আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
91 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (12 points)
reshown by
প্রশ্ন ১ : আমি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখেছি, ইউটিউব মার্কেটিং, ওয়েবসাইট SEO ও পারি। এখন আমার প্রশ্ন হলো, আমি জানি ইউটিউব মনিটাইজেশন থেকে ইনকাম করা হারাম,
এখন আমি অন্য কারো ভিডিও যেটার মার্কেটিং আমি করে দিলে তার ভিডিতে ভিউ বাড়বে,তা ইনকাম হবে।এখন, তার ভিডিওর মার্কেটিং করার বিনিময়ে সে আমাকে যে পারিশ্রমিক টা দিবে সেটা নেয়া ইসলামের দৃষ্টিতে কেমন হবে?

প্রশ্ন ২ : শাড়ি কাপড়, বা মহিলাদের সাজ সজ্জার যত কসমেটিকস বা কাপড় চোপড় আছে, এগুলা যদি আমি বিক্রি করি সেটা থেকে প্রাপ্ত ইনকাম কি হারাম হবে? ধরুন আমার বিক্রি করা শাড়ি, লিপস্টিক, চুড়ি পরে কোনো মহিলা বাইরে গেলো, তাহলে তাকে যতজন দেখবে,তাদের পাপের সাথে কি আমারো পাপ হবে? একই কথা বাহিরের দেশের বিধর্মী মেয়েদের জন্য, পশ্চিমা মেয়েরা যেসব ড্রেস পরে, আমি যদি ওইসব ড্রেস বানাই বা সেল করি, সেক্ষেত্রে কি সেটা আমার পাপ হবে?

এই ব্যাপার গুলার উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম হুজুর।

প্রশ্ন তিন : পশ্চিমাদের জন্য বা কাফেরদের জন্য প্রায় ইসলামের দৃষ্টিতে কেমন? ধরুন আমি পশ্চিমাদের বা বিধর্মী কাফেরদের কোন কোম্পানিতে কাজ করলাম, তারা ব্যবহার করে এমন কোন জিনিস যেটা হালাল & উপকারী, সেটা বিক্রি করলাম, বা তাদের জন্য কোন বই বা অন্য কিছু বিক্রি করলাম।এমনটা করার ইসলামের দৃষ্টিতে কেমন, এটা কি জায়েজ আছে??
প্রশ্ন ৪ : কাফের দের পূজা বা বড়দিনে অন্যান্য উৎসব তাদের ব্যবহার কাপড় যেমন ধুতি,শাড়ি, বা অন্যান্য যেসব উপকরণ কাজে লাগে এগুলা বিক্রি করা ইসলামের দৃষ্টিতে কেমন হবে? [ আমার নিয়ত শুধুই ব্যবসায়ীক, এখন সন্দেহ হচ্ছে আমার বিক্রি  বা বানানো এসব উপকরণ দিয়ে তারা যে পাপ করবে,সে পাপের ভাগীদার কি আমিও হব??]

1 Answer

0 votes
by (72,810 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/71332/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

নারীজাতীয় কাপড় সমূহ যা দোকানে বিক্রি হয়, তা দুই অবস্থা থেকে খালি নয়-

,

প্রথম অবস্থাঃ

বিক্রেতার বিশ্বাস বা ধারণা রয়েছে যে, এই কাপড়গুলো হালাল ত্বরিকায়-ই ব্যবহৃত হবে, হারাম ত্বরিকায় কখনো ব্যবহৃত হবে না। তাহলে এই সমস্ত কাপড় বিক্রি করা জায়েয। এতে কোনো অসুবিধা নেই।

,

দ্বিতীয় অবস্থা

বিক্রেতার বিশ্বাস বা ধারণা রয়েছে যে, এই কাপড়গুলো হারাম ত্বরিকায় ব্যবহৃত হবে। তথা মহিলা এগুলো পড়ে পরপুরুষের সামনে সৌন্দর্য্য প্রদর্শন করবে। তাহলে এই সমস্ত কাপড় বিক্রি করা সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের মতপার্থক্য রয়েছে।একদল উলামায়ে কেরাম বলেন, হারাম।

কেননা মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

,

হাদীস শরীফে এসেছে-

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

,

অপরদিকে একদল উলামায়ে কেরাম বলেন,জায়েয। গোনাহ তারই হবে যে কাপড় পড়বে। বিক্রেতার এক্ষেত্রে কোনো গোনাহ হবে না।

কেননা রাসূলুল্লাহ সা. রেশম কাপড় বিক্রির অনুমতি হযরত উমর রাযি. কে দিয়েছিলেন।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/242   

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

,

১. উক্ত ভিডিওটা কোন ধরণের? তা বিস্তারিত জানার প্রয়োজন। তা ছাড়া বিস্তারিত উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়।

২. উপরে বিস্তারিত বলা হয়েছে।

৩. শরীয়তে হালাল ও বৈধ কোনো জিনিসের কাজ করে দিতে পারবেন। এটা জায়েজ।

৪. না, জেনে শুনে এগুলো বিক্রয় করা জায়েজ হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...