আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
এক বোন কিছু প্রশ্ন করেছেন,

আসসালামু আলাইকুম শায়েখ আমার অনেক গুলো প্রশ্নের উত্তর জানার ছিল আশা করি দিবেন ইনশাআল্লাহ।


১) শায়েখ তারাবীহ নামায কি দুই দুই রাকাত করেই পড়তে হবে নাকি চার রাকাত করে পড়া যাবে? আপনাদের সাইটে দেখলাম একজন শায়েখ উত্তর লিখেছেন যে দুই রাকাত করে পড়তে এক ঘেয়েমি লাগলে বা পড়তে মন না চাইলে চার রাকাত করে পড়া যাবে এটা কি আসলেই সঠিক আমি উত্তরটা শুনে,চার রাকাত করে ১২রাকাত পরছিলাম এভাবে আমার তারাবি নামাজ কি হইছে?

২)ফরজ গোসল করার সময় মহিলাদের নাকি যোনিপথে পানি প্রবেশ করতে হবে তাহলে এটা কিভাবে মানে যদি বাথরুমে গিয়ে লজ্জা স্থানে আঙুল দিয়ে পানি দ্বারা সাদা স্রাব পরিষ্কার এর মতো করা হয় তাহলে এভাবে কি যোনিপথে পানি প্রবেশ করা হয়েছে ধরা হবে?

৩)আর আমি যেভাবে বলছি যোনিপথে পানি প্রবেশ এর বিষয়টা এভাবে যদি পানি পৌঁছে তাহলে ফরজ গোসল করার আগে বাথরুম থেকে এভাবে যোনিপথে পানি দেওয়ার পর গোসল খানায় এসে যদি ফরজ গোসল শুরু করি তখন আবার গোসল এর সময় কি নতুন করে যোনিপথে পানি প্রবেশ করতে হবে, যেহেতু মহিলাদের ফরজ গোসল করার জন্য যোনিপথে পানি প্রবেশ করা জরুরী।

৪)শায়েখ আমার বেশিরভাগ ই পিরিয়ডের সময় ১০দিন,১০রাতের, পর ফরজ গোসল করে নামাজ পড়া শুরু করি কারণ এই দিন গুলোর ভিতর আমার একদম সাদা স্বচ্ছ স্রাব আসে না মানে লাস্ট নয় দশ দিনের দিন সাদা কাগজে স্রাব নিয়ে দেখি সাদা কিনা তখন একটু ও মেটে কালার থাকলে গোসল করিনা এভাবে আমার নিয়ম কি ঠিক আছে, আর এদিকে শায়েখ আমার আজকে দশ দিন চলছে কিন্তু দশ রাত পর্যন্ত টাইম টা শেষ হয়নি কিন্তু এখনো সম্পূর্ণ সাদা স্রাব দেখিনি তো দশ দিন দশ রাত এর সময় টা শেষ হবে আগামীকাল সকাল ১০টার,দিকে এখন আমি কি আগে থেকে রাতে সাহরী খেয়ে গোসল না করেই রোজা রাখতে পারবো যেহেতু আগামীকাল প্রথম রোজা আর আমার পিরিয়ডের সময় ১০দিন ১০রাতের, সময়সীমা শেষ আগামীকাল সকাল দশটা দিকে?

৫) রোজা রাখা অবস্থায় নাকি প্রসাব করা পর পিরিয়ডের রাস্তায় সামান্য একটু আঙ্গুল দিয়ে সাদা স্রাব পরিষ্কার করলে এতে রোজা ভেঙ্গে যাবে? আর এমনিতে রোজা রাখা অবস্থায় প্রস্রাব করা ছাড়া এমনি শুকনো কাপড় দিয়ে মাসিকের রাস্তায় শুকনো আঙ্গুল দ্বারা সাদাস্রাব পরিষ্কার করা যাবে আর এভাবে সাদাস্রাব পরিষ্কার করলে নাকি রোজা ভাঙবে না এটা কি সঠিক?

৬) শায়েখ যোনিপথে টিস্যু রেখে যাতে সাদা স্রাব না আসে এভাবে নাকি নামাজ পড়া জায়েয এটা কি আসলেই সঠিক? আর যদি সঠিক হয় তাহলে আমরা যারা অবিবাহিত মেয়ে আছি আমারা ও এভাবে টিস্যু দিয়ে নামাজ আদায় করতে পারবো?

