ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/22517/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
□
রমজানের রোজা, নির্দিষ্ট মানতের রোজা ও নফল রোজার নিয়ত রাত থেকে শুরু করে
দ্বিপ্রহরের পূর্ব পর্যন্ত করা যাবে। হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ
سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم
بَعَثَ رَجُلاً يُنَادِي فِي النَّاسِ، يَوْمَ عَاشُورَاءَ " أَنْ مَنْ
أَكَلَ فَلْيُتِمَّ أَوْ فَلْيَصُمْ، وَمَنْ لَمْ يَأْكُلْ فَلاَ يَأْكُلْ ".
সালমা ইবনু আকওয়া (রাঃ) থেকে
বর্ণিত যে, ‘আশূরা (আশুরা/আসুরা/আসূরা)র দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এক ব্যাক্তিকে এ বলে লোকদের মধ্যে ঘোষণা দেওয়ার জন্য পাঠালেন, যে ব্যাক্তি
খেয়ে ফেলেছে সে যেন পূর্ণ করে নেয় অথবা বলেছেন, সে যেন সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) আদায় করে নেয় আর যে
এখনো খায়নি সে যেন আর না খায়। সহীহ বুখারী, ১৮০২
,
□
আর রমজানের কাজা, সাধারণ মানত, কাফফারা ও যিহারের কাফফারা রোজার নিয়ত রাতে না করলে রোজা
বিশুদ্ধ হবে না।
হাদীস শরীফে এসেছে। উম্মুল
মুমিনীন হাফসা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
من
لم يجمع الصيام قبل الفجر فلا صيام له.
যে ব্যক্তি ফজরের আগে রোযা
রাখার নিয়ত করবে না তার রোযা (পূর্ণাঙ্গ) হবে না। সুনানে আবু দাউদ ১/৩৩৩
,
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
,
১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ১৩ তারিখেরটা আর রাখা লাগবে না।
কারণ, তার দিন পার হয়ে গিয়েছে।
২. এই ক্ষেত্রে রাখা লাগবে না। কারণ, তার দিন পার হয়ে
গিয়েছে।
৩-৪. নফল রোজার নিয়ত জহরের আগ পর্যন্ত করতে পারবেন। তবে একবার নিয়ত করে ফেললে তা পরবর্তীতে ভাঙলে তা কাযা
করে নিবেন।
৫. না, সমস্যা
নেই ইনশাআল্লাহ।