদয়া দিতে হবে না।
(৩)
ইমাম নববী রাহ বলেনঃ
ﻓﻜﻞ ﻣﻘﺼﻮﺩ ﻣﺤﻤﻮﺩ ﻳﻤﻜﻦ ﺗﺤﺼﻴﻠﻪ ﺑﻐﻴﺮ ﺍﻟﻜﺬﺏ ﻳﺤﺮﻡ ﺍﻟﻜﺬﺏ ﻓﻴﻪ، ﻭﺇﻥ ﻟﻢ ﻳﻤﻜﻦ ﺗﺤﺼﻴﻠﻪ ﺇﻻ ﺑﺎﻟﻜﺬﺏ ﺟﺎﺯ ﺍﻟﻜﺬﺏ، ﺛﻢ ﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﺗﺤﺼﻴﻞ ﺫﻟﻚ ﺍﻟﻤﻘﺼﻮﺩ ﻣﺒﺎﺣﺎ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻜﺬﺏ ﻣﺒﺎﺣﺎ، ﻭﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﻭﺍﺟﺒﺎ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻜﺬﺏ ﻭﺍﺟﺒﺎ
প্রত্যেক ঐ প্রশংসনীয় মাকসাদ(উদ্দেশ্য)যাতে মিথ্যা ব্যতীত পৌছা সম্ভব, সেখানে মিথ্যা বলা হারাম।কিন্তু যদি তাতে মিথ্যা ব্যতীত পৌছা সম্ভব না হয়,তাহলে সেথায় মিথ্যা বলা জায়েয। যদি উক্ত মাকসাদ অর্জন করা মুবাহ হয় তাহলে মিথ্যা বলে উক্ত মাকসাদ অর্জন করা মুবাহ।আর যদি মাকসাদ অর্জন করা ওয়াজিব হয় তাহলে মিথ্যা বলে তা অর্জন করা ওয়াজিব।(রিয়াযুস সালেহিন-২৫৯)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/644
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মিথ্যা বলার পূর্বে উদ্ভট পরিস্থিতি থেকে বাচার জন্য সকল রকম চেষ্টা প্রচেষ্টা করতে হবে। সকল রকম চেষ্টা প্রচেষ্টা করার পরও যদি বাচা সম্ভব না হয়, এবং মিথ্যা বলা ব্যতিত আর কোনো রাস্তা না থাকে, তাহলে তাওরিয়াহ করা যেতে পারে। তথা আপনি বলবেন একটা আর তারা বুঝবে একটা।