আসসালামু 'আলাইকুম,
১. আমার বাসায় অনেক বেশি গীবত হয়, আমি নিষেধ করি যে অন্যের ব্যাপারে বলো না, এটা গীবত তবুও তারা শোনে না, আর বাসায় যেহেতু আমিও থাকি সেগুলো আমার কানে আসে। বিশেষ করে রমাদান এ এটা আমাকে অনেক বেশি পীড়া দিচ্ছে, শুধু মনে হচ্ছে যে আমার দ্বারা আমার কানের মাধ্যমে অন্যের হক নষ্ট হচ্ছে। আবার অনেক সময়, বাবা মায়ের ঝগড়া হয়, বাবা যখন থাকে না তখন মা আমার সামনে এসে তার কষ্টের কথা বলতে থাকেন, এতে তার গীবত ও হয়ে যায়, এমনিতেই তার মন তখন খারাপ থাকে, আমিও কিছু বলতে পারি না যে এগুলো বলো না। আবার যদি কখনো বলি, তখন মা উল্টা ভাবে যে আমি তাকে গুরুত্ব দেই না। আমার করণীয় কি! আমার কি গুনাহ হয়েছে?
২.অন্যের প্রাকটিক্যাল খাতা লিখে দিলে কি গুনাহ হবে? শিক্ষক রাও এ ক্ষেত্রে কোনো বিধি নিষেধ রাখেন নি, বরং তারা ও জানেন স্টুডেন্ট রা অন্য কারো কাছে থেকে লিখে নিতে পারে। এ ক্ষেত্রে গুনাহ হবে কিনা ।
৩. সালাতের মধ্যে বায়ু নির্গমণ এর ক্ষেত্রে সন্দেহ কে এড়িয়ে যেতে বলা হয়, শব্দ বা গন্ধ এর উপর নির্ভর করে। এখন আমার প্রশ্ন হলো, এক ওয়াক্ত এর ওযু দিয়ে অন্য ওয়াক্ত এর সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে ও কি একই নিয়ম? অনেক সময় সন্দেহ হয় যে ওযু গিয়েছে কিনা, সন্দেহ কে প্রাধান্য না দিয়ে অনেক সময় সালাত আদায় করে ফেলি। এক্ষেত্রে সালাত হয়েছে কিনা!
৪. পারিবারিক আয়ে যদি হারাম মিশ্রিত থাকে, তবে তা পুরোপুরি না, তাহলে একজন মেয়ে হিসেবে আমার করণীয় কি। আমি তো তাদের অধীনে থাকি, আমার তো তাদের থেকে না নিয়ে উপায় নেই। আমার পরিবারের যে মেইন উপার্জন তা হালাল, কিন্তু পারিপার্শিক উপার্জন আছে যা হালাল নয় বলেই জানি। আমি যা খাচ্ছি তা যে ঐ হারাম অর্থের না এটা তো আমি নিশ্চিত নই, আমার কি করা উচিত।
৫. "গান শোনা হারাম " এটা অনেকেই স্বীকার করে না বা মানতে চায় না। এক্ষেত্রে কেউ যদি না জেনে বা দ্বীনি ইল্ম না থাকার কারণে গান শোনা হারাম নয় এটা মনে করে, তাহলে কি সে মুর্তাদ হয়ে যাবে কিনা!