আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
36 views
in সাওম (Fasting) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম,
১)আমার প্রায়ই বমি হয়।এমতাবস্থায় রোযা রাখার নিয়ম কি হবে?

২)ফরজ রোযা রাখতে নিয়ত করতে হয়?

৩)আমার আনেক সালাহ কাযা হয়ছে,তাদের আদায় করার নিয়ম কি?

৪)যেহেতু আনেক সালাহ আমার কাযা,তবে কি কাযা আদায় আগে করবো নাকি তারাবি পড়ে তারপর কাযা গুলি আদায় করতে থাকবো?

1 Answer

0 votes
by (594,180 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
অনিচ্ছায় মুখ ভরে বমি হলে রোযা ভাঙ্গবে না। ইচ্ছেকৃত বমি করলে মুখ ভরে হলে ভেঙ্গে যাবে। মুখ ভরে না হলে ভাঙ্গবে না। ইচ্ছাকৃত হল মুখে আঙ্গুল দিয়ে এভাবে কোন পদ্ধতিতে ইচ্ছেকৃত মুখ ভরে বমি করলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। অনিচ্ছায় হলে বা ইচ্ছাকৃত বমি মুখ ভরে না হলে রোযা ভাঙ্গবে না।

https://ifatwa.info/15882/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখ ভরে বমি হল। তিনি তখন বললেন-

ثلاث لا يفطرن الصائم : القيء، والحجامة، والحلم.

তিন বস্ত্ত রোযাভঙ্গের কারণ নয় : বমি, শিঙ্গা লাগানো ও স্বপ্নদোষ।-সুনানে কুবরা, বাইহাকী ৪/২৬৪

হাদীসে আছে, অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো ব্যক্তির বমি হলে তার রোযা কাযা করতে হবে না।-জামে তিরমিযী ১/১৫৩, হাদীস : ৭২০; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪১৪

তবে অনিচ্ছাকৃত বমি হওয়ার কারণে রোযা নষ্ট হয়ে গেছে মনে করে রোযা ভেঙ্গে ফেললে কাযা করতে হবে।
,    
শরীয়তের বিধান হলো  মুখে বমি চলে আসার পর ইচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেললে রোযা ভেঙ্গে যাবে। যদিও তা পরিমাণে অল্প হয়।-আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৪; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪১৫)

আরো জানুনঃ- 
https://ifatwa.info/16100/

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি রোযা অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করবেননা। অনিচ্ছায় বমি হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে তাহা গিলে ফেলবেননা। এই দুটি নীতিমালা অনুসরণ করে চলবেন, তাহলে আপনার রোযার কোনো সমস্যা হবেনা।

(০২)
হ্যাঁ, নিয়ত করতে হবে।

রোযা রাখার জন্য নির্দিষ্ট কোনো দুআ শরীয়তে নাই। মনে মনে নিয়ত করলেই চলবে। মনে এ নিয়ত রাখলেই হবে যে আমি আগামি কাল রোযা রাখব। রোযা রাখার নিয়তে সেহরি খাওয়াই রোযার নিয়ত হিসেবে পরিগণিত হয়ে থাকে। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 
https://ifatwa.info/40935/

(০৩)
প্রত্যহ ৫ ওয়াক্ত নামাজ আর বিতর নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।

আপনি যেদিন থেকে বালেগ/বালেগাহ হয়েছেন,সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত প্রবল ধারণার ভিত্তিতে কাজা নামাজের হিসাব করবেন।
সেক্ষেত্রে চেষ্টার পরে অনুমানে কিছু ভুল হলে আশা করি আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করবেন।

আপনি এভাবে কাজা নামাজের নিয়ত করবেনঃ-
"আমার জিম্মায় যত ফজরের নামায কাযা রয়েছে, সে অনাদায়কৃত নামায সমূহের মধ্য থেকে প্রথম ফজরের নামাযকে এখন কাযা আদায় করছি”

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৪)
আপনি তারাবিহ এর আগেও কাজা নামাজ আদায় করতে পারবেন,তারাবিহের পরেও কাজা নামাজ আদায় করতে পারবেন।

শুধুমাত্র ইশার নামাজের পরেই নয়,আপনি সারাদিন যেকোনো সময় যেকোনো মুহুর্তে কাজা আদায় করতে পারেন,সমস্যা নেই।

তবে নিষিদ্ধ ৩ টি ওয়াক্ত রয়েছে,সেই ওয়াক্ত গুলোতে কাজা সহ কোনো নামাজই আদায় করা যাবেনা।

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 106 views
...