আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
60 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ

১.সুরা ফাতিহায়  اِیَّاکَ نَعۡبُدُ وَاِیَّاکَ نَسۡتَعِیۡنُ ؕ   এই আয়াতে   اِیَّا তে তাশদীদ চিহ্ন আছে কিন্তু যদি এই তাশদীদ অনুযায়ী উচ্চারণ না করা হয় অর্থাৎ তাশদীদ হলে "ইয়য়া " এভাবে পড়তে হয় কিন্তু তাশদীদ বাদ দিয়ে পড়লে শুধু "ইয়া" হয়। এইভাবে উচ্চারণ করা হলে কি নামাজ ভেঙ্গে যাবে? এবং এতে কি গুনাহ হবে?
২.শরীরের কোনো অংশের(হাত, যৌনাঙ্গ, অন্ডকোষ) , কাপড়ের গন্ধ শুকলে রোজা কি ভেঙ্গে যায় ? এবং এতে কি গুনাহ হবে?
৩.যদি রোজা অবস্থায় মুখের দুর্গন্ধ আছে কিনা তা নির্ণয় এর জন্য যদি হাতের মধ্যে ফু দিয়ে বা বাতাস ছেড়ে যদি গন্ধ শুকা হয় তবে রোজা কি ভেঙ্গে যাবে?এবং এতে কি গুনাহ হবে?

৪.কোনো বালতির পানিতে যদি ঠান্ডা দুধের বোতল চুবিয়ে রাখা হয় দীর্ঘক্ষণ সেই বালতির পানিতে ওযু কি হবে ?
(ফজরের নামাজ -১৬ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫
৫.যিকর, তেলাওয়াত করতে কি নামাজের নিয়ত এর মত নিয়ত করতে হবে? যদি আমি যিকির, তিলাওয়াত এর নিয়ত না নিয়ে সুরা (তেলাওয়াতের জন্য) পড়লাম আর যিকির এর জন্য সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ,আল্লাহু আকবার,আস্তাগফিরুল্লাহ ইত্যাদি পড়লাম তবে কি তা তিলাওয়াত ও যিকির বলে গণ্য হবে? এবং এক্ষেত্রে কি গুণাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (72,810 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/45593/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

প্রত্যেক নর-নারীর ওপর কুরআন এতটুকু সহিহ শুদ্ধ করে পড়া ফরজে আইন, যার দ্বারা লাহনে জলি (অর্থ পরিবর্তন) হয় না।

লাহনে জলি (অর্থ পরিবর্তন) হয়, এমন ভুল পড়ার দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। অতএব কমপক্ষে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য যে সুরাগুলোর প্রয়োজন, সেগুলো (সুরা ফাতেহা ব্যাতিত কমপক্ষে চারটি সুরা) শুদ্ধ করে নেওয়া আবশ্যক, অন্যথায় সে গুনাহগার হবে।

,

মহান আল্লাহ তাআলার কালাম তিলাওয়াতের বিশেষ নিয়ম ও আদব রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا

কুরআন তিলাওয়াত কর ধীরস্থির ভাবে, স্পষ্টরূপে। -সূরা মুযযাম্মিল (৭৩) : ৪

,

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-

زينوا القرآن بأصواتكم

সুন্দর সূরের মাধ্যমে কুরআনকে  (এর তিলাওয়াতকে) সৌন্দর্যমণ্ডিত কর। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৪৬৮

,

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লম ইরশাদ করেছেন, (কিয়ামতের দিন) কুরআনের তিলাওয়াতকারী বা হাফেজকে বলা হবে-

اقْرَأْ، وَارْتَقِ، وَرَتِّلْ كَمَا كُنْتَ تُرَتِّلُ فِي الدُّنْيَا، فَإِنَّ مَنْزِلَكَ عِنْدَ آخِرِ آيَةٍ تَقْرَؤُهَا.

তিলাওয়াত করতে থাক এবং উপরে উঠতে থাক। ধীরে ধীরে তিলাওয়াত কর, যেভাবে ধীরে ধীরে দুনিয়াতে তিলাওয়াত করতে। তোমার অবস্থান হবে সর্বশেষ আয়াতের স্থলে যা তুমি তিলাওয়াত করতে। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৪৬৪; জামে তিরমিযী, হাদীস ২৯১৪

,

রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি, যে কোরআন শিক্ষা গ্রহণ করে ও কোরআন শিক্ষা দেয়।' (আবু দাউদ : ১৪৫২) নবী করিম (সা.) আরো ইরশাদ করেছেন, 'যারা সহি শুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াত করে, তারা নেককার সম্মানিত ফেরেশতাদের সমতুল্য মর্যাদা পাবে এবং যারা কষ্ট সত্ত্বেও কোরআন সহি শুদ্ধভাবে পড়ার চেষ্টা ও মেহনত চালিয়ে যায়, তাদের জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সওয়াব। (আবু দাউদ : ১৪৫৮)

,

নামাজের কেরাতে অর্থ বিকৃত হয়ে যায়, এমন ভুল পড়লে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। চাই তা তিন আয়াত পরিমাণের ভেতর হোক বা পরে হোক- সর্বাবস্থায় একই হুকুম। পক্ষান্তরে সাধারণ ভুল- যার দ্বারা অর্থ একেবারে বিগড়ে যায় না, তাতে নামাজ নষ্ট হবে না। (খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১১৮, ফাতাওয়া কাজিখান ১/৬৭)

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

,

১. এমন ভুলে আশা করা যায় যে, নামাজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। তবে পরবর্তীতে এটা সংশোধন করে শুদ্ধ করে পড়বেন।

২. না, এতে রোজা ভেঙ্গে যাবে না।

৩. না, এতে রোজা ভেঙ্গে যাবে না।

৪. জ্বী হ্যাঁ, নামাজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

৫. মনের নিয়তই যথেষ্ট। আলাদা ভাবে উচ্চারণ করে নিয়ত করা আবশ্যক নয়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...