৭)শায়েখ আমাদের বাসায় আমি কয়েক জন শিক্ষার্থী কে প্রাইভেট পড়াই এখন এদের মধ্যে একজন ছেলে যার বয়স সে গত বছর বলছিলো ৯বছর, তো এই বছর ১০বছর, হবে হয়তো এখন তার সামনে কি পর্দা করতে হবে, আর যদি পর্দা করা ফরজ হয়ে থাকে তাহলে আমি কি তার সামনে আমি বাড়িতে যেসব শালিন পোশাক পড়ি এর সাথে যদি হাত পা মোজা ও মুখ ঢেকে রাখি এভাবে কি আমি তাকে পড়াতে পারবো? আর বিশেষ করে পড়ানো টা আমার জরুরি কারন আমার কতগুলো টাকা ঋণ আছে।

৮) শায়েখ আপনাদের সাইটে দেখলাম যে কথা টার ভাবার্থ এরকম যে আপনারা বলছেন যে স্ত্রী সহবাস বুঝে এমন নাবালক ছেলের সামনে পর্দা করা ফরজ আর এখন ইন্টারনেটের যুগে ৭/৮বছরের,ছেলের সামনে ও পদা করতে হবে তাহলে আমার প্রশ্ন হলো ইন্টারনেট এর যুগ ঠিক আছে কিন্তু আমি কিভাবে বুঝবো যে এমন বয়সের ছেলেরা এসব বিষয়ে বোঝেন কী না মানে আমাদের বাড়িতে আপু ও প্রাইভেট পড়ায় দুইজন ছেলে যাদের বয়স ৭/৮হবে, এখন আমি বুঝতে পারছি না তারা এসব বিষয়ে বোঝে কিনা মানে তাছাড়া তাদের ছাড়াও বাড়িতে যেকোনো সময় এমন বয়সের ছেলে বাচ্চা চলে আসে তো আমি তো দোটানায়, পড়ে যায় তারা স্ত্রী সহবাস সম্পর্কে বুজে কিনা আর তাদের সামনে কি পর্দা করতে হবে কি না এরকম অবস্থায় কি করনীয়?

৯) শায়েখ আমার বাড়ি গ্রাম অঞ্চলে তো আমাদের এদিকে ফসলের জমিতে যা কেউ চাষ করেনি এমন শাক এগুলো খাওয়া কি জায়েয মানে এই শাক গুলো যে কেউ ইচ্ছে তুলে এনে খায়, তো খাওয়ার জন্য কি খেতের মালিক এর অনুমতি নিতে হবে আর কোন জমির মালিক কে এগুলো তো সব সময় জানা থাকে না আর এই শাকের জন্য কেউ দাবি রাখে না,কারনএই শাক চাষ করা ছাড়া এটা সারা বছর ই আল্লাহর রহমতে জমিতে জন্মায়।

১০)শায়েখ আমার এক আত্মীয় উনি পেশায় একজন কবিরাজ আর মুদি দোকান চালায় তো উনি সারা বছরই কিস্তিতে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করে আর যেহেতু কবিরাজ আশা করি জানা থাকবে কুরআন সুন্নাহ ব্যতীত এসব কবিরাজরা কিভাবে ধোকা দিয়ে টাকা ইনকাম করে, তো আমার জানার বিষয় হচ্ছে একে তো কিস্তি থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করে আবার মানুষ কে ধোকা দিয়ে টাকা ইনকাম করে তো উনি আমাদের এক ঈদে দুই হাজার টাকা দেন ঈদের শপিং করার জন্য তো আমি জানতে চাচ্ছি উনার দেওয়া এই টাকা কি খরচ করা কি জায়েজ হবে যেহেতু আমার জানা সত্বেও উনার আর কোনো হালাল ইনকাম এর সোর্স জানা নেই, ।

১১) আরেকটা বিষয় উপরের প্রশ্নে যার কথা বলছি উনি সম্পর্কে আমার বোন জামাই তো ওনার টাকা যদি আমার জন্য জায়েজ না হয় তাহলে আগে অনেক বার ই ওনার বাসায় খেয়েছি আবার ওনার দেওয়া কত টাকা ই খরচ করছি তবে হালাল হারাম সম্পর্কে জানার পর আস্তে আস্তে,বন্ধ করে দিয়েছি এখন আগে যে ওনার দেওয়া টাকা খরচ করছি বা ওনার বাসায় খাইছি ঐ গুলো কি হবে যেহেতু আমি জানতাম না?

