আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in সালাত(Prayer) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম,

আমি আমেরিকার একটি গ্রামে থাকি৷ সেখানে একটা মসজিদ আাছে আমাদের বাসার পাশেই এবং ওই মসজিদে তারাবী ৮ রাকাত পড়ানো হয়। মসজিদের  মুসল্লীর ৯০% আরব ও আফ্রিকান দেশের।  এইখানে নির্দিষ্ট কোনো ইমাম নাই, ২/৩ জন চাকুরী জীবি হাফেজ হওয়ার করনে তারাই তারাবী (৮ রাকাত) পড়ান। তারাবী পড়ার পর তারা জামাতে বিতর পড়ে,  এই বিতরে তারা দুই রাকাতের পরে সালাম ফিরাই এবং তৃতীয় রাকাতে নামাজের মাঝে হাত উঠিয়ে দোআ করে, তিন রাকাত বিতর শেষ করে(সৌদি নিয়মে)। আমরা হানাফি মাযহাবের ৫-৬ জন এখানে নামাজ পড়ি। আমি সহ আরেকজন ভাই ৮ রাকাত পর মসজিদ থেকে নিজ নিজ বাসায় চলে যায় আর বাসায় যেয়ে বাকী ১২ রাকাত নিজে পড়ি (যার যার মত) এবং তারপর হানাফি নিয়মে বিতর পরে নামাজ শেষ করি। কিন্তু অন্য কয়েকজন হানাফি ভাই মসজিদের জামাত সম্পূর্ন বিতরসহ ফলো করে। যদিও আমি জানি না তারা বাকি ১২ রাকাত আদায় করে কিনা বাসায় যেয়ে।
অনেক দিন ধরে মনের ভিতর খুত খুত করতেছে ঠিক করতেছি কিনা। সবার সামনে দিয়ে এভাবে বের হয়ে আসতে লজ্জা বোধ হয়৷ একটা হাদিস শুনলাম যে, বিতর ইমামের সাথে জামাতে শেষ করলে সারারাত ইবাদতের সওয়াব পাওয়া যায়। আবার মনে হচ্ছে আমরা ওদের সাথে বিতর না শেষ করাই অহংকার প্রকাশ পাচ্ছে কিনা! কিছুই বুঝে আসতেছে না।

হুজুর এর কাছে সঠিক জিনিস টা জানতে চায়। আমার কি করা উচিত।


জাযাকাল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (71,340 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/113226/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তারাবিহ নামাজ বিশ রাকাত পড়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।

কেউ যদি বিনা ওযরে বিশ রাকাত না পড়ে, বা ওযর বশত বিশ রাকাত না পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলে, তাহলে সে গুনাহগার হবে এবং শেষে তিন রাকাত বিতর পড়া ওয়াজিব।

,    

ইমাম বুখারীসহ সিহাহ সিত্তার সকল গ্রন্থকারের উস্তাদের ২৬ খন্ডে রচিত কিতাব ‘মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ’( ২/১৬৪)-তে সহিহ সনদে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,

ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﷺ ﻛَﺎﻥَ ﻳُﺼَﻠِّﻲ ﻓِﻲ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﻋِﺸْﺮِﻳﻦَ ﺭَﻛْﻌَﺔً ﻭَﺍﻟْﻮِﺗْﺮَ 

রাসূল রমযান মাসে বিশ রাকাআত তারাবী ও বিতির আদায় করতেন। হাদিসটি এই হাদিসগ্রন্থগুলোতেও বর্ণিত হয়েছে– সুনানুল কোবরা লিল-বায়হাকী: ২/৬৯৮, আল-মুনতাখিব: ৬৫৩, আল-মু’জামুল কাবীর: ১১/৩৯৩, আল-মু’জামুল আওসাত: ১/২৪৩।

,

 ইয়াজিদ বিন রূমান বলেন,

 كان الناس يقومون في زمان عمر بن الخطاب في رمضان بثلاث وعشرين ركعة

লোকেরা (সাহাবী ও তাবেয়িগণ) ওমর রাযি. এর শাসনামলে বিশ রাকাত তারাবী এবং তিন রাকাত বিতির রমযান মাসে আদায় করতো। (মারিফাতুস সুনান ওয়াল আসার, হাদীস নং-১৪৪৩, মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৩৮০, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪৩৯৪)

,

সায়েব বিন ইয়াজিদ বলেন,

 كـانوا يقـومـون عهد عمر بن الخطاب رضى الله عنه فى شهر رمضان بعشرين ركعة وكانوا يقومون بالمأتين وكانو يتوكؤن على عصيتهم فى عهد عثمان من شدة القيام 

ওমর রাযি. এর শাসনামলে লোকেরা (সাহাবী ও তাবেয়িগণ) বিশ রাকাত তারাবী পড়তেন। আর উসমান রাযি. এর শাসনামলে লম্বা কেরাতের কারণে লাঠির উপর ভর দিতেন। (বায়হাকী-৪/২৯৬)

,

বিস্তারিত জানুনঃ-

https://ifatwa.info/14174/

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

,

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী (ফিক্বহে হানাফী মতে) তারাবিহ নামাজ বিশ রাকাত পড়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। আর আপনারা যেহেতু হানাফী ফিক্বহ অনুসরণ করে থাকেন তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উত্তম হলো মসজিদে ৮ রাকাত পড়ে বাসায় এসে বাকী ১২ রাকাত পড়ে বিতর সালাত আদায় করবেন। যেমন এক ভাই করে থাকেন। প্রয়োজনে ছোট সূরা দিয়েও তারাবীহ পড়তে পারেন। আবার আপনি চাইলে শেষ রাতে ১২ রাকাত পড়বেন। আর বিতর সালাত জামাতে পড়ার উক্ত ফযীলতের কথা পাওয়া যায়নি

আরো বিস্তারিত জানুন - https://ifatwa.info/114461/

আরো জানুন - https://ifatwa.info/71771/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 176 views
...