হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وقال رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم: من صلی علي عند قبري سمعتہ ومن صلی علي نائیا بلغتہ (الترغیب)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, কেউ আমার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে সালাম দিলে আমি তা শুনতে পাই। আর দূর থেকে সালাম দিলে আমাকে তা পৌঁছানো হয়। (তারগিব,বায়হাকি)।
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللهِ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيِّ، عَنْ أَوْسِ بْنِ أَوْسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ مِنْ أَفْضَلِ أَيَّامِكُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فِيهِ خُلِقَ آدَمُ وَفِيهِ قُبِضَ وَفِيهِ النَّفْخَةُ وَفِيهِ الصَّعْقَةُ فَأَكْثِرُوا عَلَىَّ مِنَ الصَّلَاةِ فِيهِ فَإِنَّ صَلَاتَكُمْ مَعْرُوضَةٌ عَلَىَّ " . قَالَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ وَكَيْفَ تُعْرَضُ صَلَاتُنَا عَلَيْكَ وَقَدْ أَرِمْتَ يَقُولُونَ بَلِيتَ . فَقَالَ " إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ حَرَّمَ عَلَى الأَرْضِ أَجْسَادَ الأَنْبِيَاءِ "
আওস ইবনু আওস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের দিনসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম হলো জুমু‘আহর দিন। এদিন আদম (আ)-কে সৃষ্টি করা হয়েছিলো, এদিনই তাঁর রূহ কবজ করা হয়েছিলো, এদিন শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে এবং এদিনই বিকট শব্দ করা হবে। কাজেই এদিন তোমরা আমার উপর বেশি বেশি দরূদ পাঠ করো। কারণ তোমাদের দরূদ আমার কাছে পেশ করা হয়। আওস ইবনু আওস (রাঃ) বলেন, লোকজন প্রশ্ন করলো, হে আল্লাহর রসূল! কি করে আমাদের দরূদ আপনার নিকট পেশ করা হবে? আপনি তো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবেন। বর্ণনাকারী আওস ইবনু আওস (রাঃ) বলেন, লোকেরা বুঝাতে চাচ্ছিল আপনার শরীর তো জরাজীর্ণ হয়ে মিশে যাবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ মহান সর্বশক্তিমান আল্লাহ মাটির জন্য নাবী-রসূলগণের দেহকে হারাম করে দিয়েছেন।
নাসায়ী (অধ্যায় : সাহু, অনুঃ জুমু‘আহর দিনে নাবী সাঃ-এর উপর বেশি বেশি দরূদ পাঠ করা, হাঃ ১৩৭৩), ইবনু মাজাহ (অধ্যায় : সলাত ক্বায়িম, অনুঃ জুমু‘আহর দিনের ফাযীলাত, হাঃ ১০৮৫), হাকিম (১/২৭৮) আবূ দাউদের সূত্রে। ইমাম হাকিম বলেন : বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ। ইমাম যাহাবী তার সাথে একমত পোষণ করেছেন। ইবনু খুযাইমাহ (হাঃ১৭৩৩) আবূ কুরাইব হতে হুসাইন ইবনু ‘আলী আল-জু‘ফী থেকে।
.
দারুল উলুম দেওবন্দ এর 2322 নং ফতোয়াতে এমনটিই উল্লেখ রয়েছে।
,
★সুতরাং রাসুল সাঃ এর রওজাপাকের সামনে গিয়ে দরুদ সালাম পেশ করলে তা তিনি সরাসরি শুনতে পান।
মহিলারা এক্ষেত্রে ঠোঁট নেড়ে ফিসফিসিয়ে বললেও রাসুল সাঃ শুনবেন,ইনশাআল্লাহ।
,
(০২)
এ মর্মে কোনো হাদীস নেই।
,
(০৩)
হাদীস শরীফে শুধু "কবরের পাশে" উল্লেখ রয়েছে।
,
(০৪)
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
واحل لكما ما وراء ذلكم ان تبتغوا باموالكم محصنين غير مسافحين فما استمتعتم به منهن فاتوهن اجورهن فريضة ولا جناح عليكم فيما تراضيتم به من بعد الفريضة ان الله كان عليما حكيما
উল্লিখিত নারীরা ছাড়া অন্যদেরকে তোমাদের জন্য বৈধ করা হয়েছে, যে স্বীয় সম্পদ দ্বারা প্রয়াসী হবে তাদের সাথে বিবাহবন্ধনে, ব্যভিচারে নয়। অতএব তাদের নিকট থেকে তোমরা যে আনন্দ উপভোগ করেছ (সে কারণে) তাদের ধার্যকৃত মোহর তাদেরকে প্রদান করবে। আর মোহর নির্ধারিত থাকার পরও কোনো বিষয়ে পরস্পর সম্মত হলে তাতে তোমাদের কোনো অপরাধ হবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।-সূরা নিসা : ২৪
وفی الھندیۃ (302/1):
الباب السابع فی المھر: المھر انما یصح بکل ماھو مال متقوم۔
যেই জিনিসের মুল্য নির্ধারন করা যায়,সেটাই মোহর হতে পারে।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
যেই বস্তুর দাম ধরা যায়,যার মূল্য নির্ধারন করা যায়
যেটা সম্পদ হিসেবে ধরা হয়,সেটাই মোহর হতে পারে।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মোহরানা হিসেবে পরিমিত সম্পদের সাথে একটি সূরা মুখস্থ হিসেবে মোহরানা চাইতে পারবে।
তবে "একটি সূরা মুখস্থ" এটি মোহরানার অন্তর্ভুক্ত হবেনা।
আরো জানুনঃ
,
★তবে ইমাম শাফেয়ী রহঃ সহ আরো কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে সুরা মোহরানা হতে পারে।
সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।
,
(০৬)
এটি দাবি করতেই পারে।
তবে সেটি মোহরানা হবেনা।