ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনি বালিগ হওয়ার বৎসর বয়স থেকে যতটা রমজান আপনার সামন দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে।এর মধ্যে যতটা রোযা আপনি রাখেননি।বা নিয়তই করেননি।সেগুলোকে হিসেব করে শুধুমাত্র কাযা করে নিবেন।কাফফারার কোনো প্রয়োজন এক্ষেত্রে নেই। আর যে সমস্ত রোযা আপনি রেখে তারপর ভেঙ্গে দিয়েছেন।যেমন আপনি সহবাসের মাধ্যমে একটি ভেঙ্গেছেন।এ রোযার কাফফারা আপনাকে আদায় করতে হবে।
কা'যা রোযা সমূহের কয়টি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে? ছুটে যাওয়া প্রত্যেকটি রোযার জন্য কি পৃথক পৃথক কাফ্ফারা আদায় করতে হবে?নাকি সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারাই যথেষ্ট হবে?
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আপনার শারীরিক কোনো সমস্যা নেই, তাই আপনাকে ৬০ টি রোযার মাধ্যমেই কাফফারা আদায় করতে হবে। রোযার সামর্থ্য থাকাবস্থায় ৬০ জন মিসকিনকে ফিতরা সমপরিমাণ টাকা দিলে রোযার কাফফারা আদায় হবে না। রোযার কাফফারা হিসেবে ধারাবাহিক ৬০ টি রোযা আদায়ের ক্ষেত্রে মধ্যখানে হায়েয চলে আসলে কোনো সমস্যা হবে না বরং রোযার কাফফারা আদায় হবে।
(এক) রোজা ফাসিদ হওয়া মানে নষ্ট হওয়া। কাজা রোজার কাফফারা (একটানা ষাট রোজা) রাখার সময় কোনো রোজা ফাসিদ হলে, আবার নতুন করে ৬০ টি রোযা রাখতে হবে।
(দুই)আমি ঈদের পর একটা রাখরে কাফফারা আদায় হবে।
(তিন) কদরের রাত নিয়তে শেষ ১০ দিনের বিজোড় রাতে একবার করে প্রতি ওয়াক্তের নামাজ আদায় করার দ্বারা বিগত জীবনের সকল কাজা নামাজ আদায় হবে না।
(চার) যথাসম্ভব রোযা রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।মিস দেওয়া যাবে না।