আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম আমার প্রশ্নটা একটু বড় হইতে পারে প্লিজ একটু বুঝে উত্তর দিবেন। আমার শ্বশুরের দুটি ছেলে একটা আমার হাজবেন্ড আরেকটি ছেলেকে ছোটকালেই আমার চাচা শশুরকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার চাচা শ্বশুর এর কোন সন্তান না থাকাই জন্ম হওয়ার পর পরই তাকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং সেই ছেলে ছোটকাল থেকেই জানে যে আমার শ্বশুর শাশুড়ি তার মা বাবা আর তার বাবা মা যে সে চাচা চাচি কিন্তু সে ছেলের মতই বড় করেছে। এখন বড় হওয়ার পর আমার চাচা শ্বশুর যখন মারা যায় ,তার নামে যে সম্পত্তি থাকে তা অন্য কোন আপন সন্তান না থাকায় তা ওয়ারিশ সূত্রে আমার হাজব্যান্ড এবং সেই ছেলেটি পাওনা হয় কিন্তু আমার হাজব্যান্ড তার ভাগের সব টাকা । সম্পত্তি যেগুলা পাওনা হয় ,তা ওই ভাইকে দিয়ে দেয়। এই শর্তে দিয়ে দে যেন ভবিষ্যতে আর কোন দাবি দেওয়া না থাকেও । শ্বশুরের সম্পত্তি থেকেও যেন সে আর কোন কিছু দাবি না করে।  যদিও শ্বশুর ও তার সম্পত্তি থেকে কিছু সম্পত্তি তাকে ২০ বছর আগে দিয়েছে।এবং আমার হাসবেন্ড ও যেন তার ওই চাচা সম্পত্তি থেকে কোন কিছু দাবি না করে এই শর্তে দুজনের রাজি হয়। এখন ২০ বছর পরে আমার শ্বশুর এখনো বেঁচে আছে ওই ছেলে এখন বলছে যে আমার শশুর কাছ থেকে সে হক পাওনা। তাকে সম্পত্তি দিতে হবে। এখন যে টাকা এবং সম্পত্তি আমার চাচা শ্বশুর থেকে আমার হাসবেন্ড পেয়েছিল তা আমার হাজব্যান্ড ভোগও করে নাই সম্পূর্ণ তাকে দিয়ে দিয়েছে এখন তাকে বলাতে সে বলতেছে কি যে ঠিক আছে আপনি আমার সম্পত্তি নিয়ে নেন এখন আপনাদের থেকে আমাকে দিয়ে দেন। কিন্তু এই সম্পত্তি আরো ২০ বছর আগে দিল আমার হাসবেন্ড কিছু করতে পারত এখন তো এই টাকার মান অনেক কমে গেছে এখন ইসলামের দৃষ্টিতে এটা সমাধান কি। আমার শশুর বলছে যে শর্তে তোমার ২০ বছর আগে রাজি হয়েছিল এই শর্ত ভাঙ্গা যাবে না। কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে কি এটা ঠিক আছে।

1 Answer

0 votes
by (598,170 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم

আল্লাহ তা’আলা বলেন, 

يُوصِيكُمُ اللَّهُ فِي أَوْلَادِكُمْ ۖ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنثَيَيْنِ ۚ فَإِن كُنَّ نِسَاءً فَوْقَ اثْنَتَيْنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَ ۖ وَإِن كَانَتْ وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصْفُ ۚ وَلِأَبَوَيْهِ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَكَ إِن كَانَ لَهُ وَلَدٌ ۚ فَإِن لَّمْ يَكُن لَّهُ وَلَدٌ وَوَرِثَهُ أَبَوَاهُ فَلِأُمِّهِ الثُّلُثُ ۚ فَإِن كَانَ لَهُ إِخْوَةٌ فَلِأُمِّهِ السُّدُسُ ۚ مِن بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِي بِهَا أَوْ دَيْنٍ ۗ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَاؤُكُمْ لَا تَدْرُونَ أَيُّهُمْ أَقْرَبُ لَكُمْ نَفْعًا ۚ فَرِيضَةً مِّنَ اللَّهِ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا

আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেনঃ একজন পুরুষের অংশ দু?জন নারীর অংশের সমান। অতঃপর যদি শুধু নারীই হয় দু' এর অধিক, তবে তাদের জন্যে ঐ মালের তিন ভাগের দুই ভাগ যা ত্যাগ করে মরে এবং যদি একজনই হয়, তবে তার জন্যে অর্ধেক। মৃতের পিতা-মাতার মধ্য থেকে প্রত্যেকের জন্যে ত্যাজ্য সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ, যদি মৃতের পুত্র থাকে। যদি পুত্র না থাকে এবং পিতা-মাতাই ওয়ারিস হয়, তবে মাতা পাবে তিন ভাগের এক ভাগ। অতঃপর যদি মৃতের কয়েকজন ভাই থাকে, তবে তার মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ ওছিয়্যতের পর, যা করে মরেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও পুত্রের মধ্যে কে তোমাদের জন্যে অধিক উপকারী তোমরা জান না। এটা আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত অংশ নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, রহস্যবিদ।

