জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ইমাম বুখারীসহ সিহাহ সিত্তার সকল গ্রন্থকারের উস্তাদের ২৬ খন্ডে রচিত কিতাব ‘মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ’( ২/১৬৪)-তে সহিহ সনদে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﷺ ﻛَﺎﻥَ ﻳُﺼَﻠِّﻲ ﻓِﻲ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﻋِﺸْﺮِﻳﻦَ ﺭَﻛْﻌَﺔً ﻭَﺍﻟْﻮِﺗْﺮَ
রাসূল ﷺ রমযান মাসে বিশ রাকাআত তারাবী ও বিতির আদায় করতেন।
হাদিসটি এই হাদিসগ্রন্থগুলোতেও বর্ণিত হয়েছে– সুনানুল কোবরা লিল-বায়হাকী: ২/৬৯৮, আল-মুনতাখিব: ৬৫৩, আল-মু’জামুল কাবীর: ১১/৩৯৩, আল-মু’জামুল আওসাত: ১/২৪৩।
তারাবীহের সময় ফরয এশার নামাযের পর থেকে ফজরের পূর্ব পর্যন্ত, এশার নামাযের আগে তারাবীহ নামায বৈধ নয়।
কেহ যদি ইশার পূর্বে তারাবিহ পড়ে নেয়,তাহলে সেটি নফল হয়ে যাবে।
তারাবিহ এর নামাজ ২য় বার পড়তে হবে।
حاشية الطحطاوي على مراقي الفلاح شرح نور الإيضاح (1 / 413):
"ووقتها" ما "بعد صلاة العشاء" على الصحيح إلى طلوع الفجر "و" لتبعيتها للعشاء ".
সারমর্মঃ-
তারাবিহ নামাজের ওয়াক্ত হল এশার নামাজের পর। সহিহ মত অনুসারে এটার ওয়াক্ত ফজর উদিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত থাকে।
عالمگیری:
"«وَالصَّحِيحُ أَنَّ وَقْتَهَا مَا بَعْدَ الْعِشَاءِ إلَى طُلُوعِ الْفَجْرِ قَبْلَ الْوِتْرِ وَبَعْدَهُ حَتَّى لَوْ تَبَيَّنَ أَنَّ الْعِشَاءَ صَلَّاهَا بِلَا طَهَارَةٍ دُونَ التَّرَاوِيحِ وَالْوِتْرِ أَعَادَ التَّرَاوِيحَ مَعَ الْعِشَاءِ دُونَ الْوِتْرِ؛ لِأَنَّهَا تَبَعٌ لِلْعِشَاءِ»."
(«الفتاوى الهندية» (1/ 115)، (فَصْلٌ فِي التَّرَاوِيحِ)، (الباب التاسع في النوافل) ، الناشر: دار الفكر)
সারমর্মঃ-
সহিহ মত অনুসারে তারাবির ওয়াক্ত হল এশার পর হতে ফজর উদিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বিতরের পূর্বে এবং বিতরের পরে। যদি প্রকাশ পায় যে কেহ এশার নামাজ আদায় করেছে ওযুর ছাড়াই, তবে তারাবি ও বিতর নয়, তাহলে সে তারাবিহকে এশার সাথে পুনরায় আদায় করবে, বিতরকে নয়। কেননা তারাবি এশার তাবে'
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার তারাবিহ নামাজ গুলি আদায় হয়নি।
সেগুলো নফল হিসেবে গন্য হয়েছে।