আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
আমি একজন প্রবাসী, বিয়ের ১ মাস পর আমি আমার কর্মস্থলে ফিরে আসি, আর এখন বিয়ের ১ বছর ৭ মাস চলতেছে। এর ভিতরে আমার আর দেশে যাওয়া সম্ভব হয়নি।

অতিরিক্ত তর্কের কারণে তাকে আমি থামাতে না পারাই গত ৮/১০ মাস আগে আমি একবার আমার স্ত্রীকে স্পষ্ট ভাবে ১ তালাক দিয়ে ফেলি, তার কয়েকদিনের মধ্যে আবার ফিরিয়ে নিই।

আবার, গত ডিসেম্বরের ২৬ তারিখে আমার স্ত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে আমার আমার সাথে ঝামেলা করে আমার স্ত্রীকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যাই। যাওয়ার আগেরদিন আমার স্ত্রীকে আমি বলি "কালকে যদি তুমি যাও তাহলে একেবারে চলে যাবা" এইখানে আমার নিয়তের ব্যাপারে আমি বিভ্রান্তের মধ্যে আছি (আমার স্পষ্ট মনে নেই যে আসলে আমি তালাকের নিয়তে কথাটা বলেছিলাম কি না)। আর সে ও বলতেছে সে আমার কাছ থেকে স্পষ্ট তালাকের ব্যাপারে তেমন কিছু শুনে নাই।
(তবে, ২৬/১২/২৪ - ২৫/০২/২৫ এর মধ্যে আমি আমার পরিবারের আর তার পরিবারের কয়েকজনকে বলেছিলাম "সে আমার দায়িত্বের মধ্যে নাই আমাদের ২নম্বর তালাক হয়ে গিয়েছে"। সে ২৫/০২/২৫এ আমাকে জিজ্ঞেস করলে তাকেও একি কথা বলি, আমি আমার নিয়তের ব্যপারে সচ্ছ না থাকাই, মনে মনে সন্দেহের ভিতরে থেকে কথাটা বলেছিলাম।
কিন্তু, কখনো চাইতাম না যে সম্পর্ক একবারে শেষ হয়ে যাক)

গত ০১/০৩/২৫ তারিখে আমার স্ত্রীর তৃতীয় হায়েজ শুরু হয়েছে, চলতেছে, আর গত ০৪/০৩/২৫ আমি তাকে ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে (মেসেজে বলি) "২নং তালাকের ব্যাপারে আমি সন্দেহের মধ্যে আছি এরপরও যদি হয়ে থাকে আমি আপনাকে আবার গ্রহণ করছি"
(তখন পর্যন্ত সে মাসিক অবস্থা থেকে পবিত্র হয়নি)
যদি ২য় তালাক পতিত হয়ে থাকে, তাহলে এখন আমি থাকে ফিরিয়ে নেওয়াটা কি সঠিক হয়েছে । আর যদি না হয়ে থাকে তাহলে ফিরিয়ে নিতে পারব কিনা।
দয়া করে এবিষয়ে জানালে উপকৃত হব।

আল্লাহ আপনাদের উত্তম প্রতিদান দান করুন

1 Answer

0 votes
by (72,810 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/55291/  নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,

তালাক দেওয়ার অধিকার শুধু স্বামীর। হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকটে এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তাঁর বাদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার আর আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বললেন, হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন করো যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার। [সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১]

,

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ثَلاَثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ النِّكَاحُ وَالطَّلاَقُ وَالرَّجْعَةُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিনটি বিষয় এমন যেগুলির যথার্থ তো যথার্থই এমনকি সেগুলোর কৌতুকের ব্যবহারও যথার্থ: বিবাহ, তালাক, রাজআত। - ইবনু মাজাহ ২০৩৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৮৫ ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-গারীব।

আরো জানুনঃ

https://ifatwa.info/12329/

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

,

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকায় বিস্তারিত উত্তর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই নিকটস্ত কোনো নির্ভরযোগ্য ইফতা বিভাগে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...