আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
23 views
in সালাত(Prayer) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমার রাত জাগা হয় প্রায়ই। আমি এশার নামাজ পড়ে ফেলি ৯টার মধ্যেই। বিতর ও পড়ে ফেলি সাথে সাথেই। এখন আমি যদি রাতে এমনি নফল নামাজ পড়তে চাই তাহলে কি পড়তে পারবো?
১) মানে এশা বিতর শেষ করে, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, রহমতের জন্য, গুনাহ মাফের জন্য, তওবার জন্য আমি কি রাতে নফল নামাজ পড়তে পারবো কিনা?
২) আর দিনের বেলা ফরয নামাজ ছাড়া কোন কোন সময়ে নফল নামাজ পড়া যাবে?  মানে জোহর এর ওয়াক্তের পরে আসরের পরে কি আলাদা করে নফল নামাজ পড়া যাবে? কোনো বাধা নিষেধ আছে কি দিনের বেলা নফল নামাজ পড়ার জন্য?

1 Answer

0 votes
by (591,840 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا; عَنِ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «اجْعَلُوا آخِرَ صَلَاتِكُمْ بِاللَّيْلِ وِتْرًا». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বিতরকে তোমাদের রাতের শেষ সালাত করবে।
(বুখারী ৪৭২, ৯৯৮ মুসলিম ৭৪৯, ৭৫০, নাসায়ী ১৬৬৬, ১৬৬৭, আবূ দাউদ ১২৯৫, ১৩২৬, ১৪২১, ইবনু মাজাহ ১১৭৪ , ১১৭৫, আহমাদ ৪৫৫৭, ৪৮৩২, ৪৮৬৩, মুয়াত্তা মালিক ২৬৯, ২৭৫, দারেমী ১৪৫৮)

এই হাদীসে বিতরকে রাতের শেষ সালাত হিসেবে আদায় করতে বলা হয়েছে।
তবে তারপর কোনো নামাজ পড়কে সেটি আদায়ই হবেনা,বিষয়টি এমন নহে।
এর পরেও নফল,কাজা ইত্যাদি নামাজ আদায় করা যাবে।
সমস্যা নেই।   

রাসুল সাঃ থেকে বিতরের পর নফল পড়ার প্রমান রয়েছে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها : أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُوتِرُ بِتِسْعِ رَكَعَاتٍ، ثُمَّ أَوْتَرَ بِسَبْعِ رَكَعَاتٍ، وَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ بَعْدَ الْوِتْرِ يَقْرَأُ فِيهِمَا، فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ قَامَ فَرَكَعَ ثُمَّ سَجَد

‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতর সলাত নয় রাক‘আত আদায় করতেন। পরবর্তীতে (শেষ বয়সের দিকে) তিনি সাত রাক‘আত বিতর সলাত আদায় করেন এবং বিতরের পর বসাবস্থায় দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করেছেন। তাতে ক্বিরাআত পাঠ করেছেন এবং রুকূ‘র সময় দাঁড়িয়ে রুকূ‘ করেছেন, অতঃপর সাজদাহ্ করেছেন।
(আবু দাউদ ১৩৫১.নাসায়ী (অধ্যায় : ক্বিয়ামুল লাইল, অনুঃ নয় রাক‘আত বিতর পড়ার নিয়ম, হাঃ ১৭২১)।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
ইশা,বিতর শেষ করে, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, রহমতের জন্য, গুনাহ মাফের জন্য, তওবার জন্য আপনি রাতে নফল নামাজ পড়তে পারবেন। এতে কোনো সমস্যা নেই।
কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।

(০২)
যে তিন সময় নামায পড়াকে হারাম বা মাকরুহে তাহরিমী বলা হয়েছে,সে সময় সকল প্রকার নামায পড়াই মাকরুহে তাহরিমী।
হ্যা ফজর এবং আছরের নামাযের পর কাযা নামায পড়া যাবে।তবে নফল পড়া যাবে না বরং মাকরুহ হবে।(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ-৪/২৪৪)..............বিস্তারিত জানুন- 806

মোটকথাঃ
(১)সূর্যোদয় (২) সূর্যাস্ত (৩) সূর্য মধ্যাকাশে থাকাবস্থায়, এই তিনটি মূহুর্তে ফরয-নফল সকল প্রকার নামায পড়াই নিষিদ্ধ তথা মাকরুহে তাহরিমি।

এছাড়া আরো দু'টি সময়ে রয়েছে,যে সময় গুলোতে নফল নামায পড়া মাকরুহ।তবে ফরয বা ফরযের কা'যা পড়া মাকরুহ নয়।(১)সুবহে সাদিক থেকে নিয়ে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ফজরের সুন্নত ও ফরয ব্যতীত অন্য কোনো নফল নামায পড়া যাবে না,পড়লে মাকরুহ হবে।তবে এ সময়ে কাযা নামায পড়া যাবে।(২)আছরের ফরয নামায পড়ার পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত নফল পড়া মাকরুহ।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 1604

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
দিনের বেলা উপরে উল্লেখিত ৫ টি সময়ে নফল নামাজ পড়া যাবেনা।
ইহা ছাড়া সারাদিন যেকোনো সময় নফল পড়া যাবে,কোনো সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...