ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত ধারাবাহিক প্রস্রাব নির্গত হতে থাকে। অর্থাৎ নামাযের সবচেয়ে ছোট ওয়াক্তেও প্রস্রাব নির্গত হওয়া ব্যতিত দু রা'কাত নামায পড়া সম্ভব না হয়, তাহলে সে ব্যক্তি মা'যুর হিসেবে পরিগণিত হবে। সুতরাং আপনি মা'যুর ব্যক্তি হিসেবে পরিগণিত হবেন।
মা'যুর ব্যক্তি এক ওয়াক্তের জন্য এক অজু করবেন।তারপর উক্ত অজু দ্বারা উক্ত ওয়াক্তের ভিতর যতসম্ভব উনি ফরয নফল ইত্যাদি ইবাদত করতে পারবেন।যখন ওয়াক্ত চলে যাবে তখন অজুও শেষ হয়ে যাবে। পূনরায় ভিন্ন ওয়াক্তের জন্য ভিন্ন অজু করতে হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1897
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রক্ত বন্ধ হওয়ার অপেক্ষা করলে যদি নামাজ কাজা হওয়ার আশংকা থাকে। এমতাবস্থায় মুখে তুলা দিয়ে নামাজ পড়তে হবে। এজন্য যদি সঠিকভাবে সূরা গুলো উচ্চারণ করতে পারা না যায়, তাতেও কোনো সমস্যা হবে না।
রোজা অবস্থায় ঘুমন্ত থাকলে রক্ত বের হয়ে যদি পেটে চলে যায়, এতেকরে রোজা ভাঙ্গবে না।
"(وصاحب عذر من به سلس) بول لا يمكنه إمساكه (أو استطلاق بطن أو انفلات ريح أو استحاضة) أو بعينه رمد أو عمش أو غرب، وكذا كل ما يخرج بوجع ولو من أذن وثدي وسرة (إن استوعب عذره تمام وقت صلاة مفروضة)بأن لا يجد في جميع وقتها زمنا يتوضأ ويصلي فيه خاليا عن الحدث (ولو حكما) لأن الانقطاع اليسير ملحق بالعدم".(کتاب الطہارۃ،مطلب فی احکام المعذور،ج:1،ص:305،سعید)