আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
331 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (44 points)
edited by

1. প্রাণীরাও এক প্রকারের উম্মত -  এইটা  আমি কোরআনের কোন একটা  অনুবাদে দেখেছিলাম  এটার দ্বারা আসলে কি বুঝানো হচ্ছে ?

 

2. অনেক বাচ্চাদের গলায় দেখা যায় তাবিজ ঝুলানো থাকে এটার ভিতর আল্লাহর নাম বা কোন দোয়া লেখা থাকে এগুলো কি জায়েজ ?

 

 3.দুশ্চিন্তা ডিপ্রেশন  এগুলো কি কবিরা গুনাহ  এবং এগুলোকে আল্লাহর  নিয়ামতের উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলা হয়  এবং তার দ্বারা কি কুফরি হয় ?  মানুষের এমনিতেও হঠাৎ হঠাৎ দুশ্চিন্তা হয় সে ক্ষেত্রে  সেকি কুফরি  করলো ?

 

4.সালাহউদ্দিন আইয়ুবী  তিনি কি কোন সাহাবী ছিলেন  নাকি শুধু একজন যোদ্ধা ছিলেন ?

5.  কোরআনুল-কারীম 16 নম্বর সূরার 8 নম্বর আয়াত দ্বারা আসলে কি বুঝানো হয়েছে ?

1 Answer

0 votes
by (559,380 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
সুরা আন'আমের ৩৮ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

৬:৩৮ وَ مَا مِنۡ دَآبَّۃٍ فِی الۡاَرۡضِ وَ لَا طٰٓئِرٍ یَّطِیۡرُ بِجَنَاحَیۡهِ اِلَّاۤ اُمَمٌ اَمۡثَالُکُمۡ ؕ مَا فَرَّطۡنَا فِی الۡکِتٰبِ مِنۡ شَیۡءٍ ثُمَّ اِلٰی رَبِّهِمۡ یُحۡشَرُوۡنَ ﴿۳۸﴾

আর যমীনে বিচরণকারী প্রতিটি প্রাণী এবং দু’ডানা দিয়ে উড়ে এমন প্রতিটি পাখি, তোমাদের মত এক একটি উম্মত। আমি কিতাবে কোন ত্রুটি করিনি। অতঃপর তাদেরকে তাদের রবের কাছে সমবেত করা 
,
প্রানীদেরকে উম্মত বা জাতি বলা হয়েছে,সেটার ব্যাখ্যাঃ
এদেরকেও মহান আল্লাহ ঐভাবেই সৃষ্টি করেছেন, যেভাবে তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। অনুরূপ তাদেরকেও তিনি রুযী দেন, যেরূপ তোমাদেরকে রুযী দেন এবং তোমাদের মত তারাও তাঁর শক্তি ও জ্ঞানের আওতাভুক্ত।
,
উল্লিখিত সমস্ত জাতিকেই কিয়ামতে একত্রিত করা হবে। এই দলীলের ভিত্তিতেই উলামাগণের একটি দল মনে করেন যে, যেভাবে সমস্ত মানুষকে জীবিত করে তাদের হিসাব নেওয়া হবে, অনুরূপ জীব-জন্তু এবং অন্যান্য সকল সৃষ্ট জীবকে জীবিত করে তাদেরও হিসাব নেওয়া হবে। (মহান আল্লাহ বলেছেন, যখন বন্য পশুগুলিকে একত্রিত করা হবে। সূরা তাকবীর ৫) আর এই ধরনের কথা একটি হাদীসেও নবী করীম (সাঃ) বলেছেন। ‘‘শিংবিশিষ্ট কোন ছাগল যদি শিংহীন কোন ছাগলের উপর যুলুম করে থাকে, তাহলে কিয়ামতের দিন শিংবিশিষ্ট ছাগলের কাছে থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করা হবে।’’ (মুসলিম ১৯৯৭নং) 