১২)শায়েখ এমন কারো নামে যদি গিবত হয়ে যায় যে মাফ চাইতে পারবো এমতাবস্থায় কি করনীয়?

১৩) শায়েখ আমার আপুর একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে এখন প্রতিষ্ঠান এর নিয়ম অনুযায়ী ছুটি হওয়ার কথা ১১:৩০মিনিট, এখন দেখা যায় কখনো কখনো এই টাইমের আগেও ছুটি দিয়ে দেয় যেমন ১০:৩০বা১১:০০টায়, এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে এভাবে যে সময় হওয়ার আগেই ছুটি দিয়ে দিচ্ছে এভাবে পড়িয়ে যে বেতন নিচ্ছে তা কি জায়েজ হচ্ছে? আর আপুদের এই টাকা কি আমার খাওয়া জায়েজ হবে ?

১৪) উস্তায আপনাদের সাইটে দেখলাম যে একটা প্রশ্নের উত্তরে বলছেন যে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর রাতের স্বপ্নের কথা মনে না থাকলে ও লজ্জাস্থান যদি ভিজা থাকে মানে মযি সম্পর্কে নিশ্চিত থাকেন তাহলে গোসল ফরজ হবে, ?আবার এইটা ও দেখলাম যে আপনারা লিখেছেন যে স্বপ্নদোষ স্মরণ থাকা অবস্থায় সাতটি সুরত ,আবার স্বপ্নদোষ স্মরণে না থাকা অবস্থায় সাতটি সুরত। আর স্বপ্নদোষ স্মরণে,না থাকা অবস্থায় সাতটি সুরতের একটা পয়েন্ট ছিল ,যে মযি সম্পর্কে নিশ্চিত গোসল ফরজ হবে না। তাহলে আমি এই প্রশ্নের উপরের অংশে যে বিষয়টা তুলে ধরলাম যে আপনারা লিখছিলেন যে স্বপ্নের কথা মনে না থাকলে ঘুম থেকে ওঠার পর লজ্জাস্থান ভেজা মানে মযি সম্পর্কে নিশ্চিত হলে গোসল ফরজ হবে, তাহলে এই দুইটার মাঝে কোন টা সঠিক?

১৫)রাতে কি স্বপ্ন দেখছি সবসময় তো আর মনে থাকে না, তাহলে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর যদি নরমাল পানির মতো ভিজে থাকে আর এতে যদি গোসল ফরজ হয় ,তাহলে আমার তো বেশিরভাগ ই ঘুম থেকে উঠার লজ্জাস্থানে ভেজা থাকে তাহলে আমি যতদিন এরকম দেখব ততবারই আমার গোসল করে নামাজ পড়তে হবে?
১৬) আর শায়েখ উত্তেজনার সময়ে যে পিচ্ছিল পানি বের হয়ে আসে এটাকে কি মযি বলে? এটাকে যদি মযি বলে আর ঘুম থেকে ওঠার পর লজ্জাস্থান এ যদি এরকম পিচ্ছিল পানির মত না দেখি আর স্বপ্নের কথা ও না মনে থাকে আর লজ্জাস্থানে একদম নরমাল পানির মতো ভেজা ভাব দেখি তখন ও কি গোসল ফরজ হবে?

১৭) রোজা অবস্থায় নাকি পিরিয়ডের রাস্তার একটু ভিতরে শুকনো আঙ্গুল বা শুকনো কাপড় দিয়ে সাদা স্রাব পরিষ্কার করলে রোজা ভেঙ্গে যায় না,তাহলে এভাবে শুকনো কাপড় দিয়ে সাদা স্রাব যদি পরিষ্কার করি আর তখন যদি লজ্জা স্থান এ অস্বস্তিবোধ অনুভব হয় তখন কি এটাকে উত্তেজনা ধরা হবে আর এতে করে কি আমার ওপর গোসল ফরজ হবে? তবে আমি খেয়াল করে দেখলাম যে এমনিতে পরিষ্কার করা ছাড়া ও আমার রোজা রাখা অবস্থায় বা রোজা ছাড়া ও মাঝে মাঝে লজ্জা স্থান এ অস্বস্হি বা জ্বালাপোড়া মতো অনুভব হয়।
১৮)শায়েখ নাপাক কাপড় পাক করার সময় যদি তিন বার করে ধোঁয়া হয় আর তখন কি প্রতিবার হাত আলাদা করে ধুয়ে নিতে হবে যেমন কোনো নাপাক কাপড় ময়লা দূর করার জন্য সাবান ব্যবহার করে তিন বার ধূবো আর এই হাত দিয়ে টিউবওয়েল বা ট্যাপ ধরলে কি ঐ গুলো নাপাক হবে,আর এই কাপড় টি একবার ধুইলাম পরে আবার দ্বিতীয় বার ধোঁয়ার জন্য যেহেতু টিউবওয়েল এ ধরতে হবে তো এভাবে কি আমার হাত নাপাক হবে নাকি আলাদা ভাবে হাত ধোয়ার দরকার নেই সোজা তিন বার ধুলেই হবে?

