ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)নতুন চাঁদ দেখার পর রাসূলুল্লাহ সা. চাঁদ দেখার দু’আ পড়তেন।রমজানের প্রথম দিন আসলে যেহেতু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাদান মুবারক বলতেন না, রমজানের চাঁদ দেখার পর রমজান মুবারক বলার প্রচলন বিদআত।হ্যা জরুরী মনে না হলে,যেহেতু ঐ শব্দাবলী তথা রমজান মুবারক বাক্যর অর্থ বিশুদ্ধ রয়েছে। তাই বলার রুখসত রয়েছে।
(২)
নতুন চাঁদ দেখার দোয়া :-
اللهم أهله علينا بالأمن و الإيمان و السلامة و الإسلام ربى و ربك الله
"আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিলআমনি ওয়াল ঈমানি ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলামি রাব্বী ওয়া রাব্বুকাল্লাহ"
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল-য়ুমনি ওয়াল ঈমানি, ওয়াসসালামাতি ওয়াল ইসলামি- রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমাদের জন্য এই চাঁদকে সৌভাগ্য ও ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদিত করুন। আল্লাহই আমার ও তোমার রব। -জামে তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৫১
(৩)
"যে নারী নিজের ঘরের কাজ নিজে সম্পন্ন করবে, সে জিহাদের সাওয়াব লাভ করবে।" এটা হাদিস নয়।
তবে হজ্ব এবং উমরাকে হাদীসে নারীদের জিহাদ বলা হয়েছে।
৪. "মাসজিদে কুবা" তে দুই রাকআত সালাত আদায় করলে এক ওমরাহর সাওয়াব পাওয়া যায়, জ্বী,কথাটা সঠিক।
হাদিস শরিফে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মসজিদে কুবায় ২ রাকাত নামাজ আদায় করা একটি ওমরাহ আদায়া করার সমান।’ (সুনানে তিরমিজি)
৫.
নবী (সা.) কে স্বপ্নে দেখলে তার ওপর দোজখ হারাম হয়ে যাবে বা জান্নাতে প্রবেশ করবে বলে যে রেওয়াতটি উল্লেখ করা হয়ে থাকে, এটি শুদ্ধ নয়। বরং, নবী (সা.) স্বপ্নে দেখার ব্যাপারে যে, হাদিসটি উল্লেখ করা হয়েছে সেটা হলো, ‘যে স্বপ্নে আমাকে দেখতে পেল সে সত্যি আমাকে দেখতে পেল।’ রাসুল (সা.) কে সে দেখতে পেয়েছে। রাসুল (সা.) কে দেখতে পাওয়া ফজিলতের বিষয়, এতে কোনো সন্দেহ নেই। বাকি এই মর্মে যে হাদিস বর্ণনা করা হয়ে থাকে সেটি সহিহ নয়।