আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
17 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ উস্তায।উস্তায,আমি ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছিলাম।এরপর ন্যাশনাল মহিলা কলেজে ভর্তি হ‌ই।বৃত্তির টাকা সাধারণত কোর্সের মেয়াদকাল পর্যন্ত দেওয়া হয়।যেমন:অনার্স ৪ বছরের কোর্স।এখন কেউ অনার্স করলে সে ৪ বছর‌ই বৃত্তির টাকা পাবে।আমি প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দেইনি,জেনারেল পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছি।পড়া ছাড়লেও ভর্তি বাতিল করিনি,এক্সট্রা ঝামেলা জন্য। কিন্তু এখন ২০২৫ সালেও আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বৃত্তির টাকা এসেছে।এখন এই টাকা কি আমার জন্য খরচ করা জায়েজ হবে?

যেহেতু আমি এখন আর জেনারেলে পড়াশোনা করি না, সেহেতু সরকারের পক্ষ থেকে এই অনুদান গ্রহণ কি জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (592,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/11969/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
 
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী সুদ প্রদান আর গ্রহন উভয়ই গুনাহ।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ      

عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)
,
বৃত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে দেখতে হবে যে  কোন খাত থেকে উক্ত ব্যাংক বৃত্তি  দিচ্ছে।যদি হালাল খাত থেকে দেয় তাহলে ধনী গরীব সবার জন্য বৈধ হবে।আর যদি হারাম খাত থেকে দেয় বা নির্দিষ্ট ভাবে জানা না যায়,তাহলে ধনী, ছাত্র ছাত্রী  দের জন্য জায়েয হবে না।তবে গরীব ছাত্র ছাত্রী দের জন্য জায়েয হবে।

★সুতরাং ব্যাংক বা যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে থেকে বৃত্তি নেওয়ার ক্ষেত্রে দেখতে হবে যে আপনার উপর যাকাত ফরজ কিনা,আপনি নাবালেগ হলে আপনার বাবার উপর যাকাত ফরজ কিনা?
যদি আপনার উপর যাকাত ফরজ হয়,বা আপনি না বালিগ হওয়ার ছুরতে আপনার বাবার উপর যদি যাকাত ফরজ হয়,আর ব্যাংক যদি পুরো সূদের টাকা দিয়েই উক্ত বৃত্তি প্রদান করে,তাহলে সেটি নেওয়া আপনার জন্য জায়েজ নয়।

ব্যাংক বা যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে সুদের টাকা থেকে  বৃত্তি নেওয়া গরিবদের জন্য জায়েজ, ধনীদের জন্য  জায়েজ নয়।

এ সংক্রান্ত আরো জানুনঃ

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এটা যদি সরকারী বৃত্তি হয়,আর এভাবে জেনারেল লাইনে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েও বৃত্তির টাকা নেয়া আইনগত ভাবে নিষেধ না হয়,সেক্ষেত্রে তাহা গ্রহণ করা আপনার জন্য নাজায়েজ নয়। 
জায়েজ আছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...