আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
43 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (22 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,
আমি একজন ছেলে। আমি প্রায় ৮ বছর যাবত হস্তমৈথুন করেছি এর মাঝে দ্বীনের বুঝ পেয়েছি, কিন্তু তবুও এই আসক্তি থেকে ফিরে আসতে পারিনি। এতো বছরে তো আমার অনেক ক্ষতিই হয়ে গেছে। এখন অবস্থা এমন যে মেয়ে দেখলেই আমার শুধু শারীরিক সম্পর্কের কথা মাথায় ভাসে। নিজেকে সর্বোচ্চ ১ দিন নিয়ন্ট্রনে রাখতে পারি হস্তমৈথুন ছাড়া। রমাদানের রোজা গুলোও হস্তমৈথুনের কারণে রাখতে পারিনা। এখন দেখা যাচ্ছে যে আমার বিয়ে করা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই, তো আমি জানতে চাচ্ছিলাম যে, এই অবস্থায় বিয়ে করা ঠিক হবে কিনা, আবার এ নয়েও সংশয়ে আছি যে, যেহেতু অনেক দিন ধরে এই পাপে জড়িত আমি, সেক্ষেত্রে শারীরিক অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে, তো এই অবস্থায় বিয়ে করলে যদি স্ত্রীর শারীরিক হক পুরোপুরি আদায় (যেমন মেয়েদের ক্ষেত্রে যৌন মিলনের সময় ৪/৭ মিনিটের মধ্যে তারা চরম সুখে পৌছে যায়) আমি যদি এই পুরো সময়টুকু পর্যন্ত না করতে পারি আমার গুনাহ হবে কি? অনেক টিপস এন্ড ট্রিক্স আছে যৌনমিলনের সময় বাড়ানোর জন্য, সেইগুলোও যদি এপ্লাই করি তাহলে এই অবস্থায় বিয়ে করা যাবে কি? কেননা বিয়ে ছাড়া এখন আর কোনো পথ নেই, বিয়ে না করলে এই পাপেই জড়িত থাকবো, নতুবা হয়তো জিনার দিকে চলেও যেতে পারি, আমি জিনার দিকে এখনো পর্যন্ত পা বাড়াইনি। এইদিকে নিজেকে সেইভ করে রেখেছি, তবে কতোদিন পারবো এইভাবে জানিনা। এই অবস্থায় বিয়ে করা যাবে কি? উল্লেখ্য যে, বিয়ের জন্য আমার আর্থিক সক্ষমতা আছে। হস্তমৈথুন করা অবস্থায় যদি মারা যাই তাহলে কি জবাব দেবো, বা এইপাপ থেকে মুক্তি মা পেয়ে মারা গেলে আমার হাশর কি হবে এই নিয়েও ভয় হয়। তাই আমি দেখছি যে বিয়ে ছাড়া উপায় নেই, রোযা রেখে যে দিন কাটাবো, সেখানেও ফরজ রোজা গুলোই রাখতে পারিনা এই পাপের জন্যে, আর নফল তো বাদ ই দিলাম।

1 Answer

0 votes
by (593,100 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

হাত বা অন্য কিছুর মাধ্যমে বীর্যপাত, স্বমৈথুন বা হস্তমৈথুন
করা কোরআন সুন্নাহ ও সুস্থ বিবেকের নির্দেশ মতে হারাম ও কবিরা গুনাহ।

আব্দুল্লাহ ইবন আমর ইবন আস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
عبد الله بن عمرو بن العاص عن النبي صلى الله عليه وسلم سبعة لا ينظر الله عز وجل إليهم يوم القيامة ولا يزكيهم ويقول : ادخلوا النار مع الداخلين : الفاعل والمفعول به ، والناكح يده ، وناكح البهيمة ، وناكح المرأة في دبرها ، وناكح المرأة وابنتها ، والزاني بحليلة جاره ،والمؤذي لجاره حتى يلعنه

“সাত শ্রেণীর লোকের উপর আল্লাহ অভিশাপ বর্ষণ করেন, কিয়ামতের দিন এদের দিকে তাকাবেন না এবং এদেরকে জাহান্নামে প্রবেশের আদেশ দিবেন। এরা হল–সমকামী, হস্তমৈথুনকারী, জীবজন্তুর সাথে সঙ্গমকারী, স্ত্রীর সঙ্গে পুংমৈথুনকারী, কোন মহিলা ও তার কন্যাকে একসাথে বিবাহকারী, প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে ব্যভিচারকারী এবং প্রতিবেশীকে এমন কষ্টদানকারী যে, যার কারণে সে তাকে অভিশাপ দেয় । তবে এরা যদি তাওবা করে তাহলে তারা সবাই হয়ত ক্ষমা পেতে পারে।” (বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান৭/৩২৯)

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: يَجِيءُ النَّاكِحُ يَدَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَدُهُ حُبْلَى 

হযরত আনাস বিন মালেক রাঃ বলেন, কিয়ামতের ময়দানে হস্তমৈথুনকারী এমনভাবে উঠবে যে, তার হাত গর্ভবতী থাকবে। [শুয়াবুল ঈমান, বর্ণনা নং-৫০৮৭]

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনার নিয়মিত নামায আদায় করতে হবে এবং আল্লাহর কাছে মুনাজাত করে, তাঁকে স্মরণ করে, তাঁর কিতাব তেলাওয়াত করে স্বাদ অনুভব করতে হবে। 

আল্লাহ্ তাআলা বলেন,
اتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِنَ الْكِتَابِ وَأَقِمِ الصَّلَاةَ إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاء وَالْمُنكَرِ وَلَذِكْرُ اللَّهِ أَكْبَرُ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَصْنَعُونَ

আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামায কায়েম করুন। নিশ্চয় নামায অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর। (সূরা আনকাবুত ৪৫)

একবার সাহাবারা রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলল, অমুক সাহাবী বিভিন্ন ধরনের খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়েছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ জিজ্ঞেস করলেন, সে কি এখনো নামাজ পড়ে? সবাই বলল, হ্যাঁ, পড়ে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, সে যদি নামাজ পড়তে থাকে তাহলে নামাজ তাকে অবশ্যই একদিন খারাপ কাজ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। (মুসনাদে আহমাদ ২/৪৪৭)
,
এ থেকে বাঁচার বিস্তারিত আমল জানুনঃ

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি দ্রুত বিবাহ করে নিবেন।
প্রশ্নে আপনি যে আশঙ্কার কথা উল্লেখ করেছেন, এটা শুধুমাত্র আপনার মনের আশঙ্কা মাত্র।

বাস্তবতার সাথে সেরকম কোন মিল হবে না ইনশাআল্লাহ।

আপনি দ্রুত বিবাহ করেন এবং নিয়মিত স্ত্রী সহবাস করবেন। ইনশাআল্লাহ আপনি এই গুনাহ থেকে বিরত থাকতে পারবেন। পাশাপাশি উপরে লিংকে দেওয়া আমলগুলো করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...