আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
214 views
in সালাত(Prayer) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম। এই ওয়েবসাইটে একটি প্রশ্নোত্তরে দেখলাম যে ছোট বাচ্চা মুখ ভরে বমি করলে তা নাপাক এবং কাপড়ে এক দিরহাম পরিমাণের বেশি লাগলে তা পাক না করে নামায পড়া যাবে না। আমার বাচ্চার বয়স ৩ মাস এবং এ রকম বহুবার হয়েছে যে সে মুখ ভরে বমি করেছে এবং সেই বমিযুক্ত কাপড়েই নামায আদায় করেছি না জানার ফলে। এখন কি তাহলে নামাযগুলো কাযা করতে হবে নাকি না জানার ফলে আল্লাহর কাছে তাওবা করলে তিনি মাফ করে দেবেন? কাযা করতে হলে নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা নেই যে কত ওয়াক্ত নামায নষ্ট হয়েছে। তাহলে কিভাবে করব?

1 Answer

0 votes
by (598,650 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
10755 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
বমি দুই ধরণের হয়ে থাকে। এক হল মুখ ভরে আসা। আরেক হল হালকা বমি যা মুখ ভরে হয় না।
যদি শিশুর বমি মুখ ভরে আসে, তাহলে উক্ত বমি নাপাক। কাপড়ে লাগলে পবিত্র করা ছাড়া নামায পড়া জায়েজ হবে না।যদি মুখ ভরে না হয়, তাহলে নাপাক নয়।
وكذا الصبى اذا ارتضع وقاء من ساعته قيل وهو المختار والصحيح ظاهر الرواية أنه نجس لمخالطته النجاسة (حلبى كبيرى، كتاب الصلاة، فصل فى نواقض الوضوء-129)
وكذا الصبي إذا ارتضع وقاء من ساعته لا يكون نجسا والصحيح أنه حدث ونجس في الكل كما في الحلبي قيل وقول الحسن هو المختار(حاشية الطحطاوى على مراقى الفلاح، كتاب الطهارة، باب نواقض الوضوء-88

(নাজাসতে গালিজাহ কি কি?)
সে সম্পর্কে বলা হয়,
ভাবার্থঃ-ঐ সমস্ত জিনিষ যা মানুষের শরীর থেকে বের হয়ে ওজু গোসলকে ওয়াজিব করে দেয়।তা হল নাজাসতে গালিজাহ,যেমনঃ- পায়খানা,পেশাব,বীর্য, মযি(বীর্যের পূর্বে যা বাহির হয়),ওদি(প্রস্রাবের সময় যা বাহির হয়)ফুঁজ,বমি যখন তা মুখভড়ে হয়,(বাহরুর রায়েক)এবং আরো ও নাজাসতে গালিজাহ হল যথাক্রমে-হায়েয ও নেফাসের রক্ত,ছোট্ট বালক/বালিকার  প্রস্রাব তারা আহার করুক বা না করুক।মদ,প্রবাহিত রক্ত,মৃত জানোয়ারের গোসত,ঐ সমস্ত প্রাণীর প্রস্রাব ও গোবর যাদের গোস্ত ভক্ষণ হারাম।গরুর গোবর,কুকুরের বিষ্টা, মোরগ এবং হাস ও পানী হাসের বিষ্ঠা। হিংস প্রাণীর বিষ্টা,বিড়ালের বিষ্টা,ইদুরের বিষ্টা।বিড়াল এবং ইদুরের প্রস্রাব যদি কাপড়ে লাগে তবে কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরামগণ মনে করেন যে,যদি তা এক দিরহামের বেশী হয় তবে পবিত্র।আর কিছুসংখ্যক না করেন।সাপের বিষ্টা,ও প্রস্রাব।জোকের বিষ্টা।আঠালো ও টিকটিকির রক্ত যদি তা প্রবাহিত হয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/৪৬)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 118

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ছোট বাচ্ছা যাদের রয়েছে,তারা একটু সতর্কতার সাথে লক্ষ্য করবেন যে,শিশুটি মুখভরে বমি করছে কি না? যদি মুখভরে বমি করে থাকে,তাহলে সে বমি নাপাক।কাপড়ে লাগলে এক দিরহাম পরিমাণের বেশী হলে,সেই কাপড় দ্বারা নামায বিশুদ্ধ হবে না।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি অনুমান করে অধিকাংশ ধারণার উপর ভিত্তি করে নামাযকে কাযা করে নিবেন।এবং সাথে সাথে না জেনে নামায পড়ার জন্য আল্লাহর কাছে তাওবাহ করে নিবেন।যখন ধারণা হবে যে, আর আপনার যিম্মায়  কোনো কাযা নামাায নেই।তখন আপনি ক্ষান্ত হবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 188 views
0 votes
1 answer 205 views
0 votes
1 answer 215 views
...