১৯) আমার আপু জানতে চাইছে যে সামী সহবাসের পর ফরজ গোসল করার আগে লজ্জা স্থান এ থাকা সাদা স্রাব পরিষ্কার করে গোসল করে নিলে আর গোসল এর পর আবার যদি পিচ্ছিল পানির মত বের তখন কি আবার গোসল ফরজ হবে?

২০)সামী সহবাসের পর কি মহিলাদের যোনিপথে একদম ভিতরে আঙ্গুল ঢুকিয়ে সাদা স্রাব পরিষ্কার করা জরুরি?আর যদি আবশ্যক হয় তাহলে কারো যদি এভাবে স্রাব পরিষ্কার করতে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে তখন কি করনীয়?

২১)শায়েখ একদিন মিষ্টি কুমড়া কাটছিলাম আর এটার কষ আমার হাতে লাগছিলো তবে আমার সাধ্য অনুযায়ী সাবান ও জালি দিয়ে ঢলে ঢলে ধুইছি তারপর যোহর আসর ও মাগরিবের ফরজ নামাজ পড়ার পর হঠাৎ হাতে খেয়াল করি দেখি এক আঙুলে ঐ কষের কিছুটা আমার হাতে লেগে ছিল যা শুকনো হাতে,আলাদা,আবরনের মত লেগে আছে তো এতে কি আমার ওযু হয়েছিলো?

২২)শায়েখ পিরিয়ড অবস্থায় কি সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, তিন কুল সাত বার করে পাঠ বদনজরের জন্য রুকইয়ার গোসল এর পানি রেডি করা যাবে?

২৩)আপনাদের সাইটে ওয়াস ওয়াসার জন্য তিন দিনের যে রুকাইয়া পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এই রুকাইয়া টা কি পিরিয়ড অবস্থায় করা যাবে ?

২৪)হঠাৎ কেউ যদি কোনো কিছু খেতে দেয় আর আমি যদি না জানি খাবার টা হালাল ইনকামের কি না ঐ খাবার আমি খেতে পারবো?আর কারো গাছ থেকে কোনো পাতা বা ফল বলে খাওয়া জায়েজ হবে যেহেতু ওনার গাছ টি হালাল না হারাম টাকা দিয়ে কিনছেন কি না এটা আমি জানি না?

২৫)শায়েখ সকালে খালি পেটে পানি খাওয়া এটা নাকি নবিজী (স:) নিষেধ করেছেন এটা কি সত্যি?

২৬) কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করার সময় উযু ভেঙে গেলে গিলাফ দিয়ে কুরআন শরীফ কে ধরে আলমারি তে রাখা যাবে?

২৭)রমজান মাসে যদি নিয়ত করি যে একটা কুরআন খতম দিব এখন যদি দিতে না পারি তখন কি করনীয়?আর কুরআন শরীফ খতম দেওয়ার যে নিয়ম দেওয়া আছে কুরআন শরীফ এর শুরুতে যেমন সূরা বাকারা ফাতিহা পাঠ করা শেষে আমিন বলা আবার সূরা দোহা থেকে নাস পর্যন্ত প্রতিটা সূরা শেষ করে তাকবীরে তাশরিক পাঠ করা ও শেষে কুরআন শরীফ খতম এর দোয়া পাঠ করা এভাবে কুরআন শরীফ খতম দেওয়ার নিয়ম টা নাকি জাল হাদিস এটা কি সহিহ? নাকি এই নিয়ম টা সঠিক।

