জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(১.২.৩)
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে বিনম্র হয়ে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে পৌরষত্ব আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে। {সূরা আহযাব-৩২}
★পরপুরুষের (গায়রে মাহরামের) সঙ্গে পর্দার আড়াল থেকে কথা বলার সময় কণ্ঠস্বর কঠোর রাখবে, সুমিষ্ট মোলায়েম স্বরে নয়l হযরত আয়েশা (রা) এর নিকট মাসয়ালা বা হাদিসের প্রয়োজনে অন্যান্য সাহাবীগণ আসলে, তিনি মুখের ওপর হাত রেখে কণ্ঠ বিকৃত করে পর্দার আড়ালে থেকে কথা বলতেন যেন কারো অন্তর ব্যাধিগ্রস্থ না হয় l -তাফসীরে কুরতুবী ১৪/১৪৬
আরো জানুনঃ
তিরমিজি শরীফের ২৭৮০ নং হাদীসে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الصَّنْعَانِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، وَسَعِيدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَا تَرَكْتُ بَعْدِي فِي النَّاسِ فِتْنَةً أَضَرَّ عَلَى الرِّجَالِ مِنَ النِّسَاءِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
উসামাহ্ ইবনু যাইদ ও সাঈদ ইবনু যাইদ ইবনু আমর ইবনু নুফাইল (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার পরে (মানুষের মাঝে) পুরুষের জন্য স্ত্রীলোকের ফিতনার চাইতে মারাত্মক ক্ষতিকর ফিতনা আর রেখে যাচ্ছি না।
সহীহঃ সহীহাহ (২৭০১), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মেয়েদের জন্য কল সেন্টার এ কাজ করা কখনো জায়েয হবে না।
আরো জানুনঃ
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এখানে যেহেতু মহিলা গ্রাহকও আছে,আর তাদের সাথেও আপনার কথা বলতে হয়,আর কণ্ঠ নরম না করে কথা বললে এবং ফিতনার আশংকা না থাকলে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে যেহেতু এটি জায়েজ,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ইনকামের টাকাকে পুরোপুরি হারাম বলা যায়না।
,
এটি আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
,
তবে খুব দ্রুত এ চাকরি ছেড়ে দিন।
,
(০৪)
না, হারাম হবেনা।
,
(০৫)
পরিপূর্ণ পর্দা করে, এবং নরম ভাষা ব্যবহার না করে বরং কর্কষ এর মতো আওয়াজ করে কথা বলে ফিতনার আশংকা না থাকলে কিছু ইসলামী স্কলারগন সেই চাকরিকে জায়েজ বলেন।
,
তবে মেয়েদের কন্ঠ যেহেতু ছতর,তাই অধিকাংশ উলামায়ে কেরামগন এ ধরনের যেকোনো চাকরিকে নাজায়েজ বলেন।
,
সুতরাং এ ধরনের সকল চাকুরী না করাই সতর্কতা।