আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
77 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম হুজুর, আমার প্রশ্ন হচ্ছে টাকা নিয়ে।

তা হচ্ছে হুজুর আমি ফোন কিনবো তো বাসায় নগদ তেমন টাকা নেই যে আমাকে দিবে মানে আমার অভিভাবক এর কাছে তাই আমার দুলাভাই এর বোন এর flat এর ভাড়ার টাকা যেইটা advance টাকা ভাড়াটিয়া দিছে ওইটা আমাদের কাছে জমা আছে তাই advance এর ওইটাকা আমার মা আমাকে দিবে ফোন কিনবো তার জন্য ওদের এমনে প্রতি মাস এর ভাড়ার টাকা ওদের দিয়ে দেই কিন্ত এখন হয়ত নতুন ভাড়াটিয়া উঠছে তাই advance এর টাকা জমা আছে আমাদের কাছে এইটা এখন এবং ভাড়া বাসায় advance এর টাকা যখন ভাড়াটিয়া বাসা ভাড়া নেই তখনি দেই অনেক বাসায় এই নিয়ম তা জানেনি আপ্নারা তো আমাকে বাসা থেকে এই টাকা টা আজকে দিবে আমার ফোন কিনবো অইখানে খরচ করতে এবং আমি আস্তে আস্তে এই টাকা টা বাসায় আমার বেতন যখন পাবো অইখান থেকে আস্তে আস্তে দিয়ে দিবো পুরা টাকা টা তো এইভাবে আমার দুলাভাই এর বোন এর flat এর ভাড়ার advance টাকা টা ওদের কে কিছু না বলে ওদের থেকে অনুমতি না নিয়ে আমাকে যে বাসা থেকে দিবে ফোন কিনতে আমি কি এই টাকা ব্যবহার করতে পারবো যেহেতু আমি বাসায় বলছি আমার মা কে যে আমি বেতন থেকে আস্তে আস্তে টাকা টা দিয়ে দিবো। এখন আমি কিছুটা confuse এই টাকা নিতে পারবো কিনা যেহেতু বাসা থেকে দিবে ঠিকি কিন্তু যার flat এর ভাড়াটিয়ার advance টাকা তাকে না বলে এবং আমি ও যেহেতু আস্তে আস্তে টাকা টা দিয়ে দিবো এবং ভাড়াটিয়া advance এর ২৩ হাজার টাকা দিয়েছে তার মধ্যে এখন আছে ১৬০০০ টাকা এইটা আমাকে দিবে সাথে আমার বাসা থেকে ও কিছুটাকা দিবে ওইটা তো ব্যবহার করা বা নেওয়ায় সমস্যা নেই জানি এবং আমি ও কিছু টাকা দিবো আমার বেতন এর টাকার থেকে যেহেতু ওইটা আমার বাসার টাকা এবং আমার ও কিছু নিজের বেতন এর টাকা আছে কিন্ত আমাকে যেহেতু আরেকজন এর ভাড়াটিয়ার advance এর এত টাকা দিবে এইটা কি আমার জন্য নেওয়া ঠিক হবে উপরে তো বিস্তারিত ও বলা আছে তো আমাকে পরামর্শটা দিলে এই নিয়ে অনেক ভালো হয় উস্তাদ।

আরো বলি নি আমার দুলাভাই এর বোন এর নিজের কিনা flat ওরা গ্রামে থাকে আমরা ঢাকাই থাকি তাই ওদের এইগুলা বলতে পারেন আমরা দেখভাল করি তো যাইহোক আমাকে সমাধান দিবেন আশা করি।

1 Answer

0 votes
by (70,170 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

জবাব,

https://ifatwa.info/64796/   নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইসলামী শরীয়াহ মতে, লেনদেনের ক্ষেত্রে চুক্তির শর্তানুযায়ী শরীয়াহ সম্মত কোনোরুপ বিনিময় ব্যতীত মূলধনের উপর অতিরিক্ত যা কিছু গ্রহণ করা হয় তাকে সুদ বলে।

ঋণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ২ টি বিষয় হলোঃ 

*ঋণ দানের শর্ত হিসেবে মূলধনের অতিরিক্ত কোনো কিছু আদায় করা।

*অতিরিক্ত যা কিছু আদায় করা হয় তার শরীয়াহ সম্মত কোনো বিনিময় না থাকা।

আল্লাহ তায়ালা বলেন

يا ايها الذين امنوا لا تاكلوا الربا اضعافا مضاعفه واتقوا الله لعلكم تفلحون

 ‘হে মুমিনগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেও না। আল্লাহকে ভয় করো। তাহলে তোমরা সফল হতে পারবে। ’ -সূরা আল ইমরান: ১৩০

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)

আরো জানুনঃ- https://ifatwa.info/14252/

ভাড়াদাতা ভাড়াগ্রহিতা থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার দুটি পদ্ধতি রয়েছে- ১. ভাড়াদাতা জামানত হিসেবে ভাড়াগ্রহিতা থেকে যে টাকাটা গ্রহণ করে থাকে, ভাড়ার চুক্তি শেষে তা আবার ভাড়াগ্রহিতাকে ফেরত দিয়ে দিতে হয়, যাকে সিকিউরিটি মানি বলে। ২. এককালীন গ্রহণ করা টাকা প্রতি মাসেই কিছু কিছু করে ভাড়া হিসাবে কাটা হয়, যাকে অ্যাডভান্স বলে।

সিকিউরিটি মানির কারণে ভাড়া কম রাখা জায়েজ নয়। অর্থাৎ সিকিউরিটি মানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে ভাড়া কমে যাওয়ার যে প্রচলন আমাদের সমাজে রয়েছে, তা জায়েজ নয়। কেননা সিকিউরিটি মানি ভাড়াদাতার কাছে ঋণ হিসেবে থাকে। তাই এ টাকার কারণে ভাড়ার পরিমাণ কমিয়ে দিলে তা ঋণ দিয়ে ঋণগ্রহিতা থেকে অতিরিক্ত সুবিধা গ্রহণের অন্তর্ভুক্ত, যা সুদ ও হারাম।

তবে সিকিউরিটি মানি না হয়ে যদি অ্যাডভান্স তথা অগ্রীম ভাড়া প্রদান করার কারণে ভাড়া কিছুটা কমানো হয়, তবে তাতে সমস্যা নেই। কেননা অ্যাডভান্সের টাকাটা ভাড়াদাতার কাছে ঋণ হিসেবে থাকে না।

বরং অগ্রিম প্রদেয় ভাড়া। মোটকথা, সিকিউরিটি মানি বৃদ্ধির কারণে ভাড়ার স্বাভাবিক হার তথা উজরতে মিছিল থেকে কমানো জায়েজ নয়। কিন্তু অ্যাডভান্সে জায়েজ আছে। ভাড়াদাতা ভাড়াগ্রহীতা থেকে এককালীন যে টাকাটা নেবে, তা অ্যাডভান্স তথা অগ্রিম ভাড়া হিসেবে নেবে, যা চুক্তি অনুযায়ী ভাড়া হিসেবে কর্তিত হবে।

আরো জানুনঃ-

https://ifatwa.info/63932/

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

প্রশ্নে উল্লিখিত ছুরতে উপরে উল্লেখিত জায়েয পদ্ধতিতে যদি ভাড়াটিয়া অগ্রীম টাকা প্রদাণ করে তাহলে ফ্লাটের মালিক (আপনার দুলা ভাইয়ের বোন) এর অনুমতি নিয়ে উক্ত টাকা দিয়ে ফোন ক্রয় করা জায়েয আছে। তবে মনে রাখতে হবে উক্ত টাকা আপনাদের নিকট আমানত। মালিকের অনুমতি ছাড়া সেই টাকা দিয়ে ফোন ক্রয় করা বা অন্য কাজে ব্যবহার করা জায়েয নেই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...