আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
45 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
প্রশ্ন করতে একটু লজ্জা বোধ হচ্ছে।তারপরও বলতে হচ্ছে।আমার হায়েজ চরম পর্যারের অনিয়মিত। কখনও পবিত্রতার ১৫ দিন আগেই শুরু হয় বা কখনো ২/৩ মাসেও হয় না বা কখনো কখনো পুরো মাসেই চলতেই থাকে। গত জানুয়ারি মাসের ১৬ তারিখ (গত হায়েজের পবিত্রতার ১৫ দিন পার হওয়ার পর) থেকে ২৫ তারিখ ১০ দিন হায়েজের হিসাব ধরছি।এরপর নামাজ পড়া শুরু করছি।এর মাঝখানে কোন আলামত দেখি নি। তবে একবার হালকা হলুদ রঙের স্রাব দেখতে পাই। কিন্তু পবিত্রতার ১৫ দিনের মধ্যে থাকার কারণে তেমন গুরুত্ব দেয় নি। এই গত মঙ্গলবার ১১ তারিখ দূপুরে মনে হয় খুবই হালকা সাদা টিস্যুতে হলুদ স্রাব দেখি।খুবই হালকা, ঐ একবারই দেখি।এখন সন্দেহ হচ্ছে আসলে হলুদ রঙের স্রাব ছিল কিনা।হাতে নিলে বুঝা যায় না।তখন সাদাই বুঝা যায়। মঙ্গলবার ওইটা দেখাতে আমার আগেরও যেহেতু এই রকম সমস্যা ছিল, তাই ভাবছি হায়েজ।নামাজ অফ করে দিয়েছি। কিন্তু এরপর কন্টিনিউ চেক করতে ছিলাম।সাদা টিস্যুতেই।কিন্তু স্রাব বের হয় কিন্তু সাদাই।এরমধ্যেই স্বামীর সাথে থাকাও অফ রেখেছি। মঙ্গল, বুধ নামাজ অফ রেখেছি। তারপরও কন্টিনিউ সাদা দেখাতে বৃহস্পতিবার দূপুরে থেকে নামাজ পড়ছি। তিনদিন পার হওয়ায় চতুর্থ দিন রাতে স্বামীর সাথে থাকা হয়েছে। আমি জানি তো ৩ দিন তিন রাত সর্বনিম্ন। এর কম হলে হায়েজ হবে না। তিনদিন তিনরাত তো পার হয়ে গেছে, তাহলে আমাদের কি গুনাহ হবে? এখন আজকে মঙ্গলবার ৮ দিনের সময় আবারও সাদা টিস্যুতে খুবই হালকা হলুদ স্রাব দেখি।এখন আমি এটাকে আগের মঙ্গলবার থেকে হিসাব করে হায়েজ ধরবো?যদি ২০ তারিখ মানে ১০ দিনের ভিতরে আর দেখা না যায়,দুই দিনের দেখা যাওয়াকে হায়েজ ধরবো? আর স্বামীর সাথে একদিন থাকার কারণে গুনাহগার হবো?

আরেকটা প্রশ্ন ছিল, আমার সবসময়ই স্রাবের সমস্যা থাকে। বাড়িতে আমি প্রতি ওয়াক্তই ওজু করি।কিন্ত সফরে গেলে অনেক সমস্যা হয়ে যায়।হয়ত আসরের ওজু করলাম।মাগরিবও গাড়িতে বা এমন জায়গা পেলাম, ওযু করার সুযোগ নাই।কিন্তু নামাজ পড়া যাবে। এমতাবস্থায় আসরের ওজু করে লজ্জাস্থানে টিস্যু দিয়ে রেখে ওযু রাখা যাবে?এই ওযু দিয়ে অন্য ওয়াক্তের নামাজ হবে?সফরের সময় কি এক ওয়াক্তের নামাজ অন্য ওয়াক্তের সাথে আগেই পড়া যায়?

1 Answer

0 votes
by (616,950 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
আপনার প্রশ্ন অগোছালো। আমি অনেকবার পড়েও সারমর্ম উদঘাটন করতে সক্ষম হইনি। সুতরাং গোছিয়ে ইডিট করে দিয়ে কমেন্টে জানিয়ে দিবেন। 

(২)
টিস্যু চেপে অজুকে বাচিয়ে রাখা যাবে না। বরং স্রাব নির্গত হলে বা টিস্যু রাখার পর সেটা ভিজে গেলে অজু নষ্ট হয়ে যাবে।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/497

(৩) দুই নামাযকে একত্র করে পড়ার বিধান সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/827


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...