বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
3920 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ও প্রেম ভালবাসা হারাম।সুতরাং অতীত জীবনের জন্য খালিছ নিয়তে আল্লাহ কাছে ক্ষমা চান।
মহিলার যদি তার স্বামীকে পছন্দ না হয়,সে তার স্বামীর নিকট খুলার আবেদন করতে পারবে।খুলা হলো,নিজের মহরকে মাফ করে দিয়ে বা ফিরিয়ে দিয়ে বিনিময়ে সে তার স্বামীর কাছে তালাক চাইবে।স্বামী রাজী না হইলে প্রাপ্ত মহর থেকে বেশীও কিছু দিতে পারবে।স্বামী রাজী না হলে কাযী সাহেব বা কোর্টে তালাকের আবেদন করবে।তখন কাযী সাহেব বা কোর্ট তালাক প্রদানের জন্য স্বামীকে মজবুর করবে।কিংবা কোর্ট নিজেই বিবাহ ভঙ্গের ফয়সালা দিয়ে দিবে।
অন্যর স্ত্রীকে নিজের জন্য কামনা করা বা নিজের করে পাওয়ার জন্য দু'আ যিকির করা আল্লাহ বিধিনিয়মে সীমালঙ্ঘনের শামিল।সুতরাং কোনো ব্যক্তি পরস্ত্রী বা পরস্বামীকে নিজের করে পাওয়ার জন্য দু'আ, যিকির করা কখনো জায়েয হবে।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
.............. وَعَسَى أَن تَكْرَهُواْ شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ وَعَسَى أَن تُحِبُّواْ شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ وَاللّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ
..........পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না।(সূরা বাকারা-২১৬)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মেয়েটির বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে অন্য জায়গায়।যদিও মেয়েটি বিয়েতে রাজিনা।কিন্তু বাবা মায়ের জোরাজোরিতে রাজি হয়েছে।এখন ছেলেটির জন্য ঐ বিয়ে ক্যান্সেল হওয়ার দু’আ করা কখনো জায়েয হবে না। কেননা এখানে অন্য আরেকজনের স্বার্থ জড়িত হয়ে গেছে। তাই এখানে ঐ বিয়ে ক্যান্সেল হওয়ার দু’আ না করাই উত্তম।