আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in সাওম (Fasting) by (45 points)

রোজা অবস্থায় বউয়ের শরীরে ইচ্ছাকৃত স্পর্শের কারণে কামরস নির্গত হলে রোজা ভেঙে যাবে?

 

রোজা অবস্থায় বউয়ের শরীরে ইচ্ছাকৃত স্পর্শের কারণে কামরস নির্গত হলে রোজা ভেঙে যাবে?

রোজা অবস্থায় বউয়ের শরীরে ইচ্ছাকৃত স্পর্শের কারণে কামরস নির্গত হলে রোজা ভেঙে যাবে?

রোজা অবস্থায় বউয়ের শরীরে ইচ্ছাকৃত স্পর্শের কারণে কামরস নির্গত হলে রোজা ভেঙে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (67,530 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

জবাব,

হজরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.) রোজা অবস্থায় স্ত্রীকে চুমু দিতেন এবং আলিঙ্গন করতেন। কিন্তু আপন (জৈবিক) চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার অধিকারী (বুখারী ১৮৪১ মুসলিম ১১২১)।’

তবে, গোসল ফরজ হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা থাকলে এমনটি করা মাকরুহ। বিশেষ করে যুবকদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) বলেন, ‘আমরা নবী (সা.)-এর কাছে বসা ছিলাম। তখন এক যুবক এলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমি কি রোজা রেখে চুমু খেতে পারি?’ নবী (সা.) বললেন, ‘না।’ এরপর এক বৃদ্ধ এলেন এবং একই প্রশ্ন করলেন। নবী (সা.) বললেন, ‘হ্যাঁ।’

আমরা তখন অবাক হয়ে একে অপরের দিকে তাকাচ্ছিলাম। নবী (সা.) বললেন, ‘আমি জানি, তোমরা কেন একে অপরের দিকে তাকাচ্ছ। শোনো, বৃদ্ধ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন (মুসনাদে আহমদ: ২ / ১৮০ ও ২৫০)।’

তবে রোজা রেখে চুম্বন বা আলিঙ্গনের কারণে যদি বীর্যপাত হয়ে যায় তাহলে দিনের বাকি অংশ রোজা অবস্থায় থেকে পরে রোজার কাজা আদায় করতে হবে। কাফ্ফারা আদায় করতে হবে না। এটা অধিকাংশ আলেমদের মত। চুমু বা আলিঙ্গনের কারণে যদি মজি বের হয় তবে, এতে রোজার কোনো ক্ষতি করে না। এটা অধিকতর বিশুদ্ধ মত।

রোজাদারের জন্য সে যুবক হোক বা বৃদ্ধ, স্ত্রীকে চুমু দেয়া এবং আলিঙ্গন করা জায়েজ, যদি যৌন তাড়নার বশবর্তী হয়ে সহবাসে লিপ্ত বা বীর্যপাত হবে না বলে নিজের ওপর দৃঢ় অবস্থা থাকে। তাই তার রোজা নফল হোক বা ফরজ, রমজানে হোক বা অন্য কোনো মাসে। আলিঙ্গন দ্বারা উদ্দেশ্য গায়ে গা মিলানো। যেমন- স্পর্শ করা বা জড়িয়ে ধরা। আলিঙ্গন এখানে স্ত্রী সহবাসের উদ্দেশ্য নয়, কারণ স্ত্রী সহবাস করলে অবশ্যই রোজা ভেঙে যাবে।

রমজান মাসে রাত্রে সেহেরি খাওয়ার আগে স্বামী ও স্ত্রী মিলন করা যাবে। রোজা অবস্থায় সহবাস করা যাবে না। কিন্তু রোজা অবস্থায় চুম্বন করা যাবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আমি তোমাদের জন্য ধর্মকে সহজ করতে চাই। তাই তোমরা রমজান মাসে রাত্রে স্ত্রী গমন করলে তোমাদের কোনো পাপ নেই।’

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

রোজা রেখে স্ত্রীর পাশে ঘুমানো, স্পর্শ, চুম্বন, জড়িয়ে ধরা ইত্যাদি কাজ সাধারণত নিষেধ নয়। তবে, বীর্যপাতের আশংকা থাকলে এসব কাজ থেকে দূরে থাকা কর্তব্য। চুম্বন বা আলিঙ্গনের ফলে যদি বীর্যপাত হয়, তাহলে সেই রোজার কাজা আদায় করতে হবে, তবে কাফফারা লাগবে না। তাই রোজার পবিত্রতা রক্ষা করে আত্মসংযম পালন করাই উত্তম।

রোজা হলো তাকওয়া বা আল্লাহভীতি অর্জনের মাধ্যম। তাকওয়ার পথে অন্তরায় তৈরি করে; রোজা রেখে এমন কোনো কাজ করা যাবে না। রোজা অবস্থায় সব ধরনের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। স্ত্রীর সঙ্গে মেলামেশার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে। রোজা রেখে স্ত্রীকে চুমু খাওয়া বা জড়িয়ে ধরা যাবে। তবে গোসল ফরজ হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে রোজা ভেঙে যাবে।  স্ত্রীকে চুমু খেলে কারও যদি গোসল ফরজ হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা হয়, তাহলে স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরা বা চুমু খাওয়া মাকরুহ। বিশেষ করে যুবকদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...