আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
36 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,
আগের প্রশ্ন পরিস্কার নয়। শায়েখ দয়া করে আলাদা আলাদা করে উত্তর দিবেন
স্বামী  তালাক এর অধিকার দিয়েছেন। কোনো একটা কারনে। যেই শর্তে অধিকার দিয়েছেন সেই শর্ত ও পাওয়া যায়। স্ত্রী যদি স্বামী উপরে রাগ করে অথবা কোনো একটা কিছু চিন্তা করে একা একা বলে যে "আমি তালাক গ্রহন করলাম" এতে কি তালাক হয়ে যাবে? যেহেতু কোনো সাক্ষী ছিলো না এবং স্বামীও শোনে নি।
বি: দ্র: আর যদি মনে মনে স্ত্রী বলে কিন্তু মুখে উচ্চারণ করেন নি অথবা মুখে এতটুকু বলল যে "আমি তালাক" (তাও একা একা কেউ নেই) তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে?

...এই প্রশ্নটি আগে করেছি।একটি বিষয় ক্লিয়ার না হওয়ায় আবার জিজ্ঞেস করছি।
প্রশ্ন ১: কেউ যদি ইচ্ছা করে মনে মনে তালাক গ্রহন করে তাহলে তালাক হবে।যদি বুঝে শুনে মনে মনে বলে মুখে উচ্চারণ করেনি।
প্রশ্ন ২: তালাক গ্রহন এর কথা মনে মনে স্পষ্ট ভেবে মুখে বলতে গিয়ে শুধু  " আমি " অথবা "আমি তালাক" উচ্চারণ করেছে। পুরো বাক্য বলেনি তাহলে তালাক হবে?
প্রশ্ন ৩: এগুলা ভাবার কারন একজন মুফতি বলেছেন যতক্ষণ স্বামীকে জানানো না হবে ততক্ষন তালাক হবে না। তাই না জেনে স্ত্রী ভুল জেনে করেছে এতে করে মুখে বললে তালাক হবে? যেহেতু সে ভুল জানতো।
প্রশ্ন ৪: স্বামী স্ত্রীর তালাক এর অধিকার ইশারা ইঙ্গিতে স্ত্রীকে বুঝিয়ে তুলে নিলে। বা কোনো এমন কথা বলে তালাক এর অধিকার তুলে নেয়া যাতে বোঝা যায় অধিকার তুলে নেয়া হয়েছে।এবং স্ত্রী ও বুঝেছে তাহলে তালাক এর অধিকার তোলা হবে?

৫. শায়েখ অনেক সময় কিছু কথা মন এবং মাথা দিয়ে স্পষ্ট করে বলি কিন্তু জিহ্বা ও মুখ নারিয়ে না,আমরা মনে মনে কথা বলি যেমন তেমন এটাকে কি উচ্চারণ বলে?।উচ্চারণ বলতে জিহ্বা এবং মুখের সাহায্যে শব্দ করে বলাকেই তো বুঝি।
( এভাবে বলে নি যে তালাক এর অধিকার তুলে নিলাম। কারন সে এ বাক্য উচ্চারন ই করতে চায় না)

৬.  স্ত্রী একজন  ওয়াসওয়াসার রোগি। কিন্তু তার মাথায় জ্ঞান আছে এ অবস্থায় কিছু বললেও কি তালাক পতিত হবে? (সবসময় আল্লাহ এবং তার রাসুল নিয়ে খারাপ চিন্তা আসে। নাউজুবিল্লাহ। কিন্তু এখন একটু একটু নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন আল্লাহর রহমতে। কিন্তু এইবার তো জ্ঞান ছিলো কি বলছে)
[ স্ত্রী রাগান্বিত হয়ে বলেনি। ১ম দিন কথাটা ভাবতে গিয়ে বলেছে। তখন ইচ্ছা করে বলেছে মনে মনে।যেহেতু জানতো স্বামী না জানলে মুখে বললেও হবেনা। ২য় দিন ১ম দিনের কথা ভাবতে গিয়ে বলেছে। ]

1 Answer

0 votes
by (71,400 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/103624/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসআলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায় এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন। যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না।

আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন - https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa

,

ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচার আমলঃ

ইবনে হাজার আল-হাইছামি তাঁর ‘আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা’ গ্রন্থে (১/১৪৯) এসেছে, তাঁকে এর প্রতিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,

له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كانفإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون , وأما من أصغى إليها وعمل بقضيتها فإنها لا تزال تزداد به حتى تُخرجه إلى حيز المجانين بل وأقبح منهم

অর্থাৎ, এর ঔষধ একটাই সেটা হচ্ছে– ওয়াসওয়াসাকে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও। কেননা কেউ যদি সেটাকে ভ্রুক্ষেপ না করে তাহলে সেটা স্থির হবে না। কিছু সময় পর চলে যাবে; যেমনটি তাওফিকপ্রাপ্ত লোকেরা যাচাই করে পেয়েছেন। আর যে ব্যক্তি ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করবে সে ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা বাড়তেই থাকবে; এক পর্যায়ে তাকে পাগলের কাতারে নিয়ে পৌঁছাবে কিংবা পাগলের চেয়েও নিকৃষ্ট পর্যায়ে পৌঁছাবে।

,

এর সর্বোত্তম প্রতিকার হচ্ছে– বেশি বেশি আল্লাহর যিকির করা, لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ পড়া, আউযুবিল্লাহ্ পড়া তথা বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।

,

রাসূলুল্লাহ বলেছেন,

اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِىْ رَدَّ اَمْرَهُ عَلَى الْوَسْوَسَة

সমস্ত প্রশংসা ওই আল্লাহর যিনি শয়তানের বিষয়টি কুমন্ত্রণা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রেখেছেন।’ (নাসাঈ)

,

ইবনে হাজার আল-হাইতামি রহ. বলেন,

له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان

ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

,

মনে মনে তালাক গ্রহণ করলে বা তালাক দিলে তালাক হয় না। তবে তিনি সব রকম ওয়াসওয়াসা পরিহার করে চলবেন। কারণ, ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)

,

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে। এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক, বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।

সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ

https://ifatwa.info/12329/

,

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে স্ত্রীকে ক্ষমতা দেওয়া হয়ে থাকলে কয় তালাকের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিলো? ডিভোর্সড পেপারে কি শব্দে তালাক লেখা ছিলো? ইত্যাদি বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকায় বিস্তারিত উত্তর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই নিকটস্ত কোনো নির্ভরযোগ্য ইফতা বিভাগে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...