বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/71332/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
নারীজাতীয় কাপড় সমূহ যা দোকানে বিক্রি হয়, তা দুই অবস্থা
থেকে খালি নয়-
,
প্রথম অবস্থাঃ
বিক্রেতার বিশ্বাস বা ধারণা রয়েছে যে, এই কাপড়গুলো
হালাল ত্বরিকায়-ই ব্যবহৃত হবে,
হারাম ত্বরিকায় কখনো ব্যবহৃত হবে না। তাহলে এই সমস্ত কাপড় বিক্রি
করা জায়েয। এতে কোনো অসুবিধা নেই।
,
দ্বিতীয় অবস্থা
বিক্রেতার বিশ্বাস বা ধারণা রয়েছে যে, এই কাপড়গুলো
হারাম ত্বরিকায় ব্যবহৃত হবে। তথা মহিলা এগুলো পড়ে পরপুরুষের সামনে সৌন্দর্য্য প্রদর্শন
করবে। তাহলে এই সমস্ত কাপড় বিক্রি করা সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের
মতপার্থক্য রয়েছে।একদল উলামায়ে কেরাম বলেন, হারাম।
কেননা মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَتَعَاوَنُوا
عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ
ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের
ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।
{সূরা মায়িদা-২}
,
হাদীস শরীফে এসেছে-
قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى
شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ
মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
,
অপরদিকে একদল উলামায়ে কেরাম বলেন,জায়েয। গোনাহ
তারই হবে যে কাপড় পড়বে। বিক্রেতার এক্ষেত্রে কোনো গোনাহ হবে না।
কেননা রাসূলুল্লাহ সা. রেশম কাপড় বিক্রির অনুমতি হযরত উমর রাযি.
কে দিয়েছিলেন।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/242
,
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
,
১. উক্ত ভিডিওটা কোন ধরণের? তা বিস্তারিত জানার প্রয়োজন। তা
ছাড়া বিস্তারিত উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়।
২. উপরে বিস্তারিত বলা হয়েছে।
৩. শরীয়তে হালাল ও বৈধ কোনো জিনিসের কাজ করে দিতে পারবেন। এটা
জায়েজ।
৪. না, জেনে শুনে এগুলো বিক্রয় করা জায়েজ হবে না।