আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
41 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
আস সালামু আলাইকুম হুজুর

আমি একদিন একজনের সাথে কথা বলা ছিলাম ফনে ।অই সময় হাঠাৎ বলে উঠে কুরআন মিথ্যা [নাউজুবিল্লাহ ]।তারপর আমি তখনই জিজ্ঞেস করলাম এটা কেন বললে সে তখনআরেক কথা বলল যে সে কুরআন পড়েছে এই কথা মিথ্যা হয়ে যাবে বলতে চেয়েছে বা চেয়েছিল ও।মানে কসম হিসাবে অই কথা বলেছিল ও ।এক বিষয়ে মিথ্যা বললে ,,সে কুরআন পড়েছে এই কথা মিথ্যা হবে অই রকম বলতে চেয়েছিল ও।তও আমি বুঝতে পারলাম তখন এক কথা বলতে গিয়ে আরেক কথা বলে ফেলেছে ,,আর সে একজন মুসলিম কুরআন মিথ্যা এটা তার বিশ্বাস না কুরআন সত্য এটা তার বিশ্বাস তখন সে তওবা ইস্তেগফার করে নি ,,এখন এইভাবে বলাতে কি ঈমান ভঙ্গ হবে?আর আমি যে ভাবলাম বা বিশ্বাস করলাম যে সমস্যা নেই এক কথা বলতে গিয়ে আরেক কথা বলে ফেলেছে আমার কি গুনাহ বা ঈমান ভঙ্গ হবে।প্লিজ দয়া করে উওর দিয়ে বাধিত করবেন।

1 Answer

0 votes
by (71,340 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/3012/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

কুফরী বাক্যর অর্থ জানা নেই এবং বলার ইচ্ছে নেই তবে মুখ ফসকে কোনো কুফরী বাক্য মুখ থেকে উচ্ছারণ হয়ে গেছে, এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কাফির হবে না। যেমন হযরত আবু যর রাযি. থেকে বর্ণিত রয়েছে,

عَنْ أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ رضي الله عنه قَالَ :قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ :(إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মত থেকে ভূল ভ্রান্তি এবং নিরুপায় মূলক কাজ কে ক্ষমা করে দিয়েছেন।(সুনানু উবনি মা'জা-২০৪৩)

,

কুফরী বাক্যর অর্থ জানা রয়েছে, এবং বলার ইচ্ছাও রয়েছে, তবে কাফির হওয়ার জন্য বলেনি, বরং রং তামাশ মূলক কেউ বলল, তাহলে এমতাস্থায় সে কাফির হয়ে যাবে,

"مَنْ تَكَلَّمَ بِكَلِمَةِ الْكُفْرِ هَازِلًا أَوْ لَاعِبًا كَفَرَعِنْدَ الْكُلِّ وَلَا اعْتِبَارَ بِاعْتِقَادِه

যে ব্যক্তি কোনো কুফুরি বাক্য রং তামাশা করে বলবে, সে কাফির হয়ে যাবে। যদিও তার এ'তেকাদ বা বিশ্বাসে কুফরি না থাকুক। (বাহরুর রায়েক-৫/১৩৪, ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/২৭৫-২৭৬)

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

,

ভুলবশত মুখ ফসকে হঠাৎ উক্ত কথা বের হয়ে গেলে এতে ঈমানের কোনো সমস্যা হবে না ইনশাআল্লাহ। তবে তারপরও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া ও তওবা করা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (4 points)
জাযাকাল্লাহ খাইর জনাব ।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...