আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
26 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
আমার প্রায় ২০২৩ এর মাঝামাঝি থেকে এক ছেলের সাথে বিয়ের কথা চলছিল এসে দেখে যায় ছেলে আর ছেলের পরিবার কিন্তু আমার একটা সিলি প্রশ্নের কারনে ছেলের বাড়ি থেকে মানা করে দেয়। পরবর্তীতে অনেকদিন এ বিষয়ে কথা হয়নি ‌। আবার বিষয়টা আগায় প্রায় কয়েক মাস পর। ঘটক যেহেতু পরিচিত আন্টি ছিলেন তাই আমার ফোন নাম্বার ছেলেকে দেয় ছেলে আমাকে বারবার ফোন দিতে থাকে আমার ডিসিশন জানার জন্য তখন আমি ফোন রিসিভ করিনি পরে একদিন করছিলাম ব্যাস্ত ছিলাম তাই হাল জিগ্যেস করতেই কেটে দেয়। ইস্তিখারা করি কিন্তু আমার মন কেন জানি আসেনা। আমার বাসা থেকে হুট করে আবার পিছিয়ে পরে ছেলের চাকরি চলে যায় দেখে। হুট করে ছেলের মা মারা যায় তাই সেখানেই স্থগিত। এভাবে ১ বছর চলতে থাকে ছেলে আমাকে আবার মেসেজ দিয়ে আমার ডিসিশন জানতে চায় কিন্তু চাকরি করেনা দেখে আমার ফ্যামিলিতে বাঁকা চোখে দেখে (কিন্তু আমার মা বাবা ছেলেকে অনেক পছন্দ করে)। আবার আমিও তার এই মেসেজ দেয়ার বিষয়টা পছন্দ করিনি। পরে আবার আমি নিজে মা বাবাকে পাঠাই বিয়ে ঠিক করতে কারন এভাবে চলতে দেয়া যায়না। আমিও ফিতনায় পড়ে নাকি আবেগে ক্ষমা চেয়ে একটা মেসেজ দেই কারন আমাদের তরফ থেকে অনেক কথা হচ্ছিল ছেলেরা জানতে পারছিল তারাও আমাদের বিষয়ে নেগেটিভ ভাবছিল। তারপর উনি সুযোগ পায় কথা বলতে চায় আমিও সুযোগ দেই উনি ছবি চায় দেখতে মানা করায় রাগ দেখায় আমি বিষয়টা পছন্দ করিনা এবং বিয়ের জন্য রাজি হ‌ইনা কারন উনার কথাটা ছিল এমন যে (দেন ছবি দেন এখন‌ই দেন বিয়ের পরে সবসময় সব দেখবো এখন চাইছি দেন তুলে দেন) আমি অনেক কম কথা বলি উনি খুব বেশি কথা বলে আর আমাকে খোটা দেয় নেগেটিভ ভাবে ছোট করে আমার দ্বীনকে যেটা আসলে ভালো লাগেনি। তাই আমি মানা করে দেই কিন্তু বাড়িতে এই বিষয়টাকে সবাই তুচ্ছ মনে করে যে এটা কি বিয়ে ভেঙে দেয়ার মতো বিষয় হলো চাইতেই পারে ছবি অনেকদিন আগে দেখছে। কিন্তু আমি কোনোমতেই রাজি হ‌ইনা আর ছেলে এদিকে বারবার ফোন দিতে থাকে মেসেজ দিতে থাকে শাওয়াল মাসে বিয়ে করবে আমার জন্য হচ্ছেনা। এগুলো আমার কাছে ঠিক মেলাতে পারিনা যে দ্বীনদার ছেলে এমন কেন।

মাঝখানে কয়েকমাস পর আমার ফ্যামিলি তাকে অনেক রিকোয়েস্ট করেছিল বিয়ে করার জন্য কিন্তু উনি রাজি হয়নি আমি এমন করছিলাম দেখে হয়তো চাচ্ছিলেন একটু বুঝুক আর এভাবে বলছিলেন ও।

২ বছর হয়ে গেছে এভাবে এই কাহিনি করতে করতে আমার মা বাবা এখনও চায় এনাকে বিয়ে করি কারন বয়স হচ্ছে তারা অনেক ঘর দেখে কিন্তু পছন্দ করেনা বা মিলছেনা সেরকম দ্বীন দার।

কয়েকদিন ধরে এখন ছেলে আবার আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে। কথা বলে সমাধান করতে চাচ্ছে একা একা মাহরাম ছাড়া এভাবে কথা বলতে আমি রাজী না। ছেলের আকিদা নিয়েও আমি সন্দিহান কারন উনি কোনো একটা ইসলামিক রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত কিন্তু এবিষয়ে প্রশ্ন ও করা যাবেনা মাইন্ড করবে। আবার উনি নিজেও জানেনা উনি কি চায় ইসলামিক মেয়ে চায় আবার তাকে দীনদার বানাতে চায় । আমার মা বাবা অনেক সহজ সরল তাদের পছন্দ কেও ভরসা পাইনা। চাকরি ছেড়ে এখন মুরগীর ব্যাবসা করতেছে গ্ৰামে যেটা আসলে আমার পরিবারে মানানস‌ই নয় কারন আমাদের সবাই চাকরিজীবী আমি সম্মানের সাথে চলতে ও পারবোনা আমার পরিবারে‌। এতকিছুর পরেও কি আমার ওনার সাথে কথা বলে এই বিয়ের বিষয়ে আগানো উচিত উনি আমাকে খুব পছন্দ করে। যেহেতু বিয়ে এখন অনেক কঠিন আমাদের বয়স‌ও ২৬ । পরে তো আর‌ও কঠিন হয়ে যাবে।

1 Answer

0 votes
ago by (593,100 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

বিবাহের ক্ষেত্রে রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
 
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)

কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছেলেটি যদি বিবাহের পর আপনাকে পূর্ণ পর্দায় রাখা ও পূর্ণ দ্বীন মানার নিশ্চয়তা দেয়,সেক্ষেত্রে আপনার অবিভাবক রাজী হলে আপনি এই বিবাহে রাজী হতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...