পরিশেষে বলবো আপনাদের সাইটে দেওয়া পরামর্শ বা ফতোয়া গুলো আমার প্রয়োজনে আমি স্ক্রিন শট দিয়ে নিজের কাছে রাখি তাই এখানে বললাম যেহেতু আপনাদের থেকে অনুমতি নেওয়ার সুযোগ নেই।

আর আমি অনেক গুলো প্রশ্ন করছি আপনাদের জাযাকাল্লাহ খঈরন।

1 Answer

0 votes
by (68,430 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

জবাব,

بسم الله الرحمن الرحيم

আবূ হারূন আল-আবদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত।

عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَنَا " إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّهُمْ سَيَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرْضِ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا "

তিনি বলেন, আমরা আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) -এর কাছে এলেই তিনি বলতেনঃ তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওসিয়ত অনুযায়ী স্বাগতম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলতেনঃ লোকেরা অবশ্যই তোমাদের অনুগামী। অচিরেই পৃথিবীর দিকদিগন্ত থেকে লোকেরা তোমাদের নিকট দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য আসবে। তারা যখন তোমাদের নিকট আসবে,তখন তোমরা তাদেরকে ভালো ও উত্তম উপদেশ দিবে।(সুনানু তিরমিযি-২৪৯,তিরমিযী- ২৬৫০,২৬৫১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৭।)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

অতীব জরুরী ও সাধারণ মাস'আলা মাসাঈল আয়ত্বে না থাকার কারণে দৈনন্দিন জীবনে দ্বীন-ইসলাম পালন করতে, যে সমস্ত দ্বীনি ভাই-বোন থমকে দাড়ান,এবং যাদের দ্বীনি ইলম অর্জনের কাছাকাছি কোনো নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নেই, মূলত তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিতেই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস .....

মুহতারাম/মুহতারামাহ!

দ্বীনের পরিধি অনেক ব্যাপক, সকল বিষয়ে আলোচনা করা বা দিকনির্দেশনা দেওয়া স্বল্প পরিসরের এই ভার্চুয়ালি মাধ্যম দ্বারা আমাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। চেষ্টা করলেও প্রশ্নকারীর পিপাসা মিটানো সম্ভব হবে না। প্রত্যেক বিষয়ে আমরা শুধুমাত্র সামান্য আলোকপাত করে থাকি।

উপরোক্ত প্রশ্নটির ব্যাপারে উলামায় কেরামের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। মতবিরোধপূর্ন প্রশ্নগুলো উত্তর দেওয়ার জন্য স্থান, কাল, পাত্র অনেক কিছুই জানার প্রয়োজন হয়। যেটা অনলাইনে জানা সম্ভব হয় না।

তাই এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের জন্য আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট উলামায় কেরামের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে বলেই আমাদের ধারণা।

তাছাড়া ইলম অর্জনের জন্য সফর করা অত্যান্ত  জরুরী। এবং কষ্ট করে ইলম অর্জন করাই আমাদের  আকাবির আসলাফদের রীতি ও নীতি। এদিকেই কুরআনের এই আয়াত ইঙ্গিত দিচ্ছে,

فَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَائِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ

তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্ব-জাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে।(সূরা তাওবাহ-১২২)

সুতরাং আপনাকে বলবো, আপনি বিস্তারিত জানতে স্ব-শরীরে কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করবেন।

প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।আল্লাহ তা'আলা আপনার ইলম অর্জনের স্পৃহাকে আরোও বাড়িয়ে দিক, আমীন!! প্রত্যেকটা বিষয়ের সাথে নিম্নের হাদীসকে লক্ষ্য রাখবেন।

হাসান ইবনে আলী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে।

ﻭﻋﻦ ﺍﻟﺤَﺴَﻦِ ﺑﻦ ﻋَﻠﻲٍّ ﺭﺿﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﻔِﻈْﺖُ ﻣِﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﷺ : « ﺩَﻉْ ﻣَﺎ ﻳَﺮِﻳﺒُﻚَ ﺇِﻟﻰ ﻣَﺎ ﻻ ﻳﺮِﻳﺒُﻚ » ﺭﻭﺍﻩُ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ ﺻﺤﻴﺢٌ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি।তিনি বলেন,সন্দেহ যুক্ত জিনিষকে পরিহার করে সন্দেহমুক্ত জিনিষকে গ্রহণ করো। (সুনানু তিরমিযি-২৪৪২)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 133 views
0 votes
1 answer 136 views
...