আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
252 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (19 points)
السلام عليكم و رحمة الله و بركاته.

মন দিয়ে খুজলে ঈশ্বরকেও পাওয়া যায় এমন কথা হিন্দুদের মাঝে খুব প্রচলিত। এটা অনেক মুসলিমদেরও বিশ্বাস করতে দেখা যায়। এটার ব্যাপারে কিছু বলুন প্লিজ।

এরকম বিশ্বাস করলে কি ঈমান থাকবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
এ কথার অর্থ যদি এমন হয় যে, মন দিয়ে দিল দেমাগ লাগিয়ে তথা বিবেক বুদ্ধি খাটিয়ে চিন্তা করলে অবশ্যই আল্লাহর মহত্বকে বুঝা যাবে। আল্লাহকে পাওয়া যাবে।তাহলে এমন কথা অশুদ্ধ নয়। 

(এ সম্পর্কে একটি সংগূহিত আর্টিকেল উপস্থাপন করছি…..)
মানুষ বুদ্ধিমান বা বিবেকসম্পন্ন প্রাণী। অন্যান্য প্রাণীর সাথে তার মূল পার্থক্যই হল তার জ্ঞানের ব্যবহার। যদি জ্ঞান দিয়ে মানুষকে সজ্জিত করা না হত তা হলে অন্যান্য প্রাণীর সাথে তার কোন পার্থক্যই থাকত না। অন্যান্য প্রাণী যেমন খাদ্য গ্রহণ করে ও বংশ বৃদ্ধি করে,একইভাবে মানুষেরও এর থেকে বেশি কিছু করার থাকত না।

স্রষ্টার অস্তিত্ব ও একত্ব প্রমাণে, নবী-রাসূলগণের সত্যতা প্রমাণে, কিয়ামতে পুনরুত্থান প্রমাণে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে অসংখ্য যুক্তি উপস্থাপন করে জ্ঞানের প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন।

লক্ষণীয় বিষয় যে,অন্যান্য ধর্মের বিপরীতে ইসলামই একমাত্র ধর্ম যা জ্ঞান ও বিবেক-বুদ্ধির ব্যবহারে এত অধিক গুরুত্ব আরোপ করেছে। জ্ঞান ও বিবেক-বুদ্ধির ব্যবহারে যে বিপুল সংখ্যক নির্দেশনা ইসলাম ধর্মে পাওয়া যায় তা অন্য কোন ধর্মে পাওয়া যায় না। বাইবেলে এমনকি জ্ঞানকে আদি পাপের সাথে সংশ্লিষ্ট করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কেবল সত্যধর্মের পক্ষেই জ্ঞান ও বিবেক-বুদ্ধির ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ সম্ভব। কেননা, সত্যে উপনীত হওয়ার মূল প্রক্রিয়াটি হচ্ছে জ্ঞানগত চেষ্টা-প্রচেষ্টা চালানো।

যারা বিবেক-বুদ্ধি কাজে লাগায় না,কোনরূপ চিন্তা করে না,গবেষণা করে না তাদেরকে কুরআনে মূক,বধির,অন্ধ ইত্যাদি অভিধায় তিরস্কৃত করা হয়েছে: إِنَّ شَرَّ الدَّوَابِّ عِنْدَ اللهِ الصُّمُّ الْبُكْمُ الَّذِيْنَ لَا يَعْقِلُوْنَ

আল্লাহর নিকট নিকৃষ্টতম জীব সেই বধির ও মূক যারা কিছুই উপলব্ধি করে না।

আরও বলা হয়েছে: وَ مَنْ كَانَ فِيْ هٰذِه أَعْمَى فَهُوَ فِى الْآخِرَةِ أَعْمَى وَ أَضَلُّ سَبِيْلًا

আর যে ব্যক্তি এখানে অন্ধ সে আখিরাতেও অন্ধ এবং অধিকতর পথভ্রষ্ট।

এমনকি তাদের পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট বলা হয়েছে: ...لَهُمْ قُلُوْبٌ لَّا يَفْقَهُوْنَ بِهَا وَ لَهُمْ أَعْيُنٌ لَّا يُبْصِرُوْنَ بِهَا وَ لَهُمْ آذَانٌ لَّا يَسْمَعُوْنَ بِهَا أُولَائِكَ كَالْأَنْعَامِ بَلْ هُمْ أَضَلُّ أُولَائِكَ هُمُ الْغَافِلُوْنَ

তাদের হৃদয় আছে,কিন্তু তা দিয়ে তারা উপলব্ধি করে না,তাদের চোখ আছে,তা দিয়ে দেখে না এবং তাদের কান আছে,তা দিয়ে শোনে না,এরাই পশুর ন্যায়,বরং তারা তার চেয়েও নিকৃষ্ট। তারাই গাফেল।

সূরা মূলকের ১০ নং আয়াতে বলা হয়েছে: وَقَالُوا لَوْ كُنَّا نَسْمَعُ أَوْ نَعْقِلُ مَا كُنَّا فِي أَصْحَابِ السَّعِيرِ    

তারা আরও বলবে: যদি আমরা শুনতাম অথবা বুদ্ধি খাটাতাম, তবে আমরা জাহান্নামবাসীদের মধ্যে থাকতাম না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...