দুর্গন্ধ মুখ নিয়ে রাসুলুল্লাহ সাঃ মসজিদে আসতে নিষেধ করেছেন,কারন এতে অন্যান্য মুছল্লি কষ্ট পাবে।
হাদিসে নবীজী ﷺ বলেছেন,
مَنْ أَكَلَ الْبَصَلَ وَالثُّومَ وَالْكُرَّاثَ فَلَا يَقْرَبَنَّ مَسْجِدَنَا، فَإِنَّ الْمَلَائِكَةَ تَتَأَذَّى مِمَّا يَتَأَذَّى مِنْهُ بَنُو آدَمَ
যে ব্যক্তি পেঁয়াজ, রসুন এবং পেঁয়াজের মতো গন্ধ হয় এমন কোনো সবজী খাবে, সে যেন আমাদের মসজিদের ধারে কাছেও না আসে, কেননা; মানুষ যে খারাপ গন্ধ দ্বারা কষ্ট পায়, ফিরিস্তারাও তদ্রূপ কষ্ট পায়। (সহীহ মুসলিম ১/৩৯৫)
আর বলা বাহুল্য যে, সিগারেটের দুর্গন্ধ কাঁচা পেঁয়াজ ও রসুনের চেয়েও অধিক দুর্গন্ধ।
قال رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم: من أکل من ھذہ الشجرة فلا یقربن مسجدنا، وفی روایة فإن الملائکة تتأذی مما یتأذی منہ الإنس (مسلم شریف: ج۱ ص۲۰۹)
রাসুল সাঃ বলেছেন যে যারা এসব জিনিস খায়,তারা যেনো মসজিদের নিকটবর্তী না হয়,অন্য রেওয়ায়েতে এসেছে যে ফেরেশতারা এতে কষ্ট পায়।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
সিগারেট খাওয়া মাকরিহে তাহরিমি।
তবে এর দ্বারা তার নামাজ হবেনা,এমন কথা ইসলামে নেই।
এটি সম্পুর্ন বানোয়াট ও ভিত্তিহীন কথা।
গাঁজা যেহেতু দেহের প্রভূত ক্ষতিসাধন করে এবং এটি একটি মারাত্মক নেশার বস্তু তাই এটা অবশ্যই হারাম।
আবু দাউদ শরীফের ৩৬৮৪ নং হাদীসে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ: سَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ شَرَابٍ مِنَ الْعَسَلِ، فَقَالَ: ذَاكَ الْبِتْعُ قُلْتُ: وَيُنْتَبَذُ مِنَ الشَّعِيرِ وَالذُّرَةِ، فَقَالَ: ذَلِكَ الْمِزْرُ ثُمَّ قَالَ: أَخْبِرْ قَوْمَكَ أَنَّ كُلَّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ
আবূ মূসা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মধুর তৈরী শরবত সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেনঃ এটাকে ‘বেত’উ বলা হয়। আমি বার্লি ও এক ধরণর বীজে তৈরী শরবত সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেনঃ এটা ‘মিযর।’ অতঃপর তিনি বললেনঃ তোমার গোত্রের লোকদের জানিয়ে দাও, নেশা সৃষ্টিকারী প্রতিটি বস্তুই হারাম।
(বুখারী মুসলিম)
আবু দাউদ শরীফের ৩৬৮৬ নং হাদীসে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا أَبُو شِهَابٍ عَبْدُ رَبِّهِ بْنُ نَافِعٍ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَمْرٍو الْفُقَيْمِيِّ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ كُلِّ مُسْكِرٍ وَمُفَتِّرٍ
উম্মু সালামাহ (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নেশা সৃষ্টিকারী সর্ব ধরণের বস্তু এবং অবসন্নকারী বস্তুর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছেন।
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَمُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالاَ حَدَّثَنَا مَهْدِيٌّ، - يَعْنِي ابْنَ مَيْمُونٍ - حَدَّثَنَا أَبُو عُثْمَانَ، - قَالَ مُوسَى هُوَ عَمْرُو بْنُ سَلْمٍ الأَنْصَارِيُّ - عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " كُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ وَمَا أَسْكَرَ مِنْهُ الْفَرْقُ فَمِلْءُ الْكَفِّ مِنْهُ حَرَامٌ "
মুসাদ্দাদ (রহঃ) ............. আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ প্রত্যেক নেশা সৃষ্টিকারী বস্তুই হারাম। আর যে বস্তুর অধিক পানে নেশার সৃষ্টি হয় তা এক অঞ্জলীও পান করা হারাম।
(আবু দাউদ ৩৬৪৬)
,
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সিগারেট পান করা মাকরুহে তাহরিমি।
গাজা খাওয়া হারাম।
তবে ধুমপান বা নেশা জাতীয় জিনিষ সেবন করার দরুন যে নামাজ কবুল হবে না।
নামাজ কবুল না হওয়ার পক্ষে কোনো দলীল প্রমাণ নেই।হ্যা ইবাদতের স্বাদ পাওয়া যায় না।
,
★এক্ষেত্রে যখন তাদেরই নামাজ কবুল হবে,সুতরাং আপনার নামাজ কবুল হওয়াতে তো কোনো সমস্যাই নেই।
আরো জানুনঃ
,