আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
16 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
1. আমার দাত এ  সিল করা ছিল ওগুলো নষ্ট হয়ে যাবার কারণে দাত ব্যথা হয়  কিন্তু কয়েকদিন পরই  রোজায়   যেহেতু বাসায় যাব এজন্য বাসায় বলি যে বাড়ি  গেলেই ডাক্তার এর কাছে যাব এক এক যায়ওয়ার ইচ্ছা নয় ।  তো এটা আমার ওয়াইফ আমার শাশুড়ি কে বলছে  । পরে এটা শুনে আমার শশুর আমাকে কল দিয়ে বলে বাবা তুমি যেহেতু ঢাকায় ই আছ তাহলে তোমার অঙ্কেল (আমার চাচা শশুর )এর চেম্বারে যাও , আমি যাব না জন্য প্রথমে বললাম ক্লাস আছে পরে বলে ক্লাস শেষ এ যাও । উনাকে তো আর না করা যায় না পরে গিয়েছি এবং ট্রিটমেন্ট নিয়েছি ।
এটা কি যৌতুক বা এরকম কিছুর মাঝে পড়বে নাকি ?
আমার শশুর ডাক্তার   এবং চাচা শশুর দাতের  ডাক্তার তো অনিচ্ছাস্বরতেও   এভাবে তাদের কাছে চিকিৎসা নেয়া কি যৌতুক বা এমন কিছুর মাঝে পড়বে ?


2 । কোন এক কথার প্রসঙ্গে আমার ওয়াইফ আমাকে জিজ্ঞেস করে আমি একাধিক বিয়ে করব কি না ,  আমি উত্তর না দিয়ে চুপচাপ থাকি বলি ছেলেদের তো 4 টা বিয়ে জায়েজ আছে । এটা বলায় সে কান্না শুরু করে দেয় , সে বার বার এটা জানতে চায় আমি হ্যা না কিছু বলি না কিন্তু উনি ক্লিয়ার হ্যা বা না শুনতে চায় । আমি জানি হ্যা বললে তার অবস্থা কি হবে । আমি কি তাকে বলতে পারি যে না একাধিক বিয়ে করব না কিন্তু পরবর্তীতে যদি সেরকম হয় যে আমার চরিত্র হেফাজত সুন্নাহ পালন এর জন্য আমি ক্যাপবল তখন যদি বিয়ে করতে চাই তাহলে সেটা কি কথার খেলাপ হবে ?
আমার শাশুড়ি ও মাঝে মাঝে এই বিষয়ে কথা বলেন তাকেও আমি হ্যা না কোন ক্লিয়ার উত্তর দেই না কেননা আমি তো ভবিশশত জানি না যে , দেখা গেল আমি এখন বলতেছি করব না পরবর্তীতে তে যদি প্রয়োজন বোধ করি তাহলে তো কথার খেলাপ হয়ে যাবে ।
আমার স্ত্রী এবং শাশুড়ি উভয়ই দ্বীন মানার চেষ্টা করেন , বিশেষ করে আমার শাশুড়ি মাদরসা ব্যাকগ্রাউন্ড এ ছিলেন বলা যায় সকল বিষয় ই মানেন বা চেষ্টা করেন  এই বিষয়টা আমি কিভাবে ডিল করব ?

1 Answer

0 votes
ago by (592,140 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
শরীয়তের বিধান হলো যদি বর বা তার গার্জিয়ানের পক্ষ থেকে এমন শর্ত করা হয় যে কনে বা তার গার্জিয়ানের পক্ষ থেকে হাদিয়া তুহফা বা টাকা-পয়সা ইত্যাদি উপঢৌকন না দিলে, উক্ত কনেকে বিবাহই করবে না, তাহলে শর্ত সাপেক্ষে কনের পক্ষ থেকে উক্ত জিনিসপত্র দেওয়া সুদ হিসেবে হারাম হবে। চাই তা নিজের দিক বা অন্য কারো কাছ থেকে নিয়েই দিক। কেননা বিবাহ বন্ধন হল এমন একটি বেচা-কেনা যেখানে বিনিময়ে কিছু পাওয়া যায় না। 

আর বিবাহের পূর্বে, মেয়ের পিতা ছেলের অসন্তুষ্টিতে, তার নিকট থেকে দাবীর মাধ্যমে যে টাকা গ্রহণ করে, তাও সুদ।  হ্যাঁ ছেলের নিকট দাবী করা ব্যতীত যদি মেয়ের পরিবার সন্তুষ্টচিত্তে যদি দিয়ে থাকে তাহলে সেটা জায়েয হবে।
,

হাদীস শরীফে আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজ্বের ঐতিহাসিক ভাষণে বলেছেন-

ألا ولا يحل لامرئ من مال أخيه شيء إلا بطيب نفس منه

সাবধান! কারো জন্য তার ভাইয়ের কিছুমাত্র সম্পদও বৈধ নয়, যদি তার স্বতঃস্ফূর্ত সম্মতি না থাকে।-মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ১৫৪৮৮; সুনানে দারাকুতনী, হাদীস : ২৮৮৩; শুআবুল ঈমান বায়হাকী, হাদীস : ৫৪৯২

অর্থাৎ কেউ কিছু দিলেই তা ভোগ করা হালাল হয় না, যে পর্যন্ত না খুশি মনে দেয়। 

কুরআন মজীদে একাধিক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন-
لا تأكلوا اموالكم بينكم بالباطل
তোমরা বাতিল উপায়ে একে অন্যের সম্পদ গ্রাস করো না।-সূরা বাকারা : ১৮৮; সূরা নিসা : ২৯
.
আরো জানুনঃ  
,
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নের বিবরণ মতে এভাবে তাদের কাছে চিকিৎসা নেয়া যৌতুক বা এমন কিছুর মাঝে পড়বেনা।

(০২)
উক্ত বিষয়টি নিয়ে আপাতত আলোচনা না করার পরামর্শ থাকবে। 

তারা আপনাকে কোনোভাবে প্রশ্ন করলে জবাব দিবেন যে এমন কোনো ইচ্ছা (আপাতত) আমার নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...