وَلَكُمْ نِصْفُ مَا تَرَكَ أَزْوَاجُكُمْ إِن لَّمْ يَكُن لَّهُنَّ وَلَدٌ ۚ فَإِن كَانَ لَهُنَّ وَلَدٌ فَلَكُمُ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَكْنَ ۚ مِن بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِينَ بِهَا أَوْ دَيْنٍ ۚ وَلَهُنَّ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَكْتُمْ إِن لَّمْ يَكُن لَّكُمْ وَلَدٌ ۚ فَإِن كَانَ لَكُمْ وَلَدٌ فَلَهُنَّ الثُّمُنُ مِمَّا تَرَكْتُم ۚ مِّن بَعْدِ وَصِيَّةٍ تُوصُونَ بِهَا أَوْ دَيْنٍ ۗ وَإِن كَانَ رَجُلٌ يُورَثُ كَلَالَةً أَوِ امْرَأَةٌ وَلَهُ أَخٌ أَوْ أُخْتٌ فَلِكُلِّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا السُّدُسُ ۚ فَإِن كَانُوا أَكْثَرَ مِن ذَٰلِكَ فَهُمْ شُرَكَاءُ فِي الثُّلُثِ ۚ مِن بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصَىٰ بِهَا أَوْ دَيْنٍ غَيْرَ مُضَارٍّ ۚ وَصِيَّةً مِّنَ اللَّهِ ۗ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَلِيمٌ

আর, তোমাদের হবে অর্ধেক সম্পত্তি, যা ছেড়ে যায় তোমাদের স্ত্রীরা যদি তাদের কোন সন্তান না থাকে। যদি তাদের সন্তান থাকে, তবে তোমাদের হবে এক-চতুর্থাংশ ঐ সম্পত্তির, যা তারা ছেড়ে যায়; ওছিয়্যতের পর, যা তারা করে এবং ঋণ পরিশোধের পর। স্ত্রীদের জন্যে এক-চতুর্থাংশ হবে ঐ সম্পত্তির, যা তোমরা ছেড়ে যাও যদি তোমাদের কোন সন্তান না থাকে। আর যদি তোমাদের সন্তান থাকে, তবে তাদের জন্যে হবে ঐ সম্পত্তির আট ভাগের এক ভাগ, যা তোমরা ছেড়ে যাও ওছিয়্যতের পর, যা তোমরা কর এবং ঋণ পরিশোধের পর। যে পুরুষের, ত্যাজ্য সম্পত্তি, তার যদি পিতা-পুত্র কিংবা স্ত্রী না থাকে এবং এই মৃতের এক ভাই কিংবা এক বোন থাকে, তবে উভয়ের প্রত্যেকে ছয়-ভাগের এক পাবে। আর যদি ততোধিক থাকে, তবে তারা এক তৃতীয়াংশ অংশীদার হবে ওছিয়্যতের পর, যা করা হয় অথবা ঋণের পর এমতাবস্থায় যে, অপরের ক্ষতি না করে। এ বিধান আল্লাহর। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল। ( সূরা নিসা-১১-১২)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
শরীয়তের বিধান অনুসারে আপনার চাচা শ্বশুরের সম্পদ বন্টন করার নিয়মটি সহিহ হয়নি।

কেননা শরীয়তের বিধান মতে আপনার চাচা শ্বশুর মারা যাওয়ার পর যেহেতু তার স্ত্রী জীবিত ছিল,তার ভাই জীবিত ছিল,এমতাবস্থায় আপনার চাচা শ্বশুরের কোন সম্পত্তি আপনার শ্বশুরের ছেলে মেয়েরা কেহই পাবে না।

আপনার চাচা শ্বশুরের যত সম্পত্তি আছে, তার চারভাগের একভাগ আপনার চাচী শশুর পাবে।

আর বাকি যে তিন ভাগ থাকবে এটা আপনার শ্বশুর পাবে।

কোন ভাবেই আপনার হাসবেন্ড এবং আপনার হাসবেন্ডের ভাই সম্পদ পাওয়ার হকদার হবেনা।

তাই পূর্বে শরীয়তের নিয়মের বাহিরে যে বন্টন করা হয়েছে, এটি এখন ২০ বছর পরে হলেও সমাধান করা উচিত।

এরপর আপনার আপনার স্বামীর ভাই আপনার শশুরের সম্পত্তি হতে শরীয়তের নিয়ম অনুসারে যে পরিমাণ সম্পদ পাওয়ার হকদার সেই পরিমাণ সম্পদ সে পাবে।

এক্ষেত্রে ২০ বছর আগের যে চুক্তি এ চুক্তি তিনি যেহেতু বাতিল করতে চাইছেন, তো সেটি বাতিল করতে পারবেন।

কারণ তিনি সন্তুষ্টি চিত্তে এগুলো দেওয়ার উপর তিনি রাজি হননি।

তিনি যে ২০ বছর ধরে তার চাচার সম্পদ ভোগ করছেন, তাই সেক্ষেত্রে আপনাদের সাথে বসে এ বাবদ টাকা দিয়ে হলেও বা অন্য কোনো পন্থায় তাকে সমাধান করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...