আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
50 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ্।
মেয়ের বয়স ৩০+। ছেলের বয়স ৩২+। তারা উভয়ে গোপনে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছে। ছেলের সম্পর্কে মেয়ে তার বাবাকে প্রথমে জানিয়েছিলো। ছেলে মেয়ের বাবাকে ফোন করে মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলো। মেয়ের বাবা রাজি হয়নি ছেলের আর্থিক অবস্থা স্ট্যাবল নয় বলে৷ ছেলের দ্বীনদারিতা স্বচ্ছতা আছে।  অন্যদিকে, ছেলের বাবা কিছুতেই চায় না তার ছেলে দ্বীনদার মেয়ে বিয়ে করুক। তাই সে পরিবারকে না জানিয়ে বাধ্য হয়ে গোপন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। আর মেয়ের ব্যাপার হলো, মেয়েও তার পছন্দমতো দ্বীনদার ছেলে পাচ্ছিলো না। বয়স অনেক পেরিয়ে গেছে খুঁজতে খুঁজতে। ছেলেকে যখন তার ডিমান্ড অনুযায়ী পেলো তাই আর দেরি করেনি৷ দুজনেই ইস্তিখারা করে বিয়ে করে নিয়েছে। বিয়েতে মেয়ের মা ছিলো৷ মেয়ের মায়ের সম্মতি ছিলো। এখন মেয়ে তার বাবার বাড়িতে থাকে। ছেলে জীবিকার সন্ধানে কাজ করছে। পরে মেয়েকে নিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। মেয়ের দেনমোহর পরিশোধ হয়নি এখনো৷ কাবিন রেজিষ্ট্রেশন করে রাখা হয়েছে।  এরকম সার্বিক অবস্থায় স্ত্রীর উপর স্বামীর হক্ব কী কী বর্তাবে? স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে দূরে কোথাও সাক্ষাৎ করে মিলিত হতে চায় তাহলেও কি স্ত্রীকে তাঁর ডাকে সাড়া দিতে হবে?

বা আরো কী কী হক্ব স্ত্রীর উপর স্বামীর আছে বা স্বামীর উপর স্ত্রীর হক্ব বর্তাবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানালে উপকৃত হবো ইনশাআল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (67,350 points)

ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

স্বামীর জন্য জরুরি হলো স্ত্রীর অধিকার রক্ষা করা, তার সাথে সদব্যবহার করা।

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন

ألا واستوصوا بالنساء خيرا، فإنما هن عوان عندكم ليس تملكون منهن شيئا غير ذلك

শোন হে! তোমরা আমার পক্ষ হতে নারীদের প্রতি সদাচরণের উপদেশ গ্রহণ কর। তারা তো তোমাদের কাছে আটকে আছে। তোমরা তাদের কাছ থেকে এছাড়া আর কিছুর অধিকার রাখো না। (জামে তিরমিযী, হাদীস: ১০৮৩

,

https://ifatwa.info/91615/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-

ﻭَﻋَﺎﺷِﺮُﻭﻫُﻦَّ ﺑِﺎﻟْﻤَﻌْﺮُﻭﻑ

নারীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন কর। (সূরা নিসা-১৯)

,

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ، شَهِدَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَذَكَّرَ وَوَعَظَ فَذَكَرَ فِي الْحَدِيثِ قِصَّةً فَقَالَ " أَلاَ وَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا… أَلاَ وَحَقُّهُنَّ عَلَيْكُمْ أَنْ تُحْسِنُوا إِلَيْهِنَّ فِي كِسْوَتِهِنَّ وَطَعَامِهِنَّ " .

সুলাইমান ইবনু আমর ইবনুল আহওয়াস (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ বিদায় হজ্জের সময় তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলেন। তিনি আল্লাহ তা'আলার প্রশংসা ও গুণগান করলেন এবং ওয়াজ-নাসীহাত করলেন। এ হাদীসের মধ্যে বর্ণনাকারী একটি ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ স্ত্রীদের সাথে ভালো আচরণের উপদেশ নাও। ... জেনে রাখ! তোমাদের প্রতি তাদের অধিকার এই যে, তোমরা তাদের উত্তম পোশাক-পরিচ্ছদ ও ভরণপোষণের ব্যবস্থা করবে। (সুনানে তিরমিযী ১১৬৩)

,

স্বামীর উপর আবশ্যক হলোঃ- স্ত্রীর সাথে উত্তম ব্যবহার করা। স্ত্রীর সঙ্গে প্রয়োজনে একান্তে বসা ও খোশগল্প করা।

অবসরে স্ত্রীর সঙ্গে একান্তে বসে কিছু গল্পগুজব করা, তার মনের কথা জানা-বোঝা, তার কোনো চাহিদা থাকলে তা জেনে নিয়ে পূরণ করা স্বামীর জন্য জরুরি।  প্রয়োজন মাফিক স্ত্রীকে সময় দেয়া।

বিস্তারিত জানুনঃ-

https://ifatwa.info/26084/

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

,

স্বামী-স্ত্রীর জন্য জরুরি হলো একে অপরের অধিকার রক্ষা করা, সদব্যবহার করা।

স্বামী-স্ত্রীর পরস্পর হক সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন - https://ifatwa.info/990/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...