কোন কোন আলেম ‘হাশর’ (সমবেত) বলতে কেবল মৃত্যু মনে করেছেন। অর্থাৎ, সবাইকে মরতে হবে। আবার কোন কোন আলেম বলেছেন, এখানে ‘হাশর’ বলতে কাফেরদের হাশর এবং মধ্যে যেসব অন্যান্য কথা এসেছে তা বিচ্ছিন্ন ভিন্ন বিষয়। আর উল্লিখিত হাদীস (যাতে ছাগলের আপোসে প্রতিশোধ গ্রহণ করার কথা এসেছে) কেবল উদাহরণ পেশ করার জন্য এসেছে। এর উদ্দেশ্য কিয়ামতের হিসাব-নিকাশের গুরুত্বকে স্পষ্ট করা। অথবা জীব-জন্তুর মধ্যে কেবল অত্যাচারী ও অত্যাচারিতকে জীবিত করে অত্যাচারিতকে অত্যাচারীর নিকট থেকে বদলা নিয়ে দেওয়া হবে। অতঃপর উভয়ের অস্তিত্বই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। (ফাতহুল ক্বাদীর ইত্যাদি)
,
★আয়াতে যে বলা হয়েছে সকল প্রাণীকেই আল্লাহ ‘উম্মত’ হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। অর্থ হলোঃ
 এরাও মানুষের মতোই সৃষ্ট জীব। যাদের সবার কথা তাঁর নিকট এক কিতাবে লিপিবদ্ধ আছে। মানুষের মতো এদেরকেও আল্লাহ রিযিক দেন এবং এরা সবাই আল্লাহর আওতার মধ্যেই আছে। এবং এদের সবাইকেই (কিয়ামতের দিন) আল্লাহর সামনে সমবেত করা হবে। এখানে এই কথাটিই উদ্দেশ্য 
,
(০২)
তাবিজে কুরআনের আয়াত, আল্লাহর নাম, দুআয়ে মাসুরা বা শিরকমুক্ত অর্থবোধক থাকলে এবং তাবিজের ক্ষেত্রে মুয়াসসার বিজজাত তথা আরোগ্যের ক্ষমতা আল্লাহ তাআলাকেই মনে করা হলে। তার ব্যবহার জায়েজ আছে।

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
তবে কিছু ইসলামী স্কলার এটাকে পুরোপুরি নাজায়েজ বলেন।
সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন। 
কোনো সমস্যা নেই। 
,
(০৩)
এক্ষেত্রে সে কুফরি করলোনা।
তবে কুফরি মূলক দুশ্চিন্তা হলে সাথে সাথে ইস্তেগফার পাঠ করবে।
আল্লাহর কাছে শয়তান থেকে পানাহ চাইবে।
,
(০৪)
সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবী রহঃ 
 (১১৩৭/১১৩৮ – ৪ মার্চ ১১৯৩) ছিলেন মিশর ও সিরিয়ার প্রথম সুলতান।
,
তিন ছাহাবি নন।
তিনি ইসলামের বড় সৈনিক ছিলেন।

,
(০৫)
কুরআন কারীমের ১৬ নং সুরা সুরা আন নাহল এর ০৮ নং আয়াত্র মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

وَّ الۡخَیۡلَ وَ الۡبِغَالَ وَ الۡحَمِیۡرَ لِتَرۡکَبُوۡهَا وَ زِیۡنَۃً ؕ وَ یَخۡلُقُ مَا لَا تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۸﴾

আর (তিনি সৃষ্টি করেছেন) ঘোড়া, খচ্চর ও গাধা, তোমাদের আরোহণ ও শোভার জন্য এবং তিনি সৃষ্টি করেন এমন কিছু, যা তোমরা জান না।

অর্থাৎ, তাদের সৃষ্টির আসল উদ্দেশ্য ও উপকারিতা তাদেরকে বাহনরূপে ব্যবহার করা। তা সত্ত্বেও সেসব সৌন্দর্যের কারণও বটে। 

তাফসীরে আহসানুল বয়ানে উল্লেখ রয়েছে যে,     
ভূগর্ভে, সমুদ্রে, মরুভূমিতে এবং জঙ্গলে মহান আল্লাহ অসংখ্য উদ্ভিদ ও প্রাণী সৃষ্টি করে থাকেন, যার জ্ঞান আল্লাহ ছাড়া কারো নেই। এর সঙ্গে নব আবিষ্কৃত সকল বাহনও এসে যায়, যা আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞান ও যোগ্যতা প্রয়োগ করে তাঁরই সৃষ্ট বস্তুকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগিয়ে মানুষ তৈরী করেছে। যেমন বাস, ট্টেন, রেলগাড়ি, জলজাহাজ ও বিমান ইত্যাদি অসংখ্য যানবাহন এবং আরো অনেক কিছু, যা ভবিষ্যতে আশা করা যায়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+3 votes
1 answer 3,587 views
...