আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
59 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম। নিম্নোক্ত হাদিসটি উল্লেখ করে এক ভাই বলেছেন যে এক্ষেত্রে রাসূল সা: মহিলাটিকে কিছু বলেননি। তাই মহিলাদের পর্দা নিয়ে কিছু বলা যাবে না। এটা তার অভিভাবক এবং সে বুঝবে।
১)এখন ফিতনার আশংকা না থাকলেও কি দাওয়াত দেয়া নাজায়েজ হবে? না দেয়াই কি তাহলে উত্তম?

২) উক্ত হাদিসটি কি সহীহ?

ফাদল ইবনে আব্বাস (রা.) নামের এক সাহাবী  রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সাথে ছিলেন। এমন সময় এক প্রচণ্ড সুন্দরী নারী রাসুল (সা) এর সাথে দেখা করতে আসলেন । ফাদল ইবনে আব্বাস (রা.) এর চোখ বারবার সেই নারীর দিকে চলে যাচ্ছিল। রাসুল (সা) এর এটা লক্ষ্য করলেন এবং বারবার ফাদল (রা) এর চেহারা তাঁর হাত দিয়ে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিচ্ছিলেন । ফাদল (রা) যতবার সেই নারীর দিকে তাকাচ্ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা) ততবার তাঁর হাত দিয়ে ফাদল (রা) এর চেহারা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিচ্ছিলেন।

1 Answer

0 votes
by (625,830 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মহিলাদের জন্য অন্য সময় গায়রে মাহরামের সামনে পূর্ণ শরীরই সতর। তবে অতীব প্রয়োজনে চেহারা, পা, হাত খোলা জায়েজ আছে। যেমন রাস্তায় প্রচন্ড ভীর হলে, আদালতে সাক্ষ্য দেয়া ইত্যাদি।
ﻋَﻦْ ﺃُﻡِّ ﺳَﻠَﻤَﺔَ، ﻗَﺎﻟَﺖْ : ” ﻟَﻤَّﺎ ﻧَﺰَﻟَﺖْ : } ﻳُﺪْﻧِﻴﻦَ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻦَّ ﻣِﻦْ ﺟَﻠَﺎﺑِﻴﺒِﻬِﻦَّ { [ ﺍﻷﺣﺰﺍﺏ : 59 ] ، ﺧَﺮَﺝَ ﻧِﺴَﺎﺀُ ﺍﻟْﺄَﻧْﺼَﺎﺭِ ﻛَﺄَﻥَّ ﻋَﻠَﻰ ﺭُﺀُﻭﺳِﻬِﻦَّ ﺍﻟْﻐِﺮْﺑَﺎﻥَ ﻣِﻦَ ﺍﻷَﻛْﺴِﻴَﺔِ “
ﺇﺳﻨﺎﺩﻩ ﻗﻮﻱ . ﺍﺑﻦ ﺧﺜﻴﻢ - ﻭﻫﻮ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﺜﻤﺎﻥ - ﻻ ﺑﺄﺱ ﺑﻪ . ﺍﺑﻦ ﺛﻮﺭ : ﻫﻮ ﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﺛﻮﺭ ﺍﻟﺼﻨﻌﺎﻧﻲ، ﻭﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﻋُﺒﻴﺪ : ﻫﻮ ﺍﺑﻦ ﺣِﺴﺎﺏ ﺍﻟﻐُﺒَﺮﻱ .
ﻭﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺣﺎﺗﻢ ﻓﻲ “ ﺗﻔﺴﻴﺮﻩ ” ﻛﻤﺎ ﻓﻲ “ ﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﺑﻦ ﻛﺜﻴﺮ ” /6 48 – 49 ﻣﻦ ﻃﺮﻳﻖ ﺍﻟﺰﻧﺠﻲ ﻣﺴﻠﻢ ﺑﻦ ﺧﺎﻟﺪ، ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﺜﻤﺎﻥ ﺑﻦ ﺧﺜﻴﻢ، ﺑﻪ ﻣﻄﻮﻻً .
হযরত উম্মে সালামা রাঃ বলেন, যখন কুরআনে কারীমের এ আয়াত
 ﻳُﺪْﻧِﻴﻦَ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻦَّ ﻣِﻦْ ﺟَﻠَﺎﺑِﻴﺒِﻬِﻦَّ
তথা “তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। [মাথার দিক থেকে]” -সূরা আহযাব-৫৯} নাজিল হয়, তখন আনসারী মহিলারা স্বীয় ঘর থেকে এমনভাবে বের হতো যেন তাদের মাথায় কাক বসে আছে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪১০১}
হযরত মুফতী শফী রহঃ “আহকামুল কুরআন” গ্রন্থে লিখেন যে,
ﻓﻰ ﻫﺬﻩ ﺍﻵﻳﺔ ﺩﻻﻟﺔ ﻋﻠﻰ ﺃﻥ ﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﺍﻟﺸﺎﺑﺔ ﻣﺄﻣﻮﺭﺓ ﺑﺴﺘﺮ ﻭﺟﻬﻬﺎ ﻣﻦ ﺍﻷﺟﻨﺒﻴﻴﻦ
এ আয়াত একথা বুঝাচ্ছে যে, যুবতী মেয়েরা ঘর থেকে বের হওয়ার সময় এমনভাবে বের হবে যেন তাদের চেহারা পরপুরুষের সামনে প্রকাশিত না হয়। {আহকামুল কুরআন-৩/১৪৫৮}
ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠﻪِ، ﻋَﻦِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻗَﺎﻝَ :
ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓُ ﻋَﻮْﺭَﺓ،ٌ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺧَﺮَﺟَﺖْ ﺍﺳْﺘَﺸْﺮَﻓَﻬَﺎ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ .
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, নারী জাতি হল আপাদমস্তক সতর। যখনি সে বের হয়, তখনি শয়তান তাকে চমৎকৃত করে তোলে। {সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১১৭৩, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-২০৬৫, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-১৬৮৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৫৯৮} এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/572

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ফিতনার আশংকা না থাকলে গায়রে মারাম মহিলাকে দাওয়াত না দেয়াই উচিত ও উত্তম। 

(২) হাদিসটি বিশুদ্ধ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...